v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-18 20:22:37    
চীনের শহরগুলোতে পানি সাশ্রয় সম্পর্কিত প্রচার তত্পরতা চালানো হচ্ছে

cri

    চীনের শহরগুলোতে এখন মিতব্যয়িতার সঙ্গেপানি ব্যবহার সম্পর্কিতসপ্তাহব্যাপী প্রচার কর্মসূচী। এক সাক্ষাত্কারে চীনের পূর্তমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন , চীন একটি পানি সম্পদের অভাব জনিত দেশ । তাই পানি সাশ্রয়একটি অত্যন্তজরুরী সমস্যা ।এ বছর পানি সাশ্রয় সম্পর্কিত প্রচারের উদ্দেশ্য হল সার্বিকভাবে পানি সাশ্রয়ে ব্যবহার্যযন্ত্রপাতি জনপ্রিয়করা । যাতে গোটা সমাজে পানি সাশ্রয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় ।

    চীনের পানি সম্পদের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠোর । একদিকে পানি সম্পদেরঅভাব ও পানির মোট পরিমাণও যথেষ্ট নয় । অন্য দিকে পানির বিন্যাস ভারসাম্যহীন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে লোক সংখ্যা বেশি এবং পানি কম ।চীনের ৬০০টিরও বেশি শহরের মধ্যে ১০০টিরও বেশি শহরে পানির গুরুতর অভাব রয়েছে । গত কয়েক বছরে কিছু কিছু এলাকার পানির দুষণে শহরের ব্যবহার্য পানি বিরাট হুমকীর সম্মুখীন হয় ।

    চীনের পূর্ত মন্ত্রণালয় শহরের পানি পরিচালনা করে । চীনের পূর্ত মন্ত্রণালয় ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবছর বিভিন্ন শহরে  সপ্তাহব্যাপী পানি সাশ্রয় সম্পর্কিত প্রচার কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে । এ বছরের পানি সাশ্রয় সপ্তাহ১৩ থেকে ১৯ মে পর্যন্তচলবে । কর্মসূচীর প্রধান বিষয় হল , সার্বিকভাবে পানি সাশ্রয় যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করা এবং বিপুলভাবে শহরের পানি সাশ্রয়ের উদ্যোগকেত্বরান্বিত করা । চীনের পূর্ত মন্ত্রণালয়ের শহরের নির্মাণতদারকী বিভাগের উপপ্রধান চাং ইয়ো এক সাক্ষাত্কারে এই কর্মসূচীর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন , এ বছরের পানি সাশ্রয় সপ্তাহের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এর প্রধান উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের পানি সাশ্রয়ের চেতনাকে উন্নত করা , পানি ব্যবহারের মান উন্নত করা এবং পানির অপচয় কমিয়ে আনা । যাতে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবহার ধাপেধাপে বাস্তাবায়ন করা যায় ।

    জানা গেছে , বর্তমানে চীনের শহরগুলোর নাগরিকদের মধ্যে অনেকের ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি পানি সাশ্রয়ের মানদন্ডের সঙ্গে খাপখায় না । যেমন, অনেক পরিবারে একবার টয়লেট পরিস্কার করতে ৯ লিটার পানি লাগে । বর্তমানেপানি সাশ্রয়ের নতুন মানদন্ড অনুযায়ী একবার টয়লেট পরিস্কার করতে ৬ লিটারেরও কম পানি লাগে । কর্মকর্তা চাং ইয়ো বলেছেন , বাড়িঘর নির্মাণ, নতুন করে ঘর সাজানো বা পারিবারিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনার সময় সকলকে পানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা ও জিনিসপত্র বেছে নিতে হবে । পাশাপাশি সচেনতনভাবে পানি সাশ্রয়ের অভ্যাস করতে হবে । যার ফলে যেমন পানি সম্পদ সাশ্রয়হবে তেমনি পানির অপচয় কম হবে । রাষ্ট্র ও ব্যক্তি দু পক্ষের জন্যই এটা উপকার হবে ।

    চাং ইয়ো বলেছেন , গত কয়েক বছরে চীনের পানি সাশ্রয়সম্পর্কিত প্রচার কর্মসূচী চালানোর সঙ্গে সঙ্গেপানি সাশ্রয়ে ব্যবহার্যযন্ত্রপাতিজনপ্রিয়তা লাভ করেছে । এখন প্রতি বছর চীনের শহরগুলোতে মোট ৩৫০ কোটি ঘনমিটার পানি সাশ্রয় হচ্ছে।

    পেইচিং পানির অভাবজনিত শহর । পানি সাশ্রয় যন্তপাতিজনপ্রিয়করার পর পেইচিংয়ে পানির মোট ব্যবহারেরপরিমান ২০০০ সালের ৪০০ কোটি ঘণমিটার থেকে ২০০৬ সালের ৩৪০ কোটি ঘণমিটারে নেমে এসেছে । একটানা কয়েক বছরের প্রতি বছরে ১০ কোটি ঘণমিটার করে পানি সাশ্রয় হয়েছে ।

    মাদাম সুন লিচুয়েন পূর্বপেইচিংয়ে থাকেন । তিনি সরকারের পানি সাশ্রয়ের নীতিকে অত্যন্ত সমর্থন করেন । তিনি বলেছেন , পেইচিংয়ের পানি সম্পদের অত্যন্ত অভাব । প্রতিটি নাগরিকের উচিত মিতব্যয়িতার সঙ্গে পানি ব্যবহার করা । মিতব্যয়িতার সঙ্গে পানি ব্যবহারের অনেক ভাল পদ্ধতি আছে । প্রতিটি নাগরিক পানি সাশ্রয়ে নিজদের অবদান রাখতে পারেন ।

    জানা গেছে , পূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সার্বিকভাবে পানির অভাবজনিত শহরগুলোতে পানি সাশ্রয় যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করা হবে এবং অন্যান্য শহরগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পরিবারে পানি সাশ্রয় যন্ত্রপাতিজনপ্রিয় করে তোলা হবে ।