v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-08 18:35:19    
দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সাধারণ পর্যায়ের আলোচনায় সামরিক নিশ্চয়তা চুক্তি সম্পাদিত হবে কিনা(ছবি)

cri

    পরিকল্পনা অনুসারে দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সাধারণ পর্যায়ের পঞ্চম আলোচনা ৮ মে পানমুনজোমে শুরু হওয়ার কথা। এবারের আলোচনায় ১৭ মে অনুষ্ঠিতব্য দু'দেশের মধ্যে চলাচলকারী রেলগাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই দু'পক্ষের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

    দক্ষিণ ও উত্তরের মধ্যে রেলপথ চালু করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দাই জোং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জোং ইল-এর মধ্যে ২০০০ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকে সম্পাদিত চুক্তির ফল। ২০০৩ সালের জুন মাসে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া ১৯৪৫ সালে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি রেলপথ মেরামত করতে শুরু করে। প্রায় দু বছর পর, মেরামত প্রকল্প প্রায় শেষ হয় এবং পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা প্রয়োজন। কিন্তু আইন অনুযায়ী কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। রেলগাড়িকে সামরিক সীমান্ত অতিক্রম করতে হবে। তাই রেলগাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে হলে দু'পক্ষের মধ্যে রেলগাড়ির নিরাপদে চলাচলের সামরিক নিশ্চয়তা চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। পরস্পরের প্রতি অনাস্থা থাকায় ২০০৪ সালের মার্চ থেকে ২০০৬ সালের মে পর্যন্ত চার বার রেলগাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার উদ্যোগ নিলেও দু'পক্ষের সামরিক নিশ্চয়তা না পাওয়ার কারণে ব্যর্থ হয়।

     ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত বিষয়ক কমিটির ত্রয়োদশ সম্মেলনে দু'পক্ষ ১৭ মে পূর্ব ও পশ্চিম উপকুল সংযুক্ত করা রেলগাড়ি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে রেলগাড়ির সামরিক নিশ্চয়তার ব্যবস্থা আবার আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

    জনমত এই যে, গত বছরের ১৬ মে অনুষ্ঠিত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ আলোচনায় গৃহীত সামরিক নিশ্চয়তার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা নিয়ে দু'পক্ষের মতভেদ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক নিশ্চয়তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। যাতে দু'পক্ষের রেলপথ ও রাজপথের জন্যে সামরিক নিশ্চয়তা যোগানো যায়। উত্তর কোরিয়া মনে করে, দু'পক্ষের সাধারণ পর্যায়ের আলোচনায় সামরিক নিশ্চয়তার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা অসঙ্গত। দু'পক্ষের নিম্ন সামরিক বিষয়ক প্রতিনিধির বৈঠকে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। উত্তর কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, সাধারণ পর্যায়ের বৈঠকে সামুদ্রিক সামরিক সীমান্ত আবার নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যাতে পশ্চিমাঞ্চলের সামুদ্রিক অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘর্ষ এড়ানো যায়। দক্ষিণ কোরিয়া এর বিরোধিতা করে। দক্ষিণ কোরিয়া মনে করে, ১৯৫৩ সালের কোরীয় উপদ্বীপের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পশ্চিম সামুদ্রিক অঞ্চলের "উত্তর সীমান্ত" দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বাস্তব সীমান্ত।