v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-08 22:11:00    
চীনের প্রাচীণকালের কাব্য সঙ্গীতের গায়িকা ওয়াং সু ফিন

cri
    চীনের প্রাচীণকালের কাব্য সঙ্গীতের তাল সুন্দর এবং অর্থও সুগভীর। এই সঙ্গীত চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি'র একটি অমূল্য অংশ। প্রাচীণকালের কবিতা, সঙ্গীতের মতো গাওয়া যায়। কিন্তু এখন তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে। আধুনিককালে কয়েকজন সঙ্গীতবিশারদ সেই কবিতাগুলো আবার সঙ্গীতের সঙ্গে গাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। ওয়াং সু ফিন এর মধ্যে একজন।

    যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো ওয়াং সু ফিন সুরারোপিত প্রাচীণকালের কাব্য সঙ্গীত "বিয়ে তুং তা"। এটি ৮ম শতাব্দীতে থাং রাজবংশের বিখ্যাত কবি কাও শি'য়ের কবিতা। তুং তা হলেন কাও শি'র একজন বন্ধু, তার সঙ্গে বিদায় নেয়ার সময়ে কাও শি এই কবিতা লিখেছেন। ওয়াং সু ফিন সুরারোপিত সঙ্গীতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ভালভাবে বিদায় দেয়ার দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

    ৬২ বছর বয়স্ক ওয়াং সু ফিন হলেন চীনের মিউজিক একাডেমি'র অধ্যাপক। ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল গায়িকা হওয়া। তিনি বলেছেন:

    "ছোটবেলা থেকে আমি গান গাওয়া খুব পছন্দ করতাম। আমার মা'য়ের কন্ঠসুর খুব ভাল ছিল। হয়তো আমি তার কন্ঠের উত্তরাধিকার পেয়েছি। স্কুলে শিক্ষক আমাকে চর্চা করিয়েছেন।"

    ১৯৬১ সালে ওয়াং সু ফিন চীনের মিউজিক একাডেমি'র হাইস্কুলে ভর্তি হন। তিনি মনোযোগ দিয়ে গান গাওয়ার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে খুব ভাল ফল নিয়ে তিনি মিউজিক একাডেমিতে ভর্তি হন। পড়াশোনার পর তিনি মিউজিক একাডেমি'র অধ্যাপক হন। পরে তিনি দক্ষিণ চীনের ফু চিয়েন প্রদেশে গিয়ে সেখানকার বৈশিষ্টময় "নান ইন" শেখা শুরু করেন।

    নান ইন হলো চীনের প্রাচীণকালের একরকম সঙ্গীত। এই সঙ্গীত শুনতে খুব সুন্দর কিন্তু শেখা খুব কঠিন। ওয়াং সু ফিন স্মরণ করে বলেছেন:

   "১৯৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমি কয়েকজন যুবক শিক্ষকদের সঙ্গে ছুয়েন চৌ যাই নান ইন শিখতে। আমি একজন শিক্ষকের কাছ থেকে নান ইন শেখা শুরু করি। তখন নান ইন'য়ের একটি বিখ্যাত গান ছিল, যার নাম হলো "ওয়াং মিং ইয়ুয়ে", অর্থাত উজ্জ্বল চাঁদের দিকে তাকানো। এই গানটি খুব কঠিন। আমার জন্য আরেকটি সমস্যা ছিলো গানের সব কথা ছুয়েন চৌ'য়ের আঞ্চলিক ভাষায়।"

    গানটি কঠিন হলেও ওয়াং সু ফিন কিন্তু সমর্পণ করেন নি। এক মাস ধরে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষার পর তিনি ভালভাবে এই গানটি গাইতে পেরেছেন।

    ১৯৮৪ সালে ছুয়েন চৌ'য়ে নান ইন'এর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো। এই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, হংকং ও তাইওয়ানের অনেক প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। ওয়াং সু ফিন "ওয়াং মিং ইয়ুয়ে" গেয়েছেন, তার গান শুনে সবাই অবাক হয়েছেন। এই অভিজ্ঞতায় ওয়াং সু ফিন নিজেও চীনের ঐতিহ্যিক কবিতা ও সঙ্গীতের সৌন্দর্য অনুভব করেছেন এবং এ থেকে তার মনে ঐতিহ্যিক সঙ্গীত আরো বেশি লোকের কাছে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন জন্ম নেয়।

    এ থেকে তিনি অনেক এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ও বিখ্যাত সঙ্গীতবিশারদের কাছ থেকে শেখা শুরু করেন। তিনি পশ্চিমা দেশের ক্লাসিক গান গাওয়ার পদ্ধতি এবং চীনের ঐতিহ্যিক কবিতা ও সঙ্গীত সংযুক্ত করে নিজের বৈশিষ্টময় স্টাইল সৃষ্টি করেছেন। যা ব্যাপক বিশেষজ্ঞ ও শ্রোতাদের প্রশংসা পেয়েছে। ওয়াং সু ফিনের মতে যদি আরো বেশি শ্রোতা তার গানের মাধ্যমে ঐতিহ্যিক কবিতা ও সঙ্গীতের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারে তাহলে তিনি খুশি হবেন।


1 2