ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ১০ মে ব্রিটেনের সেজফিল্ডে ঘোষণা করেছেন, তিনি সে দিন থেকে লেবার পার্টির প্রধানের পদত্যাগ করবেন এবং ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

    বক্তৃতায় তিনি গত দশ বছরে লেবার পার্টি ও ব্রিটেনের নেতৃত্ব দেয়ার পুনরালোচনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, "তিনি সবসময় ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থকে প্রথম স্থানে রাখেন।" ইরাক সমস্যা প্রসঙ্গে ব্লেয়ার বলেছেন, তাঁর সিদ্ধান্ত হয়তো ভুল, কিন্তু তিনি মনে করেন, তিনি তত্কালীন ব্রিটেনের জন্য সঠিক বাছাই করেছেন।

    এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোসে মানুয়েল বারোসো এক বিবৃতিতে ব্লেয়ারের ১০ বছর ক্ষমতাসীন কালে অর্জিত সাফল্যের ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্লেয়ারের নেতৃত্বে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে ইউরোপের একীকরণ ত্বরান্বিত করেছেন। তিনি একটি উন্মুক্ত, সংস্কার ও শক্তিশালী ইউরোপকে সমর্থন করেন। তিনি আরো বলেছেন, ব্লেয়ার ইউরোপের জন্য অনেক নতুন চিন্তাধারা ও প্রাণশক্তি বয়ে এনেছেন এবং ই.ইউর সম্প্রসারণ, ই.ইউর অভিন্ন জ্বালানি সম্পদ নীতি, বিশ্বের আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবেলা, আফ্রিকার দারিদ্র্য বিমোচনসহ নানা ক্ষেত্রে লক্ষণীয় উত্তরাধিকার যাচ্ছেন।

    একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশ ব্লেয়ারের ইতিবাচক মূল্যায়ণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্লেয়ার হচ্ছেন একজন দুরদর্শি রাজনীতিবিদ।