v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-12 19:17:55    
ইরানের পারমাণবিক সাফল্যের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কলাকৌশলেরচেয়ে বেশী---ইরান

cri
    ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ সম্প্রতিসারা বিশ্বের কাছে ইরানের নতুনতম পারমাণবিক সাফল্যের কথা ঘোষণা করে বলেছেন ,ইরান শিল্পায়নের লক্ষ্যেএখন পরমাণু জ্বালানি উপাদান উত্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে ।এর পর ইরানের আলোচনা বিষয়ক শীর্ষপ্রতিনিধি আলি লারিজানি স্বীকার করেছেন যে ,প্রকৌশলীরা সেন্ট্রিফিউগল মেশিনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইউ এফ-৬ বায়ু ব্যবহারে সক্ষম। ১০ এপ্রিল ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম রেজা আগাজাদেহ আরও ঘোষণা করেছেন , ইরান পরিকল্পনা অনুযায়ী নাতান্জে ৫টি সেন্ট্রিফিউগলমেশিন বসাবে ।

গত দুদিন ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা করে বলেছে, ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অব্যাহতভাবে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । ইরান সত্যিকারভাবে পারমাণবিক উপাদান উত্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ রয়েছে ।

    সংশ্লিষ্টবিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে , তথাকথিত শিল্পায়নের লক্ষ্যের অর্থ এই দাঁড়ায় যে , কম পক্ষে৩০০০টি সেন্ট্রিফিউগলমেশিন এক সঙ্গে পরমাণু জ্বালানী উপাদান তৈরী করতে সক্ষম। কিন্তু নাতান্জে ইরান যে সেন্ট্রিফিউগলমেশিন বসিয়েছে তার সংখ্যা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ,শুধু ইরানের ঘোষণা অনুযায়ী তার পরমাণু জ্বালানী উপাদান উত্পাদনের ক্ষমতাকে স্বীকার করা যাবে না । তা জাতিসংঘের পরমাণু পরীক্ষকদের চূড়ান্ত তদন্তের ফলাফল সাপেক্ষ ।

    তবে ইরান কেন জনমতের চাপে ও সন্দেহে এই কথা ঘোষণা করছে ? বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , সর্বপ্রথমে ইরান মনে করে যে , নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী তার ইউরেনিযাম সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অর্থ হল নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তাকে নতিস্বীকার করা । বৃটেন , ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ই ইউর তিনটি দেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থাত বৈঠকের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধান করতে চায় ।

    দুই, পরমাণু সমস্যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দ্বি-মানদন্ড ব্যবহার করে । যার ফলে ইরান পরমাণু সমস্যায় আরও দৃঢ় অভিমত পোষণ করে । গত শতাব্দীর শেষ দিকে ভারত পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ভারতের পরমাণু জ্বালানী উপাদান ও পরমাণু প্রকৌশল রপ্তানি সীমিত করেছে । কিন্তু নিজের স্বার্থের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর আরোপিত শাস্তি শিথিল করেছে এবং ভারতের সঙ্গে বোসামরিক পরমাণু জ্বালানি শক্তির সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরকরেছে । ইরান দেখেছে , ভারত পরমাণু প্রকৌশল উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ভারতকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করেছে । তাই ইরানও চায় নিজের পরমানু পরিকল্পনার দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে পাশ্চাত্ত্য দেশগুলোকে ইরানের পরমাণু পরিকল্পনাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করা ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , ইরানের পক্ষে ৯ এপ্রিল "পরমাণু সাফল্যের" ঘোষণা ইরানে জন্যে উপকার এনে দেবে তা এখন বলা যায় না ।

    কারণ ইরানের পরমাণু সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র সহজভাবে নতিস্বীকার করবে না । আহমাদিনেজাদ ঘোষণা করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সীন ম্যাককমার্ক বলেছেন , ইরানের আচরণ আবার প্রমান করেছে , ইরান নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে । মার্কিন কংগ্রেসও বলেছে , তারা বৈঠকের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধানকে সমর্থন করবে । ইরানের আলোচনার শীর্ষপ্রতিনিধি লারিজানি ই ইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সোলানার সঙ্গে সমস্যাটি নিয়ে বৈঠক করবেন । কিন্তু ইরানের পরমাণু সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে কিনা তা অপেক্ষা করছে ভবিষ্যতের ওপর ।