এ বছর চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের৩৫ তম বার্ষিকী । দুদেশের নেতৃবৃন্দগণ আবার এই বছরকে "চীন-জাপান ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় বর্ষ" হিসেবে নির্ধারণকরেছেন । এই প্রধান বিষয় নিয়ে দুদেশে নানা ধরণের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডচালানো হবে । যাতে দুদেশের গণ বিনিময় সম্প্রসারণ করা হয় এবং দুদেশের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা জোরদার করা যায় ।
চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়েরবৈদেশিক যোগাযোগ ব্যুরোর উপপ্রধান চাং আইপিং " চীন-জাপান ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় বর্ষের" পটভূমি সম্পর্কেবলেছেন , গত বছর প্রধানমন্ত্রীনির্বাচিত হওয়ার পর আবে সিনজো চীন সফর করার সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাওয়ের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে , ২০০৭ সালে চীন ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরকে " চীন ও জাপান ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় বর্ষ" হিসেবে নির্ধারণ করেছেন । চীন এই বিষয়ের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী সুন চিয়াচেনকে চেয়ারম্যান করে ৭টি মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি সাগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
এর পাশাপাশি জাপানও এই কার্যক্রমকে অত্যন্তু গুরুত্ব দেয় । গত বছরের ডিসেম্বর মাসে " ২০০৭ সাল চীন-জাপান ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় বর্ষ" বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে । জাপানের একজন াদায়িত্বশীলকর্মকর্তা কোনো আকিরা বলেছেন, একেবারে একটি নতুন জাপান ও জাপানী জনগণকে চীনা জনগণের কাছে তুলে ধরা এবং টীনের সংস্কৃতিকে জাপানের আরও বেশি জনগণের কাছে তুলে ধরা জাপানের এবারের বিনিময় বর্ষ পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য ।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত জাপানের বাস্তবায়ন কমিটি জাপান সরকারের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিময় বর্ষের প্রতীক ও শ্লোগান সংগ্রহের কাজ শুরু করে । যে প্রতীক নির্বাচিত হয় সেটি কিয়োটোরমাদাম কাগায়া মিইউকির নক্সা করা । এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন , প্রতীকটি চীন ও জাপান এই দুটো ইংরেজী শব্দের প্রথম বর্ণ দিয়ে গঠিত হয় এবং বা দিকে "সি" ও ডান দিকে " জে" নিয়ে একটি হৃত্পিন্ড তৈরী করা হয় । " সি" মানে চীন আর "জে"মানে জাপান । হৃত্পিন্ডটি চীন ও জাপানের জনগণের বিনিময়ের পরিচায়ক ।
আর যে শ্লোগান নির্বাচিত হয় সেটি হল চীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াংকাং শহরের হুয়াং সিনকোর রচনা--" হৃদয়ের অপেক্ষা, নতুন ভবিষ্যত ।
৫ এপ্রিল বাস্তবায়ন কমিটি বিখ্যাত শিল্পী সাকাই নোরিকো এবং টেবিলটেনিস খেলওয়াড় ফুকুহারা আইকে প্রতিনিধি দূত হিসেবে নির্বাচন করেছে । প্রতিনিধি দূত হিসেবে নির্বাচিত হতে পেরেছেন বলে ফুকুহারা আই খুব গর্বিত বোধ করেছেন । চীনে নিজের টেবিলটেনিস জীবন সম্পর্কে তিনি বলেছেন , চীন আজকের ফুকুহারা আইকে তৈরী করেছে । পরবর্তীকালে টেবিল টেনিস খেলার মাধ্যমে চীনা বন্ধুদের সঙ্গে আরোবেশি সময় থাকতে পারব বলে আমি আশা করি । দুদেশের সম্পর্ককে জোরদার করার জন্যে আমি সেতুর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করব ।
চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যুরোর উপপ্রদান চাং আইপিং বলেছেন , ১২ এপ্রিল আমরা বিনিময় বর্ষের উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি । অনুষ্ঠানটির জন্য আমরা বহু দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি । প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও ও আবেসিনজো অনুষ্ঠানটি দেখবেন ।
জাপানের বাস্তবায়ন কমিটির নির্বাহী কমিটির উপপ্রধান কোনো আকিরা বলেছেন , আমরা বিনিময় বর্ষের প্রধান সঙ্গীত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি । চীন ও জাপান নিজনিজ ঐতিহ্যিক উত্সব পরস্পরের কাছে পরিচয় করিয়ে দেবে বলে আশা করি । এ বছর রোবোটপ্রদর্শনী ও এ বছরের শেষদিকে দুদেশের গায়কগায়িকাদের সঙ্গিতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে ।
|