v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-30 18:38:29    
চীন লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে

cri
    সম্প্রতি চীনের জাতীয় জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান চান উয়ে ছিং একটি অধিবেশনে বলেছেন , চীন বিশ্বে একটি দায়িত্বশীল দেশের ভূমিকা নেবে , লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে এবং বিশ্বর লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে সক্রিয় অবদান রাখবে ।

    চীন ১৩০ কোটি লোকসংখ্যাসম্পন্ন একটি বড় দেশ । চীনের লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ও পরিবার পরিকল্পনার কাজ চীনের উন্নয়ন তথা বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে । গত শতাব্দীর সত্তরের দশক থেকে চীনে পরিবার পরিকল্পনা নীতি কার্যকরী করার পর গত ত্রিশ বছরের বেশী সময়ে চীনে নবজাত শিশুর সংখ্যা ৪০ কোটি কমেছে । এই নীতির কার্যকরীকরণ চীনের অর্থনীতি , সমাজ , সম্পদ ও পরিবেশের উপর লোকসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ কার্যকরভাবে কমিয়ে দিয়েছে ।

    চীনের জাতীয় লোকসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান চান ওয়ে ছিং বলেছেন , বর্তমানে চীনের লোকসংখ্যা নীতি লোকসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন থেকে প্রসূতি ও নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা ও সার্বিকভাবে লোকসংখ্যা সমস্যা সমাধানের দিকে রুপান্তরিত হচ্ছে । লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ক্ষেত্রে চীনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে । চীন বিদেশের উন্নত অভিজ্ঞতা নেয়ার চেষ্টা করছে । তিনি বলেছেন , চীন জাতি সংঘের লোকসংখ্যা তহবিল সংস্থার প্রকল্পগুলোতে অংশ নিয়েছে । চীন জাতিসংঘের লোকসংখ্যা তহবিল ও ফোর্ড তহবিলের সঙ্গে মিলে পরিবার পরিকল্পনা এবং প্রসূতি ও নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার কাজ করেছে , উন্নত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা চীনের বাস্তব অনুশীলনে ব্যবহার করেছে এবং চীনের লোকসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা আরো উন্নত করেছে ।

    আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়া চীন জাপান , অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গেও সহযোগিতা করেছে । জাপান সরকারের আর্থিক সাহায্যে মধ্য ও পশ্চিম চীনে প্রসূতি ও নবজাত শিশুদের স্বাস্থ্যরক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে চলছে । অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মিলিতভাবে পশ্চিম চীনের নারীদের স্বাস্থ্য রক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প এবং চীনের এন জি ও সংস্থাগুলোর উদ্যোগে বিদেশী আর্থিক সাহায্যে চালানো এইডস রোগ প্রতিরোধ প্রকল্পে সুফল পাওয়া গেছে । চান ওয়ে ছিং বলেছেন , পরবর্তীকালে চীন অব্যাহতভাবে এ ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবে ।

    চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে , বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লোকসংখ্যা এক বড় সমস্যা । চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ক্ষেত্রে চীন অন্য দেশকে সাহায্য দিতে শুরু করেছে । চান ওয়ে ছিং বলেছেন , লোকসংখ্যা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় চীন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে । আগে চীন শুধু সাহায্য গ্রহণ করত , এখন চীন সাহায্যগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অন্য দেশকে সাহায্য দিতেও শুরু করেছে ।

    চান ওয়ে ছিং বলেছেন , চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাধ্যমতো সমর্থন দেবে । তিনি বলেছেন , চীন হচ্ছে লোকসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার উদ্যোক্তা , সমর্থক ও অংশিদারী দেশ । চীন আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রসূতি ও নবশিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আন্তর্জাতিকসহযোগিতার কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করেছে । ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে , বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য তিন শ'জন কর্মী প্রশিক্ষণ দেবে , এসব দেশকে এক কোটি ইউয়ান মূল্যের ওষুধপত্র ও চিকিত্সা যন্ত্র সরবরাহ করবে । এ ছাড়া চীন সরকার স্থানীয় লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন বিভাগ ও এন জি ও সংস্থাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ওষুধপত্র ও চিকিত্সা যন্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে ।

    এ ছাড়া চীন সরকার বিদেশের সংসদ সদস্য ও সরকারী কর্মকর্তাদের চীন সফরের আমন্ত্রন জানাবে । চীনে সফরের মাধ্যমে তারা চীনের পরিবার পরিকল্পনা নীতি উপলব্ধি করবেন এবং চীনের লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রও পরিবার পরিকল্পনা কাজের সুফল দেখতে পাবেন ।