v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-11 18:17:56    
চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিময় বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সিউলে শুরু  হয়েছে

cri
    ২০০৭ সালে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিময় বর্ষের উদ্বোধনী ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের রাষ্ট্রীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওয়েন চিয়া পাও চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের মৈত্রীকে উন্নত করা এবং দু'দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সুষম, সমৃদ্ধ ও সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে তোলার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন।

    ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নাট্যশালায় চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পীদের যৌথ উদ্যোগে দু'দেশের উপস্থাপকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন।

    চলতি বছর হচ্ছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ১৫তম বার্ষিকী। দু'দেশের নেতৃবৃন্দ ২০০৫ সালের শেষ নাগাদ "২০০৭ সালকে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিময় বর্ষ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যাতে দু'দেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রীকে উন্নত করা এবং সার্বিক সহযোগিতাপূর্ণ অংশীদারিত্বের সম্পর্কের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

    চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিময় বর্ষের ধারাবাহিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য দু'পক্ষ সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করেছে এবং বিশেষ ওয়েবসাইট গড়ে তুলেছে। বিনিময় বর্ষের কার্যক্রম রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ক্রীড়াসহ দশটিরও বেশি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।

    ১০ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সুর সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। হান দুক সু বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন হচ্ছে বন্ধুত্বপ্রতীম রাষ্ট্র। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দু'দেশের অনেক মিল রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরস্পরের অনুপুরক সম্পর্কও রয়েছে। এসব ভিত্তিতে দু'দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেছেন,

    চীনে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার ফ্যাশন ও চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আগ্রহ বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বাণিজ্য, পর্যটন ও অধ্যয়ন করতে আসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনে আসার হিড়িক পড়েছে। এটি দু'দেশের জনগণের বিনিময়ের ফলে সৃষ্ট নতুন অগ্রগতি অর্জনের প্রতীক। আমি আশা করি, আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু'দেশের মৈত্রী ও সহযোগিতার ইতিহাস সবার মনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

    প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও তাঁর ভাষণে বলেছেন, গত কয়েক হাজার বছর ধরে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিনিময় চালু রয়েছে। দু'দেশ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিনিময়ে দু'দেশের মধ্যে অটুট বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। তিনি বলেছেন,

    বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বহু বছর ধরে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের প্রধান বিষয়। আজ আমরা চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিময় বর্ষের কার্যক্রম যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। আমি আশা করি, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে মৈত্রীকে উন্নত করা, উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা এবং সুষম, সমৃদ্ধ ও সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে উঠবে।

    সুওন শহর থেকে আসা দক্ষিণ কোরিয়ার রিউ বিউং হেউন আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন,

    অনুষ্ঠান খুব চমত্কার। দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসব বিনিময় কার্যক্রম দু'দেশের জনগণের পারস্পরিকভাবে বিনিময় ও মৈত্রীকে জোরদার করবে।