চীনে প্রায় ৭০ শতাংশের পর্যটন প্রাকৃতিক সম্পদ গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু গ্রামীণ ভ্রমণ ২০ শতাব্দীর ৮০ দশকের শেষ দিকে ধাপে ধাপে উন্নয়ন হয়েছে। "গ্রামীণ বাড়িঘরে থাকা, গ্রামীণ খাবার খাওয়া এবং কৃষি কাজ করা" প্রধান বিষয় করে কৃষকদের জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করা জনপ্রিয় হচ্ছে।
সদ্য-সমাপ্ত সাত দিনব্যাপী ছুটির সময় অনেক দেশী-বিদেশী গ্রামে গিয়ে বিশেষ আরামদায়ক মর্যাদা অনুভব করেন।
জাতীয় পর্যটন ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর ৫০ কোটি পর্যটক গ্রামাঞ্চল ভ্রমণ করেন। প্রায় ২০ হাজারেরও বেশী গ্রাম এর জন্যে উন্নত হয়েছে। প্রায় ৬০ লাখ কৃষক দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন এবং তাদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে জাতীয় পর্যটন ব্যুরো আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ বছরের মধ্যে সারা দেশে মোট ১০০টি বিশেষ জেলা, ১০০০টি বিশেষ থানা এবং ১০০০০টি বিশেষ গ্রাম স্থাপিত হবে। যাতে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক জনগণ গ্রামীণ পর্যটনের সুফল ভোগ করতে পারেন।
*সংস্কৃতিবান নতুন কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া এবং কৃষকদের কৃষি প্রযুক্তি উন্নত করার জন্যে এ বছর চিয়াংসি প্রদেশের কৃষি প্রযুক্তিবিদরা ৩৭ হাজার কৃষককে বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষ করা ও পরিচালনা করার উপায় এবং বাজারের ব্যবস্থাপনা শিক্ষাদান করবেন।
*চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ৮ মে পেইচিংয়ে "২০০৭ সালের রেড ক্রস সোসাইটির সপ্তাহব্যাপী যত্ন" তত্পরতা শুরু করেছে। যাতে গ্রামের উন্নয়ন ও কৃষকদের চিকিত্সার সুনিশ্চিত সমস্যার প্রতি সারা সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায। এবারের তত্পরতার প্রসঙ্গ হলো "কৃষকদেরকে যত্ন করা, মিলিতভাবে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং রেড ক্রসের সাহায্য কৃষকদের বাড়িঘরে প্রবেশ করা"।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটির স্থায়ী উপ-পরিচালক চিয়াং ইমান ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তত্পরতার সময়কালে দেশের রেড ক্রস সোসাইটি গ্রামাঞ্চলের জন্য ওষুধ দেয়া এবং কৃষকদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে চিকিত্সা করাসহ ৭২টি তত্পরতা আয়োজন করে। এতে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যরক্ষা ও কৃষকদের স্বাস্থ্য সমস্যার উপর সারা সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
|