v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-18 14:12:59    
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের উপসচিব শাসীমা নার্গিসের সাক্ষাত্কারের প্রথম অংশ

cri

    প্রঃ মিসেস শামীমা আপনারা কবে এসেছেন চীনে এবং আপনাদের সেমিনারের বিষয় কি?

 উঃ আমরা মার্চের ৬ তারিখে রওয়ানা দিয়ে ৭ তারিখে ছৌঁছেছি এবং মার্চের ৮ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের ট্রেনিং চলছে। আজকে কনক্লুডিং সেশন হয়ে গেলো। আমাদের ট্রেনিংটার নাম ছিল সেমিনার অন ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট।

 প্রঃ এ সেমিনার থেকে আপনারা কি অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মনে করেন?

 উঃ এশিয়ান কান্ট্রিগুলোর মধ্যে চীনের যে উত্থান আসলে তাতো সারা বিশ্ব দেখছে। এখান থেকে অবশ্যই এবং চীনের সাথে আমাদের বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন দিকসহ ভৌগলিক মানচিত্রেও মিল আছে এবং আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সঙ্গেও মিল আছে, পোভর্টিগুলোও লিটারেচারের মধ্যেও এখনো মিল আছে। এবং আরেকটি স্ট্রাইকিং সেটা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশে জনসংখ্যা যে রকম একটা সমস্যা ঠিক তেমনি চীনেও কিন্তু একটা হিউজ পপুলেশন রয়েছে। এই হিউজ পপুলেশনকে লিমিটেড রিসোর্স দিয়ে ম্যানেজ করে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এটা অবশ্যই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের কাছে একটা এনকারেজিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। এবং আমরা মনে করি যে চীনের কাছে আমাদের অনেক শেখার আছে। এর আগে আমাদের সিনিয়র কলিগের কাছ থেকে জেনেছি যে চীন আমাদের অনেক দিনের বন্ধু। বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে চীন আমাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং এই ইকোনোমিক ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে চীন আসলে একটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে এগুছে। সেই ইকোনমিক রিফর্মসগুলো ধীরে ধীরে তারা কোন পর্যায় থেকে শুরু করেছে , কোন সেক্টরগুলোতে আগে হাত দিয়েছে, কী কী প্রতিবন্ধকতা তারা কিল করেছে এবং ধীরে ধীরে তারা সেই ক্ষেত্রগুলোতে কী পরিবর্তন এনেছে এই জিনিসগুলো বোঝার মধ্য দিয়ে আশা করা যায় আমরা অনেক ধারণা পেয়েছি এবং বিভিন্ন গ্রুপ বা সিনিয়ার লোভেল থেকে যারা এসেছি তো সামাজিকভাবে একটা কিছু বেড় করে নিয়ে আসতে পারবে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বলবো আমার ভালো লেগেছে গ্রেট ওয়াল, সত্যিই ভালো লেগেছে কারণ, সেই ছোটকাল থেকেই চায়নার যে গ্রেটওয়াল এই নামটার সাথে আমরা অনেকদিন ধরে পরিচিত। ইতিহাসে এটা আমরা পড়েছি, কেন এই প্রাচীর তৈরী হয়েছিল এবং এই প্রাচীরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সবকিছুই কিন্তু আমরা পড়েছি। কিন্তু কখোনো হয়তো সত্যিকার অর্থে আমি চট্ করে এখানে আসবো ভাবি নি। ভেবেছি যদি লন্ডন যেতে পারতাম, আমেরিকা যেতে পারতাম, কিন্তু কখোনো মনে হয় নি যে এই গ্রেট ওয়ালে গিয়ে পৌঁছাবোই। সেদিন আসলে আমি যখন গ্রেট ওয়ালে একটা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে চার দিকে দেখছিলাম আমার সেই অনুভূমিটাই কাজ করছিল পাহাড়ের ওপরে। আমাদের সাথে যে ইন্টার প্রেটার ছিল , সে অনেক কিছুই বলে যাচ্ছিল সেই ডায়নাস্টি থেকে শুরু করে সব কিছু। কিন্তু নামগুলো আমাদের জন্য কঠিন এবং একই রকম মনে হয় , সেই জন্য হয়তো নামগুলো এখন বলতে পারছি না। তবে যখন বলছিল সব কিছু বুঝতে পারছিলাম।

 প্রঃ চীনা জাতির চারিত্রিক বৈশিষ্ট প্রকাশ করে এটা হচ্ছে তার প্রধান বৈশিষ্ট। এটা ম্যানুয়ালী তৈরী হয়েছিল। তখন পাথর ভাঙ্গার মেশন ছিল না। তখন ইট বয়ে নিয়ে যাবার কিছু ছিল না। মানুষ সব ম্যানুয়ালী করেছে। সেটা কিন্তু ইন্ডিকেট করে যে চীন জাতি খুবই পরিশ্রমী। আপনার এই কথার সুত্র ধরে বলি যে, এখন চীনে প্রায় ১৩০ কোটি লোক আছে। পৃথিবীর চার ভাগের একভাগ লোক এই ভুখন্ডে আছে বলে বলা হয়। এই এত মানুষকে চীন খাইয়ে পড়িয়ে এদের যে প্রশাসন আছে তারা যে অবদান রাখছে এই বিষয়টিকে আপনি কি ভাবে দেখেন?

 উঃ এই বিষয়টাকে আমিতো অবশ্যই যেটা আমরা গ্রুপের মধ্যে আলোচনা করেছি যে এবং বার বারই বলেছি যে চায়নার মত একটি দেশ এই পপুলেশনকে যদি ম্যানেজ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশেরও জনসংখ্যাকে নিয়ে এত ভীত হবার কিছু নেই। যেটা আগেও বলেছি সেটা হচ্ছে যে চায়না সংস্কারের যে দিকগুলোতে হাত দিয়েছে যেভাবে পরিবর্তনগুলো এনেছে, সেই মডেলটাকে আমরা অনুসরণ করতে পারি, একটা দেশের মডেলকে তো পুরোপুরি আরেকটা দেশে ট্রান্সকার করা যায় না। সেটা নির্ভর করে সে দেশের সামাজিক ও ভৌগলিক মানচিত্রের ওপর। তবে কিছু কিছু মডেল নিশ্চয়ই কাজ করবে , কারণ যেহেতু আমাদের সামাজিকও অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্রে একটা মিল রয়েছে। সমস্যার ধরণে মিল রয়েছে। কাজেই সেদিন থেকে আমার কাছে মনে হয় , চীন যে ভাবে উন্নতি সাধন করেছে সহযোগিতা মাধ্যমে সেটাকে আমরা এগিয়ে নিতে পারবো।