v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-12 16:27:32    
জাপানে ওয়েন চিয়া পাও-এর বক্তৃতা প্রকাশিত

cri
     ১২ এপ্রিল জাপান সফরকালে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও জাপানের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অংশগ্রহণকারী মোট ৪০০ জনেরও বেশি সদস্যর উদেশ্যে " মৈত্রী ও সহযোগিতার লক্ষ" সংক্রান্ত একটি ভাষণ দিয়েছেন। এটি হচ্ছে ২২ বছর পর, জাপানের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে উচ্চ পর্যায়ের কোন চীনা নেতার দেয়া প্রথম ভাষণ। " আজ একটি উপযুক্ত সময়ে আমি বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ পেয়েছি। জাপানের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের সদস্যদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। এ জন্য আমি অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করছি এবং আন্তরিক সুভেচ্ছা জানাছি। দীর্ঘকাল ধরে চীন ও জাপানের বন্ধুত্ব বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অবদান রেখেছে । তাই এ সময় আমি সেইসব জাপানী বন্ধুদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বক্তৃতায় ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, চীন ও জাপানের মৈত্রী ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার জন্য দু'দেশের উচিত দু'পক্ষের সুদীর্ঘকালের মৈত্রী অব্যাহত রাখা। গত ২ হাজারেরও বেশি বছর ধরে, চীন ও জাপানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময়ে দু'পক্ষ পারস্পরিকভাবে তাদের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা শিখেছে। ফলে দু'দেশেরই নিজেদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এটি হলো দু'পক্ষের যৌথ ঐতিহ্যিক অধিকারের অংশ । এর ওপর আমাদের বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত।

    ওয়েন চিয়া পাও আরো বলেছেন, দু'দেশের মৈত্রী ও সহযোগিতার জন্য দু'পক্ষের উচিত ইতোপূর্বেকার কিছু দুর্ভাগ্যজনক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার সারসংকলন করা। চীনের ওপর জাপান যুদ্ধের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করায় চীনা জনগণের মধ্যে তীব্র অচান্তোষ রয়েছে। একই সঙ্গে জাপানী অধিবাসীদেরও একটি দুর্বল মানসিক চাপ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন: "ভবিষ্যতে চীন ও জাপান দু'দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে আরো বেশি উন্নয়নের জন্য আমাদের উচিত ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। চীন ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর, জাপান সরকার বহুবার ঐতিহাসিক সমস্যায় নিজের অভিমত ব্যাখ্যা করেছে এবং নিজের অপরাধকে প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে । এ ব্যাপারে জাপান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত দেশের কাছে আন্তরিক ক্ষমা চেয়েছে। এ জন্য চীন সরকার এবং জনগণও তার সক্রিয় মূল্যায়ন করেছে। আমরা আশা করি, জাপান সরকার বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজের সংশ্লিষ্ট অভিমত ও প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে পারবে। চীন ও জাপানের জনগণের বংশপরমপরায় বসবাস করা হচ্ছে দু'দেশের জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এশিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য তা আন্তরিক শুভেচ্ছা স্বরূপ ।"

    দু'দেশের কৌশলগত পারস্পরিক উপকারিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং চীন ও জাপানের সম্পর্ক একটি নতুন পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়েন চিয়া পাও জোর দিয়ে বলেছেন, দু'পক্ষের উচিত পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তিনি বলেন: " ' চীন ও জাপানের যৌথ প্রস্তাবসহ' তিনটি রাষ্ট্রীয় দলিত্র পৃথক পৃথকভাবে রাজনৈতিক , আইনগত এবং বাস্তব অবস্থার মাধ্যমে দু'দেশের ইতোপূর্ব সম্পর্কের সারসংকলন করেছে। ভবিষ্যতে দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের পরিকল্পনা এ প্রস্তাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এটি হলো চীন ও জাপানের সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তি। দু'পক্ষ এ তিনটি প্রস্তাবের নির্ধারিত নিয়ম মেনে চললে দু'দেশের সম্পর্ক নিশ্চয়ই স্বাভাবিকভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।"

    তাইওয়ান সমস্যার বিষয়ে ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, তাইওয়ান সমস্যা চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ও তা স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ সমস্যায় চীন সরকার শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে ইচ্ছুক। তবে এ ব্যাপারে চীন সরকার তাইওয়াপন্থীদের স্বীকার করতে হবে না । চীন জাপানকে তাইওয়ান সমস্যার উচ্চ পর্যায়ের স্পর্শকাতর অবস্থার ব্যাপারে সচেতনা হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।