বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রোতা রাজন সাহা অনিক তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনাদের প্রিয় খেলা কি? চীনে কি ক্রিকেট প্রিয়? উত্তরে বলছি, টেবিলটেনিস চীনাদের জনপ্রিয় খেলা। টেবিলটেনিকে চীনের জাতীয় খেলা বলে গণ্য করা হয়। ষাট দশের শেষ দিক থেকে এখন পযর্ন্ত চীনের জাতীয় টেবিলটিনিস দল সবর্দাই বিশ্বের চ্যাম্পীয়ন দল । চীনের টেবিলটেনিস খেলোয়াড়রাআন্তর্জিতিক প্রতিযোগিতায় অজস্রবার চ্যাম্পীয়নশীপ অজর্ন করেছেন। বিশ্বের টেবিলটেনিস খেলার মান উন্নত করার জন্যে চীন অনেক কোর্চকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। তা ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অনেক দেশে চীনের টেবিলটেনিস খেলোয়াড়দের দেখা যায়। তাঁরা অনেক দেশের টেবিলটেনিস ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। চীনে অধিকাংশ লোক টেবিলটেনিস খেলতে পারেন। অসম্পূর্ণ এক পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, সারা চীনে টেবিলটেনিসের অনুরাগীদের সংখ্যা কয়েক কোটি। চীনের ছোট-বড় শহরগুলোতে টেবিলটেনিস ক্লাব আছে। প্রত্যেক দিন বিশেষ করে ছুটির দিনে অনেক অনুরাগী সাখানে চর্চা করে বা প্রশিক্ষণ নেয়। প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যায় পযর্ন্ত টেবিলটেনিস খেলার প্রশিক্ষণ কোস আছে। অনেক মাধ্যমিক স্কুল আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ নিজ টেবিলটেনিস দল আছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শহরের পার্কগুলোতে টেবিলটেনিস ডেস্কও স্থাপিত হয়েছে। প্রত্যেক দিন লোকজনকে পার্কে টেবিলটেনিস খেলতে দেখা যায়। এক কথায় চীনে জনসাধারণের মধ্যে টেবিলটেনিস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এখন দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। চীনে ক্রিকেট মোটেই জনপ্রিয় নয়। দু:খের ব্যাপার হল অনেকেই ক্রিকেট খেলার নিয়মও জানে না। বতর্মানে চীনে কোন ক্রিকিট দলও নেই। আশা করি, ভবিষ্যতে অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যক চীনা লোক এই খেলা পছন্দ করবেন।
খুলনা জেলার শ্রোতা অহীদুজ্জামান তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কি কোন বাংলা ছায়াছবি দেখানো হয়? উত্তরে বলছি, এখন পযর্ন্ত চীনের সিনিমায় বাংলা ছায়াছবি দেখানো হয়নি। এর আগে ভারতের কয়েকটি ছায়াছবি দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ক্রমেই বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে হয়তো বাংলা ছায়াছবি চীনা মানুষের পরিচয় করিয়ে দেয়া যাবে।
চট্টগ্রামের শ্রোতা মাইন উদ্দিন তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনদেশে পড়াশুনা করতে চাইলে স্কল্যাশীপ পাওয়া যায়? প্রত্যেক বছর কত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীকে আনা হয়? উত্তরে বলছি, চীন সরকার বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কল্যাশীপ দেয়। বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীর কোন ব্যতিক্রম নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রত্যেক বছর দশ-বারো জন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী চীনের স্কল্যাশীপ পেয়ে থাকেন। তা ছাড়া , নিজের খরচে চীনে পড়াশুনা করতে পারেন। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোবিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত। বতর্মানে কয়েক ডজর্ন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। যদি আপনি চীনে পড়াশুনা করতে চান তাহলে তাহলে প্রথমে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কাছে আবেদন করতে হবে। অনুমোদন পেলে একটি বিশেষ পরীক্ষা দিতে হবে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কেবল চীনের স্কল্যাশীপ পেতে পারেন। চীনদেশে পড়াশুনার জন্যে আপনাদের স্বাগতম।
|