v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-18 18:43:07    
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরাকের শরণার্থী সংক্রান্ত সমস্যার ওপর গুরুত্ব দেয়

cri
    " ইউ এন এইচ সি আর" এর ১৭ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরাকের শরণার্থী সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্মেলনে মোট ৬০টিরও বেশি দেশের মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের উদ্যোগে ইরাক যুদ্ধ শুরু করার পর, ইরাকে বেশি গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি দেখা যায়নি। বরং দেশটিতে গুরুতর মানবাধিকার সংকট রয়েছে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইরাকী জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ কর্মকর্তা অ্যানটনি গুতোরেস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন :" এখন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইরাক যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত একটি ভয়াবহ যুদ্ধ। তবে মানুষ ইরাকের মানবাধিকার সংকটের বিষয়টি খুবই কম জানে। এ ব্যাপারে অনেক বেশি গৃহহারাদের ট্র্যাজেডি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়নি।"

    গুতোরেস এসব কথা এবারের সম্মেলন লক্ষ করে বলেছেন। যাতে সারা বিশ্ব ইরাকের শরণার্থী সমস্যার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। আসলে, ইরাকের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর । পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরুর পর, মোট ২০ লাখেরও বেশি ইরাকী শরণার্থী হিসেবে বিদেশে পালিয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারী থেকে ইরাকের ধর্মীয় সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে শুরু হওয়ায় দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। শুধু গতবছর নতুন শরণার্থীর সংখ্যা হয়েছে ৮ লাখ। এখন প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইরাকী শরণার্থী ব্যাপকভাবে প্রতিবেশী দেশে চলে যায়। এর ফলে ইরাকের গৃহহারাদের সংখ্যা হয়েছে মোট ২০ লাখ।

    হাজার হাজার শরণার্থী ইরাকের প্রতিবেশী সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরানসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়া এবং জর্ডানে ইরাকী শরণার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ । এ জন্য গুতোরেস তার উচ্চ পর্যায়ের মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন:" সিরিয়া এবং জর্ডান বাইরের কোন সাহায্য না পেয়েও ইরাকী শরণার্থীদের জীবনের নিশ্চয়তা এবং মৌলিক মানবিক সাহায্য দিয়েছে। আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

    তিনি আরো বলেছেন, এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইরাকের শরণার্থী সমস্যা সমাধান করা এবং সিরিয়া ও জর্ডানের মতো দেশগুলোকে সাহায্য দেয়ার উপযুক্ত সময় ।

    জনমত এই যে, হাজার হাজার ইরাকী শরণার্থী তাদের অবস্থানকারী দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মৌলিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ইরাকের প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সীমান্ত পরীক্ষার কাজ জোরদার করেছে। একই সঙ্গে সৌদী আরব প্রচুর অর্থ দিয়ে ইরাকের প্রতিবেশী অঞ্চলে ইলেকট্রোনিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের পৃথকীকরণ ব্যবস্থা স্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করছে যে, ইরাকের পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন" আমি আশা করি এবারের সম্মেলন ইরাকের শরণার্থীদের বেশি সুরক্ষা ও সমর্থন এনে দিতে পারে। ইরাকের প্রতিবেশী দেশগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে সীমান্ত এলাকা খুলে রাখা । যাতে শরণার্থীদের জোর করে ফিরিয়ে দেয়া না হয়।"

    এবারের দু'দিনব্যাপী ইরাকের শরণার্থী সংক্রান্ত সম্মেলনে তৃতীয় দেশগুলোতে এ সব শরণার্থীদের বন্দোবস্ত এবং তাদেরকে নিজের দেশে ফিরে যেতে উত্সাহ দেয়ার বিষয় অন্তর্ভূক্ত ছিল। অংশগ্রহণকারী বেসরকারী সংস্থা " হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ" বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের ইরাক যুদ্ধ শুরুকারী হিসেবে তাদের উচিত বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা। শরণার্থী গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বেশি প্রচেষ্টা চালানো উচিত।