গিনি পশ্চিম আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির পশ্চিম দিকে আটলান্ডিক মহাসাগর। স্থলদেশের আয়তন মোট ২.৪৬ লাখ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা মোট ৯৪ লাখ জনেরও বেশী। দেশটির প্রায় ২০টিরও বেশি জাতি আছে। অধিকাংশ অধিবাসী ইসলামী বিশ্বাসী। ফ্রান্সী হচ্ছে সরকারী ভাষা। তবে দেশটির ভিন্ন ভিন্ন জাতির ভাষা বিভিন্ন।
ইতিহাসে দেশটি যথাক্রমে পর্তুগালের অভিবাসী হয়। এর পর কয়েক দশক ধরে তারা বংশাতুক্রমিক শাসন পরিচালনা করে। ১৯৮০ সালে আদিবাসী জাতির তুও ই অভ্যূত্থান ঘটিয়ে সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে।
জাতিসংঘ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের সবচে' দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘকালীন যুদ্ধ লাইবেরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০০৫ সালে দেশটির জি.ডি.পির পরিমাণ দিল মোট ৫৪.৮ কোটি মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় মোট ১৭৫ মার্কিন ডলার।
গিনি অর্থনীতির প্রধানউপকরণ হচ্ছে কৃষি শিল্প । গ্রামীণ লোকসংখ্যা দেশটির মোট লোকসংখ্যার ৭০ শতাংশ। প্রাকৃতিক রবার, কাঠ এবং লোহা-খনিজসম্পদের উত্পাদন হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দিক। রপ্তানি হলো দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা লাভের গুরুত্বপূর্ণ উত্স।
গিনির প্রাকৃতিক সম্পদ প্রচুর। আফ্রিকার লোহা-খনিজসম্পদ রপ্তানি ক্ষেত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে দেশটির লোহা-খনিজসম্পদ মজুদের পরিমাণ হলো ১.৮ বিলিয়ন টন । তাছাড়াও , দেশটির হীরা, সোনা, তামা এবং ভারী ধাতু সম্পদ আছে। সারা দেশের আয়তনের ৫৮ শতাংশ হলো বনসম্পদ , এর আয়তন হলো ৪৭.৯ লাখ হেকটর। আফ্রিকার প্রচুর কাঠের এলাকা হিসেবে এখানে প্রচুর বিখ্যাত গাছপালা আছে।
দেশটির সামুদ্রিক পরিবহণ শিল্প বিশ্বের বিশেষ স্থানে রয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আটলান্টিক মহাসাগর।এর জন্য গিনির সামুদ্রিক পরিবহণে খুবই সুবিধা হয়। মনরোভিয়াসহ এর মোট পাঁচটি বন্দর আছে। এসব বন্দরে বার্ষিক পরিবহনের পরিমাণ হলো ২ লাখ টন।
২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে চীন ও গিনির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, দু'দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে। দু'পক্ষ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরক সম্মান এবং সমর্থন করে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও দ্রুতভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ২০০৫ সালে চীন ও গিনির বাণিজ্যের পরিমাণ দিলো ১৬.৪ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালের জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত , দু'দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ দিলো ৩৭.৫ কোটি মার্কিন ডলার। পূর্ববতী বছরের চেয়ে এ সংখ্যা ১৫কোটি বেশি।
|