v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-09 17:02:29    
আফ্রিকান সাংবাদিক: চীনের কাছ থেকে অনেক শিখেছে

cri
    মুচিউকা তানজানিয়া প্রচার কোম্পানীর একজন সহকারী প্রডিউসার । চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আফ্রিকার ২৩টি দেশের ৪১ জন সংবাদদাতা ও সংবাদ কর্মীরা চীনে এসে তৃতীয় আফ্রিকান সংবাদদাতাদের প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়েছে । এর আগে মুচিউকা তানজানিয়ায় চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে জেনেছেন । এবার সত্যি সত্যিই তিনি চীনে এসেছে । তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন , চীনারা সত্যিই খুব ভালো । তারা সবসময় নিয়বে থেকে আমাদের অনেক সাহায্য করে । মুচিউকা সংবাদদাতাকে আরো বলেছে , ১৮ মার্চ তার জন্মদিন । এ সময়তার বয়স ৩১ বছর হয়েছে । সেদিন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আমাকে একটি বড় কেক উপহার দিয়েছে এবং অন্যান্য সাংবাদিকের সঙ্গে আমার জন্মদিন উদযাপন করেছে । রাতে আমি হোটেলে নিজের রুমে প্রবেশ করে দেখেছি যে রুমে একগুচ্ছ সুন্দর ফুল সাজানো । আমি জানি যে চীনা কর্মীরা বিশেষ করে আমার জন্য এ ফুল  দিয়েছে ।

    এ ছাড়া এসব আফ্রিকান অতিথীদের চীনাদের সাধারণ জীবন উপলব্ধি করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে চীনাদের আবাসিক এলাকা ও গ্রামে যাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে ।

    যদি শুধু একটি শব্দে আপনার চীন সফর বর্ণনা করেন , তাহলে সে শব্দটা কি ? এ প্রশ্নের উত্তরে সব আফ্রিকান সংবাদদাতা বলে , চমত্কার । চীনে পৌঁছা প্রথম দিন থেকে মুচিউকা ডায়রি লিখতে শুরু করেছে । সে বলে , আমি আমার দেশের একটি পত্রিকার পর্যটন সংস্করণে সবাইকে চীন সম্পর্কে জানাবো এবং চীনে যা দেখেছি , যা অনুভব করেছি , তা নিয়ে টি ভি অনুষ্ঠান করবো । চীনের গ্রামীণ নির্মাণ মুচিউকার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । সে বলেছে , আমি চীনের আন হুই প্রদেশের একটি গ্রামে গিয়েছি এবং সেখানে এক রাত থেকেছি । সেখানকার সাধারণ কৃষকের জীবন আমার জন্য এক অন্য রকমের জীবন এনে দিয়েছে , তা খুব ভালো । এমন শান্ত ও সুখী জীবন সরকারের সাহায্যের সঙ্গে জড়িত , তা স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টার সঙ্গেও জড়িত । তারা অতি পরিশ্রমি ।

    নামিবিয়ার এ পত্রিকার উপ প্রধান এডিটার হামাডা বলেছে , দেশে ফিরে যাওয়ার পর আমি আমার পাঠকদের জানাবো , চীন একটি উন্নত এবং সুষম দেশ , চীনের কাছ থেকে আমরা অনেক শিখতে পারবো । হামাডা বলেছে , পশ্চিমা তথ্য মাধ্যম আফ্রিকান জনগণের চিন্তাধারার ওপর বেশি প্রভাব ফেলেছে । পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমের খবরে চীন সবসময় বিশ্বের উন্নয়ন অনুসরণ করে না , চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি লঙ্খন করে এবং আইনকে সম্মান করে না । তবে আমরা চীনে দেখেছি , চীন সর্ব প্রচেষ্টা চালিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে । অনেক দেশের জন্য উন্নয়নের অর্থ হল উঁচ্চ ভবন , তবে চীনের জন্য উন্নয়নের অর্থ হল দারিদ্র্য হ্রাস করা এবং সুষ্ঠু সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ।

    কেনিয়ার এক পত্রিকার নির্বাহী প্রধান এডিটর আগান্ডা ২০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছে । সে কেনিয়া ও চীনের তুলনা করতে পছন্দ করে । চীনের সরকারী বিভাগের দূরদর্শিতা আছে । বড় প্রকল্প নির্মাণ করতে ইচ্ছুক । যেমন নতুন সড়ক উন্নয়ন করা । কেনিয়ার পাঁচ বছরের পরিকল্পনাও আছে । তবে হাউওয়েই-এর নির্মাণ ও পানিয় পানি ব্যবস্থার নির্মাণ অন্তর্ভূক্ত করা হয় নি ।

    এসব সাংবাদিক চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনেও একবার উপস্থিত ছিল । মুখপাত্র ছিন কাংয়ের বুদ্ধিমান কথা শুনে আগান্ডা বলেছে , চীন সরকার যোগ্য মানব সম্পদকে সরকারী বিভাগে কাজ করার আকর্ষণ করতে সক্ষম । আমি যে চীনা কর্মকর্তা দেখেছি , তারা সবাই ভালোভাবে শিক্ষিত । তবে আমার দেশে সরকার যথেষ্ট বেতন দিতে পারে না । তাই ভালো মানব সম্পদ সরকারী বিভাগে কাজ করতে চায় না ।