v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-15 16:55:02    
আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোত

cri
বাংলাদেশের ঝিনাইদাহ জেলার ত্রিবেনী গ্রামের শ্রোতা শামীমু জ্জামান তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। কিন্তু আমি অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি এর আগে অনেক গুলি চিঠি দিয়েছে কিন্তুএকটা চিঠিরও জবাব পাইনি। জানিনা চিঠিগুলি আপনাদের হাতে পৌছেছে কিনা। যদি পৌছায় দয়র করে উত্তর দিবেন আশা করি।' বন্ধু শামীমু জ্জামান, প্রথমে আমি বাংলা বিভাগের সকল কর্মচারীর পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের কাছ থেকে কোন চিঠি পাননি বলে দু:খিত। এখানে উল্লেখ্যযোগ্য, বাংলা বিভাগে জনশক্তির অভাব বলে বতর্মানে বাংলা বিভাগে অজস্র চিঠি জমা রয়েছে। অনেক শ্রোতার চিঠিপত্র এখনও পড়া হয়নি। সুতরাং আপনার কোনো কোনো চিঠির জবাব না দেয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু অবশ্যই এর আগে আমরা আপনার চিঠিগুলোর উত্তর দিয়েছি। আপনি আমাদের কাছ থেকে পাঠানোএকটি চিঠিও পাননি জেনে খুবই খারাপ লাগল। যাই হোক আজকের অনুষ্ঠানে আপনার চিঠির বিষয়বস্তু পড়ে শুনানোর পর আশা করি আপনার ভাল লেগেছে। বুন্ধ শামীমু জ্জামান, আপনি চিঠিতে আরও লিখেছেন, ' যদি খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করেন তবে অনুষ্ঠানটি আকর্ষনীয় হবে। কারণ কিছু কিছু শ্রোতা খেলাধুলা পছন্দ করেন। তাই খেলার সংবাদ দু-তিন মিনিট প্রচার করলে ভাল হত। আপনার এই প্রস্তাব বোধগম্য। আসলে প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের ৫ মিনিটের ক্রীড়া জগত পরিক্রমা বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের খেলার খবর এবং সমীক্ষা প্রচারিত হয়। এর আগে বাংলাদেশের অনেক শ্রোতা তাদের চিঠিতে বেশি বেশি ক্রিকেট সম্বন্ধে খবর প্রচারের অনুরোধ করেছেন। শ্রোতা বন্ধুদের আশা-আকাংক্ষা বোধগম্য । দু:খের ব্যাপার এই যে, আমাদের বেতারের তথ্য বিভাগ থেকে ক্রিকেটের খুব কম খরব আমাদের হাতে আসে। কারণ এই বিভাগ সারা বেতারের জন্যে বিভিন্ন খবর সরবরাহ করে। আরেকটি কারণ হল, ক্রিকেট বাংলাদেশের প্রিয় খেলা , কিন্তু এই খেলা চীনে মোটেই জনপ্রিয় নয়। বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় ক্রিকেট খেলা দেখা যায়। ভবিষ্যতে এই খেলা চীনা জনগণের একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হবে বলে আমরা আশা করি।

বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রোতা সকাল আহমেদ শাহীন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত সব অনুষ্ঠান আমার ভাল লাগে। আমার খুব ইচ্ছা চীনা ভাষা শিখার। আমি বেশি চীনা শব্দ জানিনা। বেশি বেশি চীনা শব্দ শেখার জন্য আমি নিয়মিত শুনছি---' এস চীনা শিখি' আসরটি। আমার মধ্যে একটি বিশ্বাস এসেছে তা হল আমি অবশ্যই কিছু চীনা ভাষা শিখতে পারবো। চীনদেশের চীনা মানুষ যদি বাংলা ভাষা শিখতে পারে তাহলে আমি কেন পারবনা। এই বিশ্বাস মাথায় রেখেই আমি চীনা ভাষা শেখার চেষ্টা করছি। আরো ভাল হয় যদি আপনারা আমি তুমি সে পত্রিকায় ১০টি করে বাক্য লিখে দেন আর তার বাংলা অর্থ করে দেন তাহলে আমাদের চীনা ভাষা শেখা খুব সহজ হয়। বন্ধু সকাল আহমেদ শাহীন, ধন্যবাদ আপনার এই চিঠির জন্যে। চীনা ভাষা শিখার জন্যে আপনি যে কৌতুহল দেখিয়েছেন তাতে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। সারা বিশ্বে চীনা ভাষা অধ্যয়নরত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পৃথিবীতে এখন ৩ কোটিরও বেশী লোক চীনা ভাষা শিখচ্ছেন। সারা বিশ্বে চীনা ভাষা জনপ্রিয় করার জন্যে বতর্মানে চীন সরকার একটি বিরাট প্রোগ্রেম নিয়েছে। তা হল সারা বিশ্বে ১০০টি কনফুসিয়াস ইনষ্টিটিউ প্রতিষ্ঠা করা। কনফুসিয়াস ছিলেন চীনের প্রাচীনকালের একজন শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ। গত বছর বাংলাদেরশের ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঔ ইনস্টিটিউতে চীনা ভাষা পড়ানো হয়। সম্ভাবনা হলে আপনি ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চীনা ভাষা কোর্সে ভর্তি হন। আপনি আমি তুমি সে পত্রিকায় কয়েকটি চীনা বাক্য ছাপানোর যে প্রস্তাব করেছেন আমনা তা বিবেচনা করবো। সম্ভাবনা হলে আগামী সংখ্যায় কয়েকটি চীনা বাক্য ছাপানো হবে।

