জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইরাকের শরনার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১৮ এপ্রিল জেনেভায় শেষ হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ইরাকের জন্য সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই দিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পর পর ৪টি বিস্ফোরণে প্রায় ২০০জন প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক উচ্চ কর্মকর্তা আন্টনিও গুটেরিস বলেছেন, অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ইরাকের শরনার্থীদের জরুরী মানবিক সাহায্য দেয়ার কথা বলেছেন। তারা সিরিয়া, জর্দান ইত্যাদি প্রতিবেশী দেশ ইরাকের শরনার্থীদের জন্য সীমান্ত খোলা রাখায় প্রশংসা করেছেন। প্রতিনিধিরা ইরাকী সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি জরুরী উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় সমঝোতার ভিত্তিতে ইরাকের শরনার্থী সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছে।
একই দিনে মিশর সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস কায়রোয় আরব দেশগুলোর প্রতি তাদের প্রভাব ব্যবহার করে ইরাকে সহিংস তত্পরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
একই দিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পর পর ৪টি বিস্ফোরণ । প্রায় ২০০জন নিহত এবং ২৫০জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণগুলো বাগদাদের কেন্দ্র স্থলের শিয়াপন্থীদের আবাসস্থল সাদ্রিয়া বন্দর, পূর্ব বাগদাদের একটি পুলিশ চেক পয়েন্ট এবং কেন্দ্র স্থলের একটি ব্যক্তিগত চিকিত্সা কেন্দ্রে ঘটেছে। ইইউ'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ জার্মানি বাগদাদে বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
|