v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-25 18:13:58    
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের উপসচিব শামীমা নার্গিসের সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri

 প্রঃ ২০০৮ সালের ৮ই আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে বেইজিং অলিম্পিক । এটা এশিয়ায় প্রথম হচ্ছে। এটা নিয়ে আপনার অনুভূতি কি?

 উঃ অবশ্যই , আমাদেরকে তারা বারবারই যে ষ্টেডিয়ামটা নির্মাণ করা হচ্ছে যে কনফারেন্স রুমটা তৈরী হচ্ছে, যেটা ঠিক সেই পাখীর প্রতিকৃতির মত এবং পাশাপাশি যে খেলার মাঠটা তৈরী হচ্ছে আমাদের দেখিয়েছে, পরবর্তী সময়ে আমরা যতবার রাস্তাটা ক্রস করেছি আমরা নিজেরাই আলাপ করেছি ২০০৮ সালের অলিম্পিকের কথা এখনি বুঝতে পারছি, যেমন আজকেও আমরা যখন হাটছিলাম, কালকে দুপুরে ও যখন হাটছিলাম দেখেছিলাম কিছু চীনা ছেলেমেয়ে তারা একটা প্লে-গ্রাউন্ডে দৌড়ের প্র্যাকটিস করছে। বুঝতে পেরেছি চীন এখন থেকেই তৈরী হচ্ছে এবং এশীয়ার একটা দেশের মধ্যে অলিম্পিকের ইভেন্টগুলো ঘটতে যাচ্ছে , দেখে আমরাও এতে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

 প্রঃ আপনি বিভিন্ন যায়গায় ঘুরেছেন, নানা কিছু খেয়েছেন। ওদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কি বিষয় আপনার সবচে ভালো লেগেছে চায়নীজদের।

 উঃ জ্বি, আমি অন্যভাবে উত্তরটা দেই, খারাপ তেমন কিছু লাগে নি। তবে অন্য দেশে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে যে সুবিধাটা রয়েছে তাতে আপনি কিন্তু ফাষ্ট হ্যান্ড একটা কমিউনিকেশনে যেতে পারেন। সোসালাইজেশনের একটা বিরাট সুযোগ রয়েছে এবং আমরাতো অন্যান্য দেশ ঘুরেছি, কিন্তু এখানে জিনিসটা হচ্ছে টোটালি ট্রেনশ্লেসন বেইজড। তো এখানে কিন্তু একটু অন্য রকম অন্যদেশের মার্কেটে গিয়ে সোসালাইহড হয়ে যাওয়া যায়। তবে এখানে তাদের দু'একটা কথা থেকে ধারণা পেয়ে যাচ্ছি। চায়নাতে আমার সেই সুযোগটা একটু কম মনে হয়েছে। তারপরও চায়নীজ পিপল শিখছে কিন্তু সেটা আমরা টের পেয়েছি , আবার লার্জ স্কেলে সেটা আছে সেটাও আমার মনে হয় নি। তবে আমার যেটা ভালো লেগেছে সেটা হলো এখানে "দে সীমস টুবি ভেরা ফ্রেন্ডলী"। কিন্তু ডিগ্রিটা মাপার সুযোগ হয় নি। আসলে কথা বলেতো বোঝাতে পারছি না। তারাও কিন্তু বলছে আমিও কিছু বলছি কিন্তু পৌঁছাতে পারছি না।

 প্রঃ বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে চমত্কার সম্পর্ক রয়েছে । আপনারা যে এই সেমিনারে এসেছেন এটা একটা প্রমাণ। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ,বিমান বাহিনী , নৌ বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তারা এখানে ট্রেনিং করছে। এই দু'দেশের যে এই চমত্কার সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক উন্নয়নে আরো কি করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন।

 উঃ এ সম্পর্কে কালকেই আমরা একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে, সে ক্ষেত্রে তারাতো আমাদের একটা ধারণা দিচ্ছে এবং চলমান কিছু প্রোগ্রাম আছে সে ক্ষেত্রে আমাদের পিকিং ইউনিভার্সিটির যে প্রফেসর - যেটা আমাদের সবার কাছেই অনেক বেশী মনে হয়েছে এটা একটা গ্রহণযোগ্য কিছু এবং এটা আমরা চেষ্টা করবো আমাদের লেবেল থেকে এই বার্তাটা পৌঁছে দেয়া যায় কিনা। কারণ তারা পাকিস্তানের মডেলের সাথে তুলনা করছিল, যেমন পাকিস্তানে তারা একটা ফাইভ ইয়ার্স প্ল্যানে চায়না সরকারের সাথে তারা একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আরেকটা যেটা তারা করতে চাচ্ছে, সাজেশন দিয়েছে যে বাংলাদেশে একটা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করে দেয়া যায় কিনা? যেখানে অনেক চায়নীজ এন্টার প্রাইজ যাবে এবং এট দ্যা সেম টাইম তারা বাংলাদেশে অনেক এন্টার প্রাইজকেও একটা সুযোগ দেবে এবং অনেক সাবসিডিও ডেবে বলেছে। মানে, সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে যদি দুই সরকারের মধ্যে কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী যা বাংলাদেশ ও চীনের কাছে আরো অনেক বেশী পরিচিত করে তোলা যায়। তো, এখানটায় আমরা এই ট্রোনিং প্রোগ্রামে। আপনি জানেন যে, আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়েরই বিভিন্ন বিভাগ থেকে যেমন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, যার মাধ্যমে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। এই জিনিসগুলো প্রসেস্ড হয় অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্ল্যানিং মিনিষ্ট্রিতে। কাজেই এই সমস্ত বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আসছেন। আপনি জানেন, ফিরে গিয়ে আমাদেরও একটা রিপোর্ট দিতে হবে সরকারের কাছে। সেই রিপোর্ট তো নিশ্চয়ই বিভিন্ন লেবেলে আলোচনা হবে। প্রথম রিপোর্টটাই যে গুরুত্ব পাবে , আমি বলছি না, তবে রিপিটেডলি যদি এই ধরনের একই ম্যাসেজ যেতে থাকে , অবশ্যই নীতি নির্ধারনী বিভাগ সেটা বিবেচনা করবে।