১৫ মে হামাস এবং ফাতাহ'র মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে ১৫ জন নিহত হয়েছে । চলতি বছর মার্চ মাসে দু'পক্ষের সংঘর্ষের পর নিহতদের সংখ্যা এবারই সবচেয়ে বেশি ।
এদিন ভোরে হামাসের একজন যোদ্ধা দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় । এরপর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন সদস্য ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের সীমান্ত এলাকা কার্নি বন্দরের কাছাকাছি হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে । এর কয়েক ঘন্টা পর ফাতাহ'র একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাও গাজা শহরে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছে । বিকেলে আরো ৫ জন দু'পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ।
১৫ মে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কিমুন ফিলিস্তিনের সংঘর্ষের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন । তিনি আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার কথা ঘোষণা করেছেন এবং তাঁকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ে হিংসাত্মক ঘটনা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ মুখপাত্র টম ক্যাসি ১৫ মে বলেছেন, ফিলিস্তিনীদের এখন নিরাপদ পরিস্থিতি প্রয়োজন । যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দলের হিংসাত্মক সংঘর্ষ বন্ধ করার লক্ষে অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছে ।
অন্য এক খবর থেকে জানা গেছে, ফিলিস্তিনের স্বায়ত্তশাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, হামাস এবং ফাতাহ'র মধ্যে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । দু'পক্ষ এদিন রাতে পারস্পরিকভাবে যোদ্ধাদের প্রত্যাহার রাজি হয়েছে । ১৩ মে থেকে এটা হচ্ছে দু'পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একই বিষয়ে তৃতীয় চুক্তি ।
|