v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-14 20:31:10    
আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে চীনে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে

cri
  চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হুয়াং চিয়েফু সংবাদমাধ্যমকে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন , পয়লা মে চীনে আনুষ্ঠানিকভাবে যে "মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনসম্পর্কিত নিয়ম" চালু হয়েছে চীনের পক্ষে তা যথেষ্ট তাত্পর্যসম্পন্ন ও অগ্রগতির ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে । কিন্তু সত্যিকারভাবে এ নিয়মটি কার্যকর করতে অনেক কাজ করতে হবে । আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে চীন মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে ।

  বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে চীনে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন শুরু হয় । গত দশ বারো বছরে এ কাজ দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে । কিন্তু চীনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সমস্যা কম নয় । যেমন প্রযুক্তিগত সমস্যা , অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উত্সের অভাব, চিকিত্সা সংস্থার সমস্যা অনেক কিছু ।

  এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের লক্ষে চীন "মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ব্যবস্থাসম্পর্কিত নিয়ম" প্রণয়ন করেছে । নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্তাপনের ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে আইনগত তদারকী শুরু করেছে । এ সম্পর্কে চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হুয়াং চিয়েফু বলেছেন,অঙ্গপ্রত্যঙ্গপ্রতিস্থাপন দুই ব্যবস্থায় বিভক্ত । একটি হল ,বৈজ্ঞানিকভাবে তালিকাভূক্ত ব্যবস্থা অর্থাত কি কি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনকরা দরকার আর কোন কোন রোগীর প্রতিস্তাপনপ্রয়োজন । আরেকটি হল , প্রশাসনিকভাবে তালিকাভূক্ত ব্যবস্থা , অর্থাত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উত্স, দানপ্রদান এবং এর বন্টন সংক্রান্ত ব্যবস্থাদি। যুক্তরাষ্ট্রেনিয়ম প্রণয়ন এবং দুই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে মোট ১৫ বছর লেগেছে । চীন অনেক দেরীতে "মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপনসম্পর্কিত নিয়ম " প্রণয়ন করেছে । চীন ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই দুটো ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে ।

  জানা গেছে , চীনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে তালিকাভূক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ ইতোমধ্যেইশুরু হয়েছে এবং কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছে । এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশের ৬০০টি চিকিত্সা সংস্থার আবেদন যাচাই করেছে । এর মধ্যে মাত্র ১৬০টি স্বাস্থ্য সংস্থা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে । ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান হবে । চিকিত্সার মান ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে । উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হুয়াং চিয়েফু বলেছেন , মস্তিস্কের মৃত্যু সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করলে বা সকলের স্বীকৃতি পেলেই কেবল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রদানের তাত্পর্য থাকবে । কারণ মানুষ মারা যাওয়ার কয়েক মিনিট পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরআর কোনো কার্যকরিতা থাকে না ।

  জানা গেছে , বর্তমানে বিশ্বে মৃত্যু সম্পর্কে হৃত্পিন্ডের স্পন্দনও শ্বাসপ্রশ্বাসবন্ধ এবং মস্তিস্কের মৃত্যু সহ দুই মানদন্ড রয়েছে । এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৯০টি দেশে মস্তিস্কের মৃত্যু সম্পর্কিত আইন কার্যকর রয়েছে । আইন অনুযায়ী রোগীদের মস্তিস্কের মৃত্যুর স্বীকৃতি দিলে রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা যায় । কিন্তু চীন দেশে এখনো হৃত্পিন্ডের স্পন্দনও শ্বাসপ্রশ্বাসবন্ধ এই মানদন্ড ব্যবহার করা হচ্ছে । উপমন্ত্রী হুয়াং চিয়েফু বলেছেন , চীনে মস্তিস্কের মৃত্যুতত্ত্বের জনপ্রিয় ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে ।

  হুয়াং চিয়েফু উল্লেখ করেছেন, বিদেশের তুলনায় চীন দেশে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের খরচ সস্তা সহ নানা কারণে কিছু কিছু বিদেশী বিশেষভাবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে চীনে আসেন । এ ব্যাপারে বাণিজ্যিক সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্টভাবে এর বিরোধিতা করছে । "নিয়ম"টি কার্যকর করার পর এই আচরণ কড়াকড়ি নিষিদ্ধ করা হবে । হংকং , ম্যাকাও ও তাইওয়ানবাসী ছাড়া অন্য দেশের কাউকে চীনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্তাপন করতে দেয়া হবে না ।