v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-16 19:37:21    
পেইচিং আবাসিক এলাকায় চিকিত্সা গ্রহণের ব্যবস্থা চালু করা উচিত

cri

    চিকিত্সা গ্রহণসহ দারিদ্র্য সমস্যা হলো বর্তমানে চীনা জনগণের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা। অধিবাসীরা রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত স্থানীয় হাসপাতালে যায়। তবে তাদের আবাসিক এলাকা থেকে হাসপাতালের মধ্যেকার দুরত্ব বেশী থাকায় যোগাযোগের সমস্যা দেখা দেয় । এমন কি, রোগীদের সংখ্যা এবং চিকিত্সার খরচও বেশী । তাহলে এ ধরণের সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়? সম্প্রতিক বছরগুলোতে পেইচিং আবাসিক এলাকার চিকিত্সা ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

    পেইচিং শহরের পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে " ইয়ুং লে" নামক একটি আবাসিক এলাকা। আমাদের সংবাদদাতা সেখানকার ৭০ বছর বয়সী লি খালার সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। লি খালা বলেছেন, আগে তিনি রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত স্থানীয় হাসপাতালে যেতেন। তবে হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি রোগী থাকেন বলে সেখানকার পরিবেশ বেশি ভাল নয় ।

    " ইয়ুং লে" আবাসিক এলাকার প্রধান ইয়ু কুই হুয়া বলেছেন, বর্তমানে পেইচিং শহরের আবাসিক এলাকায় চিকিত্সা সেবার লক্ষে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে । এমন ধরণের ক্লিনিকে চিকিত্সা গ্রহণ করলে রোগীদের জন্যে অনেক সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে । একই সঙ্গে এ ব্যাপারে হাসপাতালগুলোর ওপর থেকে চাপও কমে যাবে । তিনি বলেন:" আমাদের চিকিত্সা কেন্দ্রে মোট দু'জন ডাক্তার আছে। রোগীদের অবস্থা সব কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ রয়েছে । তারা ডাক্তার হিসেবে খুবই সহজভাবে ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারে । এবং ক্লিনিকে ঔষধ থাকায় রোগীদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে।"

    ইয়ু কুই হুয়া আরো বলেছেন, হাসপাতালের চেয়ে আমাদের পরিসেবা বেশি কার্যকর এবং তা সার্বিকভাবে সফলতা এনে দিয়েছে।" এখানে রোগী আসলে সরাসরিভাবে চিকিত্সা নিতে পারে। চিকিত্সার পরে চিকিত্সার খরচ পরিষোধ করতে পারে। কিভাবে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় ? এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উপযুক্ত সেবা দেয়া। রোগীদের এখানে আসতে অসুবিধা হলে আমাদেরকে ফোন করে । আমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাদের বাড়ি যেতে পারি।"

    আবাসিক এলাকার বুড়ো-বুড়ির জন্য চিকিত্সা কেন্দ্রে আরও বিশেষ সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক সপ্তাহে বা দশ দিন অন্তর আবাসিক এলাকার ডাত্তার রোগীদের বাড়িতে যান। যাতে রোগীদের অবস্থা জেনে তাদের সাহায্য করা যায়।

    এ আবাসিক এলাকার চিকিত্সা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর, লি খালার মতো এমন বুড়ো-বুড়িরা রোগে আক্রান্ত হলে এখন সহজভাবেই চিকিত্সা গ্রহণ করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে শুধু একটি সমস্যার সমাধান হয়েছে। আসলে, হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সার খরচও অনেক বেশি। এ সমস্যা তাহলে কিভাবে সমাধান করা যায়? চীন সরকার এ বিষয়ে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর সংস্কার কাজ খুব বেশি সহজ নয়। কারণ তা বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। চীনে সাধারণত শহরের অধিবাসীদের জন্যই তারা বেশি গুরুত্ব আরোপ করে থাকে । যেমন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও-এর উপস্থাপিত " সরকারী কাজকর্মের রিপোর্টে " বলা হয়েছে " আবাসিক এলাকার ভিত্তিতে নতুন ধরণের শহুরে স্বাস্থ্য-সেবা সিস্টেম দ্রুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে । যাতে গুরুত্বপূর্ণভাবে আবাসিক এলাকার স্বাস্থ্য-সেবামূলক কাজের উন্নয়ন করা যায়। এর ফলে অধিবাসীদের রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশি সুবিধা প্রদান করা যাবে ।"

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সরকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বেশ সচেতন হয়েছে। এখন চিকিত্সা ক্ষেত্রে পুঁজিবিনিয়োগ জোরদার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার চিকিত্সা ক্ষেত্রে আরো বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে । চীন দরিদ্র অঞ্চলের চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নতির জন্যে প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক । সরকার আবাসিক এলাকার চিকিত্সা গ্রহণের জন্য ভর্তুকি দিয়েছে, যাতে এখানে বিভিন্ন চিকিত্সার খরচ অন্য হাসপাতালের চেয়ে কম হয় । তাই এ ধরণের চিকিত্সা কেন্দ্র চালু হবার পর, এখানকার রোগীদের বিছানার সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও চলছে।