v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-05-01 18:55:24    
চীনারা  দীর্ঘ সাত দিনের ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণ পছন্দ করেন

cri
    পয়লা থেকে ৭ মে পর্যন্তচীনা লোকেরা সাত দিনের এক দীর্ঘ ছুটি পান । এটা এক বছরের তিনটি দীর্ঘ ছুটির মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ মেয়াদী ছুটি । এখন অধিক থেকে অধিকতর চীনারা বিদেশ ভ্রমনের মাধ্যমে এই দীর্ঘ ছুটি কাটান ।

    সাও ইয়ুন পেইচিংয়ের এক কোম্পানিতে কাজ করেন । বিগত কয়েক বছরে দীর্ঘ ছুটিতে তিনি নিজের খরচে অনেক দেশ ও অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন । তার বাড়িতে , টেবিলে বা বই রাখার আলমারিতে ভ্রমণের সময় তোলা ছবি বা কেনা নানা ধরণের স্মৃতির জিনিস সাজানো রয়েছে । তিনি বলেন , এ বছরের মে দিবসের দীর্ঘ ছুটির সময় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ করতে যাবেন । তিনি বলেন, এর আগে আমি বন্ধুদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সহ বেশ কয়েকটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশ ভ্রমণ করেছি । এবার আমরা পর্যটন দলের সঙ্গে ইউরোপ সফর করতে যাব ।

    মিস সাওইয়ুনের মতো গত কয়েক বছর ধরে বিদেশ ভ্রমণকারী চীনা লোকদের ছুটি কাটানোর একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে । পরিসংখ্যানে জানা গেছে , গত বছর মোট তিন কোটি ৪০ লাখ চীনা নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ করেছেন । আগের বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় এটা ১০ শতাংশ বেশি । এশিয়ার বিদেশ ভ্রমনবাজারে চীন তার প্রথম স্থান বজায় রেখেছে । এর কারণ হল , একঃ চীনের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে চীনাদের জীবন দিন দিন উন্নত হয়েছে । দুইঃ প্রতি বছরের বসন্ত উত্সব , পয়লা মে ও পয়লা অক্টোবরএই তিনটি দীর্ঘ ছুটি চীনাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে ।

    পয়লা মের ছুটির আগের কয়েক দিন ধরে পেইচিংয়ের পর্যটন কোম্পানিগুলোর কাছে অনেক লোকই বিদেশ ভ্রমণেরজন্য যোগাযোগ করেছেন । ছুটি শুরু মাত্রই তারা পরপর তাদের দীর্ঘ অভিযাত্রা শুরু করেন । এ সম্পর্কে চীনের পর্যটন ব্যুরোর বিদেশ ভ্রমন বিষয়ক তুন চিতুং বলেন ,সাধারণ সময়ের তুলনায় মে দিবসকালে বিদেশ ভ্রমনের লোকসংখ্যা৩০ শতাংশ বেশি । তিনি বলেন , আগের বছরের তুলনায় এবছরের বিদেশ ভ্রমণের অবস্থা ভাল । ইউরোপ এখন চীনাদের সবচেয়ে কাক্ষিত গন্তব্য স্থান । তাছাড়া থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশগুলো দীর্ঘকাল ধরে চীনাদের পছন্দনীয় ভ্রমণের স্থান। চীনারা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ওভ্রমণ করতে পছন্দ করেন ।

    এ পর্যন্ত চীনা নাগরিকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণের গন্তব্য দেশ বা অঞ্চলের মোট সংখ্যা ১৩০-এ দাঁড়িয়েছে । তু চিতুং বলেন , ভ্রমনের ব্যয় ও উপভোগের মান উন্নতির পাশাপাশি অধিক থেকে অধিকতর চীনা পর্যটক আগের মতো একদিনেই এক বা দুই দেশ বা স্থানভ্রমণ করতে চান না , তারা ভাল করে একটি দেশ ভ্রমণ করতে চান । তাই এ বছরের পয়লা মে'র ছুটিতে চীনের বিভিন্ন জায়গার পর্যটন সংস্থা অতীতের কয়েক দিনের মধ্যে কয়েকটি দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেপরিবর্তন এনে একটি দেশ কয়েকদিন ধরে ভ্রমণের বন্দোবস্ত করেছে । যাতে পর্যটকরা ভালভাবে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন ।

    দীর্ঘ ছুটিতে হাজার হাজার চীনা পর্যটকরা বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যান । তাদের উপস্থিতি বিভিন্ন জায়গার জন্য বিপুল পরিমাণ আয়ের সৃষ্টি করেছে । এ সম্পর্কে অষ্ট্রিয়ার পর্যটন ব্যুরোর পেইচিং কার্যালয়ের পর্যটন বিষয়ক কর্মকর্তা মাদাম কো বলেন , ২০০৬ সালে এক লাখ ৭৬ হাজার চীনা নাগরিক অষ্ট্রিয়া সফর করেছেন । এ ছাড়া চীনা পর্যটকদের পর্যটন ব্যয় খুব ভাল । সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান অনুযায়ী অষ্ট্রিয়ায় বিদেশী পর্যটকদের মাথাপিছু ব্যয়ের মধ্যে চীনাদের স্থান চতুর্থ । বলাবাহুল্য এতে আমরা খুব খুশি ।

    বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অনুমান অনুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত চীনের বিদেশ ভ্রমণের লোকসংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে । এক সংশ্লিষ্ট একটি পরিসংখ্যানে জানা গেছে , চীনা পর্যটকের বিদেশ ভ্রমণের মাথাপিছু ব্যয় বিশ্বের পুরোভাগে রয়েছে । বিশ্লেষকরা মনে করেন , চীনের পয়লা মে , পয়লা অক্টোবর ও বসন্ত উত্সব এই তিনটি দীর্ঘ ছুটি চীনা জনগণের জন্য বিনোদন ও বিশ্রামের সুযোগ এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার পর্যটন শিল্পের জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করেছে ।