v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-17 17:15:22    
নিরামিষভোজী রেস্টুরেন্ট

cri
    দক্ষিণ এশিয়ার বহু লোক নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন । এখন আমি আপনাদেরকে পেইচিং লোটাস ইন মুনলাইট নামক রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাবারের কথা বলবো ।রেস্টুরেন্টটির নামের চীনা ভাষার অর্থ হল চাঁদের আলোয় শাপলা ফুলসহ হ্রদের কাছে খাবার খাওয়ার জায়গা । খুবই সুন্দর অর্থ । তাইনা ইয়ান হুয়া ? আপনি জানেন পেইচিংয়ে এ রেস্টুরেন্টের অনেক শাখা দোকান রয়েছে । এর সদরদপ্তর পূর্ব পেইচিংয়ের ছাওইয়াং এলাকার লিউফাং নানলিতে অবস্থিত । এ রেস্টুরেন্টের খাবারের বৈশিষ্ট্য হল প্রাকৃতিক অবস্থা বজায় রাখা । লোটাস ইন মুনলাইট রেস্টুরেন্টের প্রধান পাচক ওয়াং চোং বলেছেন, আমাদের ডিশে কোনো মাছ বা মাংসের মতো নামকরণ করা খাবার নেই । ডিশের নাম কবিতার মতো । তাছাড়া, খাবার তৈরীর সময় অধিকাংশেই ফল ও সবজি ব্যবহার করা হয়, মাছ মাংসের মতো গন্ধ তৈরী করে না । শুধু ফল ও সবজির সুগন্ধ জড়িয়ে থাকে ।

    এ রেস্টুরেন্ট সবজি হ্যাম্ববার্গার , সবজি পিজা, সবজি স্পগ্যাটি পাওয়া যায় । বিদেশীদের খাবার তৈরীর সময় চীনা খাবারের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে । রেস্টুরেন্টের একটি বিখ্যাত ডিশের নাম হল 'পিকাসো আলো'। এর তৈরী পদ্ধতি হল মিষ্টি কুমড়া বাষ্পে সিদ্ধ করার পর ছোট ছোট করে , ক্রিম ও মাখন মিশিয়ে বিনকার্ডের রুটি দিয়ে গোলাকার করে, তেলে ভাজা হয় । এ ডিশ দেখতে খুবই সুন্দর এবং খেতে মজা লাগে ।

    এ ছাড়া, রেস্টুরেন্টের আরেকটি বিখ্যাত খাবারও খুবই সুস্বাদু । তা হচ্ছে দামী মাশরুম দিয়ে তৈরী সুপ । এ সুপ গরম অবস্থায় টাটকা লাগে এবং পাশাপাশি খাওয়ার পদ্ধতিও কিন্তু খুবই মজার । রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ম্যাডাম সিয়া চেহোং বলেছেন, আমাদের সুপে ব্যবহৃত মাশরুমের মান খুবই ভালো, খাওয়ার সময়ও খুবই মজা । পাচক সুপ চা পাত্রে রাখেন, লোকেরা চায়ের কাপে সুপ খান, সুপ খাওয়ার সময় চা খাওয়ার মতোই মনে হবে ।

    লোটাস ইন মুনলাইট রেস্টুরেন্টে একটি গ্লাস দিয়ে তৈরী দীর্ঘ বারান্দা রয়েছে, লোকজন এখানে বসে সুর্য্যের আলোয় খাবার খেতে পছন্দ করেন । বারান্দার দুই পাশে অনেক গাছ ও ফুলের চাষ করা হয় । বসন্তকালে এখানে বসে লোকেরা সুন্দর ফুল দেখতে পারেন, গ্রীষ্মকালের রাতে চাঁদ ও তারা দেখতে পারেন । রেস্টুরেন্টে একটি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বই দোকানও রয়েছে । এর মধ্যে অধিকাংশ বই হল বৌদ্ধ ধর্মীয় বই । অতিথীরা ইচ্ছা মতো তা দেখতে ও পড়তে পারেন ।

    শ্রোতাবন্ধুরা, চীনের নিরামিষ খাবার খাওয়ার ইতিহাস সুদীর্ঘকালের ।প্রাচীনকালে চীনা লোক বিশ্বাস করতো যে, সবসময় নিরামিষ খাবার খেলে দীর্ঘায়ু হবে । তারপর বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে নিরামিষ খাবার চীনা জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয় । দীর্ঘকাল ধরে উন্নয়নের পর চীনের নিরামিষ খাবারের রান্নার পদ্ধতি এখন উন্নতমানে দাঁড়িয়েছে । আপনি সুযোগ পেলে একবার পেইচিংয়ে চলে আসুন, এখানকার নিরামিষ খাবার তখন অবশ্যই খেয়ে যাবেন ।