ফিজি প্রজাতন্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির আয়তন মোট ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। দেশের মোট ৩৩২টি ক্ষুদ্র দ্বীপ গঠিত হয়। এর মাধ্যমে ১০৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপে অধিবাসীরা বসবাস করে। ফিজির প্রচুর বিখ্যাত পর্যটনের স্থান রয়েছে। প্রত্যেক বছরে ফিজি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়।
১৯ শতাব্দীর শুরুতেই ইউরোপীয় অধিবাসীরা ফিজি এসেছিল। ১৮৭৪ সালে ফিজি ব্রিটেনের উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালের ১০ অক্টোবর, ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৮ সালের ২৭ জুন দেশটির নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। একই সঙ্গে দেশের নাম " ফিজি দ্বীপপুন্জ প্রজাতন্ত্র" পরিণত হয়। দেশটির লোকসংখ্যা ৮ লাখ ৬৮ হাজার। এতে ৫১ শতাংশ হলো ফিজি জাতি। ৪৪শতাংশ হলো ভারতীয় জাতি। অধিবাসীরা অধিকাংশই খৃষ্টান এবং ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। সরকারী ভাষা হলো ইংরেজী, ফিজি ভাষা।
ফিজি হচ্ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশি দ্রুততর দেশের মধ্যে অন্যতম। দেশটি জাতিয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্ব দেয়। এ জন্য দেশটির আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্র সুষ্ঠুভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। চিনির উত্পাদন , পর্যটন এবং কাপড় তৈরী সংক্রান্ত শিল্পহচ্ছে দেশটির তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি। তাছাড়া, ফিজির জেলে শিল্প সম্পদও প্রচুর।
২০ শতাব্দীর ৮০ দশকে ফিজি সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। বর্তমানে পর্যটনের আয় সারা দেশের জি.ডি.পির ২০ শতাংশ দাড়িয়েছে। দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভাগে মোট ৪০ হাজার জনগণের কাজে লাগানো হয়। এ সংখ্যা হলো দেশের কর্মসংস্থানের ১৫ শতাংশে। ২০০৪ সালে ফিজিতে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা মোট ৫ লাখ ৭ হাজারেরও বেশী। পর্যটনের আয় হয়েছিল মোট ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার ।
১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে চীন ও ফিজির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে ফিজি হচ্ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যের অংশীদার । ২০০৫ সালে চীন ও ফিজির দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ মোট ৪.৫ কোটি মার্কিন ডলার। যা গতবছরের তুলনায় ১৬.৯ শতাংশ বেশী।
|