গত মাসে ফ্রান্সের প্যারিস ডাইডেরোট বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রান্সের এই প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীনা ভাষা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত এই ইনস্টিটিউটে এক শো চব্বিশ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। ইনস্টিটিউটের এসব ছাত্রছাত্রীকে চীনা ভাষা শেখানো ছাড়াও , সুন্দর হস্তাক্ষর কোর্স, থাই চি মুষ্টিযুদ্ধ কোর্স ও রন্ধন প্রণালী কোর্সের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে লিলু এ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবেন।
চীনের রাজধানী পেইচিংয়ের পশ্চিম দিকে অবস্থিত একটি পাড়ায় একজন অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বসবাস করেন। তার নাম ছাও রুন সিং। বয়স ৬৯ বছর। তিনি তার পাড়ার একটি আবর্জনা-ভরা খালি জায়গাকে সবার প্রিয় একটি ছোট বাগানে পরিণত করেছেন। তিনি ও তার আশেপাশের অধিবাসীরা এ বাগানে নানা ধরণের গাছ ও ফুলও লাগিয়েছেন। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এখানকার ফুলের সুগন্ধে ও নানা রকম পাখীর গানে পাড়ার অধিবাসীরা এ ছোট বাগানে বসতে পছন্দ করেন। ২৫ এপ্রিল সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ ছাও রুন সিংয়ের কাহিনী আপনাদের বলবেন।
বর্তমানে চীনে মোট ১০ কোটি কৃষি শ্রমিক রয়েছে। তারা প্রধানতঃ বিভিন্ন শহরে নির্মাণ, বস্ত্র ও তৈরি পোষাক এবং রেস্তোঁরার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। চীনের অর্থনৈতিক বিকাশে তারা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। চীনের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সম্প্রতি কৃষি শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। যেমন যেসব মহকুমা ও গ্রাম থেকে কৃষকরা বিভিন্ন শহরে কাজ করতে গেছেন, সেসব মহকুমা ও গ্রামে ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হবে। কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ এবং তাদের বেতন দেয়ার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যক্তিরা মনে করেন যে, এসব ব্যবস্থা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কৃষি শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চীনের ট্রেড ইউনিয়নের কাজকর্ম ধাপে ধাপে বিধিসম্মত হচ্ছে । ২৭ এপ্রিল সেই গ্রাম এই জীবন আসরে শি চিং উ এ সম্পর্কে কিছু বলবেন।
পাই খু ইয়াও চীনের অন্যতম সংখ্যালঘু জাতি ইয়াও জাতির একটি শাখা। সাদা রঙের পাজামা পরতে পছন্দ করেন বলে তাদেরকে এই নাম দেয়া হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে তারা প্রধানতঃ দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইয়ুননান প্রদেশ, কুইচৌ প্রদেশ ও কুয়াংশি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পাবর্ত্য এলাকাগুলোতে বাস করেন। পাবর্ত্য এলাকার দারুণ পরিবেশের জন্য তাদের জীবনযাপন ও উত্পাদনের অবস্থা অত্যন্ত পিছিয়ে ছিল। তবে গত কয়েক বছরে পাই খু ইয়াও জাতির লোকেরা স্বজাতির সাংস্কৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে জাতীয় শিল্প উন্নয়ন করায় তাদের জীবনযাপন স্বচ্ছল হয়ে উঠেছে। ২৮ এপ্রিল ওরা অনন্য আসরে থান ইয়াও খাং পাই খু ইয়াও জাতির অধিবাসী লি শাও সেন ও তার পরিবারের স্বচ্ছলতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই সকল শ্রোতাবন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।
|