v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-09 19:52:32    
বায়ুমন্ডলীয় রসায়ন বিজ্ঞানী ডঃ বিশ্বাস কয়বী ফারহানার সাক্ষাত্কার

cri
    প্রঃ আপনি কি এবার প্রথম চীন সফরে এসেছেন?

    উঃ জ্বি, প্রথমবারের মতো এসে খুব ভাল লাগছে।

    প্রঃ এবারের সফরের প্রধান উদ্দেশ্য কি?

    উঃ সিয়ামেনে সোলাস ওশেন সায়েন্স কনফারেন্সে অংশ নেয়া। সোলাস হচ্ছে সার্ফেস ওশেন লোয়ার এটমসফেয়ার স্টাডি। এর মানে হচ্ছে সমুদ্রের উপবিভাগ ও বায়ুমন্ডলের নিম্নভাগের মধ্যে যে রাসায়নিক বিক্রিরা রয়েছে , সে সম্পর্কে শেয়ার করা। আন্তর্জাতিকভাবে শেয়ার করার জন্য এই কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে।

    প্রঃ তাহলে এই কনফারেন্স কি আগে কোন দেশ আয়োজন করেছিল?

    উঃ হ্যাঁ, কানাডা আয়োজন করেছিল। সাধারণত প্রতি দু' থেকে আড়াই বছর পর এ কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।

    প্রঃ তাহলে এবার কেন চীনে এই কনফারেন্স আয়োজন করা হলো?

    উঃ কারণ সোলাস একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এই গবেষণার কাজ প্রথম শুরু করেছিল ব্রিটেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রও সক্রিয় হয়। ব্রিটেন এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সঙ্গে হয়েছে কানাডা, জাপান। আমরা চাচ্ছি এশিয়ান দেশগুলোর উদ্যোগ আরও বাড়ুক। সেজন্য আমরা চায়নাকে বেছে নিয়েছি। শিয়ামেনের কনফারেন্স সেন্টার চমত্কার। নানা সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আমাদের কয়েকটি যায়গাই বিবেচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা চায়নাকেই বেছে নিই। চায়না সি ইন্ডিয়ান মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অংশে গবেষণা হয়েছে। সেজন্য আমরা চায়নাকেই বেছে নিই।

    প্রঃ এবারের কনফারেন্সে কোন কোন দেশ অংশ নিয়েছে?

    উঃ অনেক দেশ। চীন, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স অনেক দেশ।

    প্রঃ আসলে আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে জানি না এই সম্মেলন বা এই বিষয়ে গবেষণা সাধারণ মানুষের জন্য কি কি কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে?

    উঃ সোলাস মানে হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগ ও বায়ুমন্ডলের নিম্নভাগের মধ্যে কী কী ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ও আদান-প্রদান ঘটে। সমুদ্রে কিছু কাইটোপ্লাটন আছে। এরা শরীর থেকে এক ধরনের পদার্থ ছাড়ে। এখান থেকেই সালফার ডাই অক্সাইড তৈরী হয়। সালফার ডাই অক্সাইড থেকে তৈরী হয় । এই জন্য জলকনার সঙ্গে মিশে তৈরী হয় মেঘ। এই মেধ এবং বৃষ্টি জলবায়ুর পরিবর্তনে অনেক ভূমিকা রাখে। যেমন যদি সালফেট পার্টিকুলেট বাড়ে , তাহলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আকাশে দীর্ঘ সময় মেঘ থাকলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে কম পৌঁছবে। ফলে জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলবে। সুতরাং মানুষ যে শুধু পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে তাই না, প্রাকৃতিক কারণেও দূষণ ঘটছে। সেজন্য সোলাস চাচ্ছে , কিভাবে এই দূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, সে বিষয়ে একটি দিক নির্দেশনা তৈরী করা। এর মাধ্যমে কোন বিশেষ অঞ্চল বা দেশ যে উপকৃত হবে তাই নয়, সারা পৃথিবী উপকৃত হবে। এজন্য আমরা চাচ্ছি , সারা পৃথিবীর গবেষকদের অংশগ্রহণ।

    প্রঃ আপনি জানেন, চীনে এখন দুটি কনফারেন্স চলছে, এনপিসি ও সিপিপিসিসি। এই সম্মেলনেও পরিবেশ সুরক্ষার ওপর খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চীনের এই পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে আপনাদের ধারনা কী?

    উঃ হ্যাঁ, চীন এখন ওশনজি, এটমোসফেয়ার নিয়ে কাজ করছে। এই বিষয়ে চায়না বেশ কাজ করছে। দেখলাম, অনেক গবেষণা রিপোর্টও রয়েছে। চায়না ও প্যাসিফিকসি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবে পেইজিং এর দূষণ ক্রমশই বাড়ছে। আমি মনে করি চীন সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া দরকার। তা ছাড়া চায়না বর্তমানে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতে তার কোন বিরূপ প্রভাব পড়ে কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। বেইজিংয়ের দূষণ রোধে অনেক উদ্যোগই নেয়া সম্ভব। যেমন লন্ডনে বছর দুয়ের আগে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেমন অফিস সময়ে কিছু এলাকায় ব্যক্তিগত বাহন নিয়ে যেতে দেয়া হয় না। পাবলিক বাহন, ব্যবহারে উত্সাহ দেয়ার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ একটি ব্যক্তিগত বাহন অনেক কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। কিন্তু এতে এক বা দু'জন চলাচল করতে পারে। অন্যদিকে পাবলিক বহনে অনেক লোক চলাচল করতে পারে।

    প্রঃ কাজের বাইরে কি কি কাজ পছন্দ করেন?

    উঃ আমি গান শুনতে পছন্দ করি, পড়তে পছন্দ করি। নৃত্যও আমার পছন্দ। বিশেষ করে চীনা লোক নৃত্য আমার খুব ভালো লাগে। চীনা লোক সংগীতও আমার পছন্দ । চীনা কিছু ভাল ছবি আমি দেখেছি।

    প্রঃ আপনি কিভাবে চীনা গান শুনেছেন?

    উঃ আমার বাবা বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমীতে চাকরি করতেন। তার সুবাদে আমরা অনেক চীনা অনুষ্ঠান দেখেছি। চীনের বিভিন্ন প্রদেশের সাংস্কৃতিক দল বাংলাদেশে যেত। ছোটবেলায় সে সব অনুষ্ঠান আমি দেখেছি এবং মুগ্ধ হয়েছি। চীনের ৫ হাজার বছরের ইতিহাসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীর দেখা আমার স্বপ্ন ছিল। পেইচিংয়ে এসে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

    প্রঃ চীনের কী জিনিষ আপনার সবচেয়ে বেশী ভাল লাগে?

    উঃ চীনের সংস্কৃতি আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। এ্যাগ্রোবেটিক শো আমার ভাল লাগে। চীনা খাবারও আমার খুব প্রিয়।