v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-10 20:53:27    
ইরান কেন "পরমাণু ক্লাবে" অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে ?

cri
    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ৯ এপ্রিল নাতান্জের পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং ইরানের সফলভাবে পরমাণু তৈরীর জন্য অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন , শিল্পায়নএর লক্ষ্য পরমাণু জ্বালানী উত্পাদনের সামর্থ্য ইরানের রয়েছে । তিনি আরো বলেছেন , ইরান এর মাধ্যমেই "পরমাণু ক্লাবে" অংশ নিলো । এ কথা প্রকাশের পর তথ্য মাধ্যমের দৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ।

    এ দিন আহমাদিনেজাদ ইরানের কয়েক শো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের বলেছেন , শত্রুরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ইরানের উন্নয়নের গতিরোধ করতে চায় । তবে আজ থেকে ইরান শিল্পায়নের লক্ষে পরমাণু জ্বালানী উত্পাদনকারী দেশগুলোর একজন হল । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার দ্বার খোলা থাকবে । ইরান সমস্যা সমাধানের জন্য যে কোন সংলাপ ও আলোচনাকে স্বাগত জানায় ।

    রুশ দুমার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান কন্সটান্টিন কোসাচেভ ৯ এপ্রিল মস্কোয় বলেছেন , আহমাদিনেজাদের কথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ ।

    জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এদিন ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিন ম্যাককর্ম্যাক এক ভাষণে বলেছেন , ইরানের পরমাণু জ্বালানী উত্পাদনের সামর্থ্য বাড়ানোর আচরণ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে লঙ্খন করেছে । তা প্রমাণ করেছে যে ইরানের ওপর নিরাপত্তা পরিষদের শাস্তি আরোপ করার সিদ্ধান্তই ঠিক ।

    ইইউ'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ জার্মানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলেছে , ইরানের পরমাণু পরিকল্পনা ভুল দিকে যাচ্ছে ।

    সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক মন কষাকষি ঘটা ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের পরমাণু সমস্যার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে । ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দিনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছে ।

    তাহলে আহমাদিনেজাদ ইরানের পরমাণু ক্লাবের সদস্য হওয়ার কথা ঘোষণার কী অর্থ হতে পারে ?

    প্রথমতঃ , জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২৪ মার্চ ইরানের পরমাণু সম্পর্কিত ১৭৪৭নং প্রস্তাব গ্রহণ করেছে । প্রস্তাবে বলা হয়েছে , আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু সমস্যা সমাধানের নীতির পরিবর্তন হয় নি , তবে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের শাস্তি বাড়ানো হবে । তবে ইরান বরাবরই এমন কথা বলে এসেছে যে , তারা শান্তির লক্ষে পরমাণু পরিকল্পনার উন্নয়নের পাশাপাশি অব্যাহতভাবে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিকল্পনার উন্নয়ন করবে ।

    বিশ্লেষকদের ধারণা , আহমাদিনেজাদের এ আচরণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমন ইঙ্গিত দিতে চান যে , পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধীতা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শাস্তি ইরানের পরমাণু পরিকল্পনার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না । আহমাদিনেজাদ তাঁর কথার মাধ্যমে কঠোর অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখিয়েছেন , ফলে দেশের রক্ষণশীল পক্ষের সমর্থন পেয়েছেন তিনি ।

    দ্বিতীয়তঃ , ইরান মনে করে , তার পরমাণু পরিকল্পনা যত তাড়াতাড়ি উন্নয়ন হচ্ছে , তা ভবিষ্যতের আলোচনায় তত বেশি পরমাণু উন্নয়ন ক্ষেত্রকেরক্ষা করতে পারবে । এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইস বলেছেন , ৩ ও ৪ মে মিসরে অনুষ্ঠিতব্য ইরাক সমস্যা সম্পর্কিত মন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । ইরান এ সময়ে উপর্যুক্ত কথা বলার উদ্দেশ্য হল অনুষ্ঠিতব্য আলোচনায় বেশি সুবিধা যোগানো ।