বাংলাদেশের কিশোর গনজ জেলার শ্রোতা আতিকুর রহমান উজ্জল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান আমার কাছে এত ভাল লাগে যা আপনাদের বুঝানো যাবেনা।আমি আপনাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি । খুব ভাল লাগে। কিন্তু ঠিকানার অভাবে এতদিন চিঠি লিখতে পারিনি। আমার এক বন্দুর কাছ থেকে ঠিকনা এনে আপনাদের কাছে আমার প্রথম চিঠি লিখলাম। ধন্যবাদ আতিকুল রহমান উজ্জল। আপনার মতো একজন নতুন শ্রোতা পেয়ে খুব খুশী হয়েছি। আশা করি আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনেন। আমাদের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে যদি কোন মতামত থাকে তাহলে চিঠি লিখে জানাবেন। কারণ আমাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্যে আপনাদের পরামর্শ দরকার।

বাংলাদেশের ভোলা জেলার শ্রোতা সন্জয় বিশ্বাস রুবেল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' আমি সি আ আই-এর অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি। আমার পক্ষে সি আ আই এর সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হল মিতালী, এই অনুষ্ঠান যখন শুনি তখন সব শ্রোতাদের নাম শুনে থাকি । কিন্তু দু:খের বিষয় হল সি আ আই থেকে আমার নাম শুনতে পাইনা। বন্ধু সন্জয় বিশ্বাস রুবেল , আজকের এই মিতালী অনুষ্ঠানে অবশেষে আপনার নাম শুনেছেন। আপনার কেমন লাগছে? আমাদের হতে অনেক শ্রোতার চিঠি এবং একটি মিতালী অনুষ্ঠানে মাত্র কয়েক জনের নাম পড়ে শোনাতে পারি। এ কারণে এই অনুষ্ঠানে আপনার নামের আবির্ভাব একটু দেরিতে । আপনি তো আমাদের পুরাতন শ্রোতা। আশা করি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনেন এবং আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন ।

সিলেট জেলার শ্রোতা বিস্নু মালাকার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' আমি সি আর আই বাংলা বিভাগের একজন পুরাতন এবং নিয়মিত শ্রোতা। আমি বিগত সাঁত বছর যাবত সি আর আই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনে আসছি। আমি মনে করি সি আর আই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক বেতার মাধ্যম। বন্ধু মালাকার আপনি শুধু আমাদের পুরাতন শ্রোতা তাই নয় একজন ভক্ত শ্রোতাও। আমরা আপনার কাছ থেকে নিয়মিত চিঠি পেয়ে থাকি। আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে আপনি নিয়মিত ভাল ভাল প্রস্তাব করেছেন। আপনার এ সব সুন্দর সুন্দর প্রস্তাবের জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি আপনি অব্যাহতভাবে আমাদের অনুষ্ঠানের জন্যে ভাল ভাল প্রস্তাব দেবেন।

বাংলাদেশের খুলনা জেলার সংগ্রামী শ্রোতা সংঘের সভাপতি অনুপ কুমার আশ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ' আমি আমার শ্রোতা সংঘের সকলের সঙ্গে আপনাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন সময়ে আমাদের মাঝে বিভিন্ন মতামত সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে একটি বিষয়ে আমরা সকলে একমত হতে পেরেছি। সেটি হচ্ছে চীনদেশের জনগণদের জীবনধারা' সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা। আপনাদের 'এই গ্রাম সেই গ্রাম' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা চীনদেশের গ্রাম এবং কৃষক সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু চীনদেশে শুধু কৃষকদের বসবাস নয়। তারা ছাড়া ওখানে আরো অনেক লোক বসবাস করে। আমরা তাদের সম্পর্কেও কিছু না কিছু জানতে চাই। তাদের চলাফেলা, আচার-আচরন, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানার ইচ্ছা আছে। তাই আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ পরবর্তিতে আপনারা এ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করবেন। বন্ধু অনুপ কুমার আশ , আপনি খুব ভাল প্রস্তাব করেছেন। বাংলাদেশের মতো চীনও একটি কৃষি প্রধান দেশ। ৮০ কোটি লোক গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। চীন একটি বিশাল দেশ বলে বিভিন্ন জায়গার রীতিনীতি বিভিন্ন। আপনার একটি প্রস্তাব নিয়ে আমরা ভালভাবে বিবেচনা করবো। 'এই গ্রাম সেই গ্রাম' অনুষ্ঠানে যাতে এ সব বিষয় শ্রোতাদের জন্য প্রচারিত হয় সেই জন্যে আমরা যথাযত চেষ্টা চালাবো।