v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-11 19:52:06    
লাসার নেপালী ব্যবসায়ী

cri
    গত বছরের পয়লা জুলাই চীনের ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়েছে । এ রেলপথ তিব্বত জনগণকে ব্যাপক আর্থ-বাণিজ্যিক সুযোগ এনে দিয়েছে । তিব্বতী জনগণের জীবন অনেক উন্নত হয়েছে । পাশা পাশি এ রেলপথ সেখানে থাকা বিদেশী বন্ধুদেরকে লাভের মুখও দেখিয়েছে । ইতোমধ্যেই এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে । তাদের জীবন এখন কেমন ?

    তিব্বতের রাজধানী লাসার বিখ্যাত বাণিজ্যিক সড়ক বাকুও সড়কে অনেক বিদেশি বন্ধুদের খোলা দোকান আছে । সিয়ামুকাপু নামে একটি রূপার জিনিসের দোকান অন্যান্য দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম । তার মালিক রত্না কুমারতুলাদর একজন নেপালী । যখন ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়েছে , তখন তিনি এ সুযোগে ১.৫ লাখ ইউয়ান ব্যয় করে তার দোকানটি নতুন করে সাজিয়েছেন । তিনি সংবাদদাতাকে বলেন , এত বড় একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রধান কারণ হল ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হয়েছে । এর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চয়ই আরো বেশি দেশি বিদেশি পর্যটক লাসার সুবিখ্যাত বাকুও সড়কে গিয়ে জিনিসপত্র কনবে ।

    এখন এক বছর হয়ে গেছে । তুলাদরের ব্যবসা আরো ভালো হয়েছে । তিনি বলেন , লাসায় আমার এখন অনেক বন্ধু । এমন চিন্তাও আছে যে , আরো বেশি এবং আরো ভালো পণ্যদ্রব্য ট্রেনের মাধ্যমে তিব্বতে পাঠানো হবে , এবং আরো বেশি ব্যবসায়ীও এ রেলপথের চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বতে এসে ব্যবসা করছে । তারা মনে করে তাদের ব্যবসা কঠিন হবে । তুলাদর তার বন্ধুদেরকে বলেন , এভাবে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই । ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ শুধু তাদেরকে সুযোগ দিতে পারে মাত্র ।

    তুলাদর প্রধানত নেপালে তৈরী রূপার জিনিস ও বৌদ্ধ মূর্তি বিক্রি করে । এখন তার মূল ভূভাগে নেপালী বৈশিষ্টময় পণ্যদ্রব্যের বিক্রেতা খোঁজার পরিকল্পনা রয়েছে । কারণ এখন তারা রপ্তানি করলে ছিংহাই-তিব্বত রেলপথের মাধ্যমে সোজা সব পণ্যদ্রব্য চীনের মূল ভূভাগে পাঠাতে পারবে ।

    তুলাদর লাসায় ২২ বছর ধরে ব্যবসা করছে । আসলে এক শোরও বেশি বছর আগে তার দাদা উটের পিঠে লাসা ও কাতমান্দুর এসে ব্যবসা করতেন । গত শতাব্দির মধ্যবর্তী সময়ে তুলাদরের বাবা লাসায় ৪০ বছর ধরে ছিলেন । তখন তিব্বতে বিদ্যুত ও ভালো সড়ক বলতে কিছুই ছিল না । তার বাবা দু'তিন বছর পর পরই এক বার নেপালে যেতে পারতেন । তখন খুব কষ্ট করে ব্যবসা করতেন তারা ।

    এখন বাকুও সড়কের দোকান ছাড়া তুলাদর লাসা শহরে অন্য একটি বাড়ি কিনেছেন । তার একটি ছেলে চীনের সি ছুয়াং প্রদেশের ছেং তু শহরে প্রাথমিক স্কুলে পড়ে অন্য একটি ছেলে নেপালের কাঠমুন্ডু কলেজ পড়ে । যদিও তাদের গাড়ি নেই , তবে লাসা থেকে কাঠমুন্ডু যাওয়ার এয়ার লাইন এবং চীন-নেপাল হাইওয়েইয়ের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য কেনাকাটা খুব সুবিধাজনক ।

    তুলাদর বলেন , প্রত্যেক বছর তিনি নেপালে মা ও ভাইবোনকে কিছু টাকা পাঠান । আগে তার বাবা লাসায় ব্যবসা করার সময় তুলাদর মনে করেন তিব্বত ও নেপালের জীবনযাপনের মান প্রায় একই । তবে এখন তিব্বতের অধিকাংশ এলাকা নেপালের চেয়ে ভালো । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিব্বতের সমাজ স্থিতিশীল , কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতের উন্নয়নে অনেক সাহায্য দেয় , তিব্বতের ব্যবসার পরিবেশ খুব ভালো ।

    এখন লাসায় নেপালী ব্যবসায়ীর সংখ্যা তেমন বেশি নেই । কিছু নেপালী প্রধানত বাবুর্চির চাকরি করে । তুলাদর অনুমান করেন , ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়া এবং লাসা থেকে চীন ও নেপালের সীমান্তের চাং মু বন্দর সড়কের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে লাসায় আসা নেপালী ব্যবসায়ীর সংখ্যাও দিনে দিনে বেড়ে যাবে ।

    শেষে তুলাদর বলেন , এখন তার অনেক নেপালী বন্ধু নতুন নতুন বাণিজ্যিক সুযোগ খুঁজছে । তারা তিব্বতী জনগণের মতই তিব্বতের ভবিষ্যত সম্পর্কে খুব আশাবাদী ।