v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-30 15:00:16    
ফ্রান্সের প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট

cri
    "আজকে আমরা প্যারিসে ডাইডেরোট বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত । আমি মনে করি, এটি হবে চীন ও ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।"

    ফ্রান্সে চীনের মিনিস্টার চু সিং সম্প্রতি ফ্রান্সের প্যারিসে ডাইডেরোট বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণের কিছু অংশ আপনারা সবেমাত্র শুনেছেন। এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট হচ্ছে ফ্রান্সের প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও ফ্রান্স সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময় ধাপে ধাপে ঘনিষ্ঠতর হয়ে উঠেছে। এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে এই কথাই প্রমানিত হয়েছে।

    ফান্সের এই প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীনা ভাষা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ইনস্টিটিউট চীনের উ হান বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিসের ডাইডেরোট বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তির কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত এই ইনস্টিটিউটে এক শো চব্বিশজনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা উ হান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন। ইনস্টিটিউটের এসব ছাত্রছাত্রীকে চীনা ভাষা শেখানো ছাড়াও, সুন্দর হস্তাক্ষর কোর্স,থাই চি মুষ্টিযুদ্ধ কোর্স ও রন্ধন প্রণালী কোর্সের ওপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীন পক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, উ হান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চৌ হান বিন ব্যাখ্যা করে বলেছেন,

    আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই অবসর-প্রাপ্ত ও বিভিন্ন দপ্তরে যে কোন পদে আসীন ব্যক্তি। তাঁরা আশা করেন, চীনা ভাষা কোর্স ও সাংস্কৃতিক কোর্স শেখার মাধ্যমে চীনের সমাজ,সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে আরো বেশী জানতে ও বুঝতে পারবেন। আমরা আশা করি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সুষ্ঠুভাবে চালানোর মাধ্যমে ফ্রান্সের চীনকে জানার এক ফলপ্রসুভাবে বিনিময়ের প্ল্যাটফরমে পরিণত হবে।

    কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ হচ্ছে চীনের সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া। মিনিস্টার চু সিং বলেছেন, বর্তমানে ফ্রান্সে ২০ হাজারেরও বেশি লোক চীনা ভাষা শিখছেন। তিনি মনে করেন, ফ্রান্সে এমনকি বিশ্বে চীনা ভাষা শিক্ষার হিড়িক পড়ার তিনটি কারণ রয়েছে।

    চীনের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বে চীনের অবস্থান আরো সংহত ও প্রতিনিয়ত উন্নতি লাভ করায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ব্যক্তি বর্গগণ চীনকে প্রত্যক্ষভাবে জানতে চান। এটি একটি রাজনৈতিক কারণ ও বটে। দ্বিতীয়ত, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চীনের দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। চীনের সাংস্কৃতিক অবস্থান ঐতিহ্যময় ও শ্রেষ্ঠসারির। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। চীন বিশ্বের বিভিন্ন বহু জাতিক কোম্পানির কাছ থেকে আরো উন্নত মানের সহায়তা পাচ্ছে। সুতরাং ফ্রান্সে চীনের সঙ্গে বিনিময় কর্মকান্ডে জড়িত কোম্পানিগুলোর চীনা ভাষা বলতে ও লিখতে পারা প্রতিভাবান কর্মী আরো বেশি দরকার।

    কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রাথমিক ক্লাসের ছাত্রী তামিল্লি ক্রান্টাইএর এক ভালো উদাহরণ। তিনি একটি পোষাক শিল্প বাণিজ্যিক কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। যদিও সব সময় তিনি খুব ব্যস্ত থাকেন, তবুও তিনি চীনা ভাষা শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    গত ২০ বছর, আমি পূর্বমুখী ভাষা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়ার সময় কিছু চীনা ভাষা শিখেছি। গত বছর থেকে আমার কোম্পানি তাইওয়ান ,শাংহাইয়ের কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যিক বিনিময় বাড়াচ্ছে। তাই আমি আশা করি, চীনা ভাষা আরো বেশি শিখতে পারবো। যার ফলে চীনের কোম্পানির লোকের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে বিনিময় করা সহজ হবে।

    চীন ও ফ্রান্সের বিনিময় ধাপে ধাপে ঘনিষ্ঠ হবে। এটি চীন ও ফ্রান্সের সম্পর্কের সার্বিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের উপপরিচালক জেরোম পাস্কুইয়ার ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

    কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্যারিসে গড়ে তোলা চীন ও ফ্রান্সের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে অব্যাহতভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা আরেক বার স্বীকার করলো। অন্য দিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফরাসী ভাষা চীনে আরো অগ্রগতি অর্জন করেছে। বহু নগরে এলায়েন্স ফ্রান্সেইজ-এর স্কুল গড়ে তুলেছে। আমরা মনে করি, এলায়েন্স ফ্রান্সেইজ এবং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার মাধ্যমে দু'দেশের জনগণ পারস্পরিক সমঝোতা ত্বরান্বিত করবে এবং তারা দু'দেশের সংস্কৃতিতে জানার ও বোঝার পথকে উন্নত করবে।