v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-10 17:03:53    
সিশোংবাননা

cri
    পেইচিং –কুনমিং—ঢাকার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর বাংলাদেশ ও চীনের ইউনান প্রদেশের ব্যবধান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আমরাও জেনেছি, এখন অনেক বাঙ্গালী বন্ধুরা নানা কাজের জন্য ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং শহরে আসেন। বলাবাহুল্য , কুনমিং শহরের আশেপাশে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিশেষ করে ইউনান প্রদেশে অনেক সংখ্যালঘু জাতি বসবাস করে। তাদের জীবন যাপন সাধারণ চীনাদের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতর। মানে কেবল বিদেশীদের জন্য তাই নয়, বরং চীনাদের কাছেও ইউনান দেখার মতো একটি জায়গা।

    সোনালী ময়ুর হচ্ছে ইউনান প্রদেশের প্রতীক। ময়ুরের বিচরণ স্থল হচ্ছে ইউনান প্রদেশের সবচেয়ে দক্ষিণাংশের সিশোংবাননায় । সিশোংবাননা "উদ্ভিদ রাজ্য" ও "প্রাণীর রাজ্য" বলেও সুপরিচিত।

    সিশোংবাননা হচ্ছে চীনের জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। সুন্দর সিশোংবাননা একটি মনোরম ও আকর্ষণীয় ছবির মতো । সেখানকার চিনলুন গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ বাগান, মানফেই ড্রাগণ নামক সাদা টাওয়ার, বন্য হাতির পর্বত, সবুজ পাথরের বন, বাননা জাতি প্রথা বাগান, দাই জাতির গ্রাম ও চিনো জাতির গ্রামসহ অনেক দর্শনীয় স্থান সত্যিই আপনাদের বিমোহিত করবে।

    সিশোংবাননা হচ্ছে দাই জাতি অধ্যুষিত স্থান। থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের সীমানায় অবস্থিত বলে সেখানে অনেক বৌদ্ধ ধর্মের মন্দির ও স্থাপত্যকলা রয়েছে। বলা যায়, দাই জাতির লোকেরা মোটামুটি সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

    সিশোংবাননা হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া মুখী একটি গুরুত্বপূর্ণ জন পথ এবং ইউনান প্রদেশের বৈদেশিক ক্ষেত্রের উন্মুক্ত জানালা। এখানে দাই, হানি, লাকু, বুলাং ও চিনোসহ মোট ১৩টি সংখ্যালঘু জাতি বসবাস করে। এখন সিশোংবাননা হচ্ছে সুবিধাজনক পরিবহন একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।

    আপনারা ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং থেকে বিমান বা বাসে করে সিশোংবাননায় যেতে পারেন। এপ্রিল মাসে সিশোংবাননার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপর থাকে। কিন্তু দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বিরাট। সুতরাং সেখানে গেলে আপনাদের হালকা ও গরম কাপড় পড়া ও কমানোর ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখতে হবে। তা ছাড়া , সিশোংবাননায় কিন্তু প্রায়ই বৃষ্টি হয়, ফলে বাইরে গেলে সবসময় সঙ্গে ছাতা রাখবেন। কারণ ছাতা কেবল বৃষ্টি প্রতিরোধ করে তাই নয়, বরং রোদ প্রতিরোধ করে থাকে।