v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-06 14:31:54    
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব  মিঃ মামসুল আলমের দেয়া সাক্ষাত্কার

cri
    প্রঃ চীনে যে সেমিনারে আপনারা অংশ নিয়েছেন, সেই সেমিনার সম্পর্কে কী আমাদের শ্রোতাদের একটু বলবেন?

    উঃ বাংলাদেশের সঙ্গে যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে মূলতঃ তারই উপর ভিত্তি করেই চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আমাদের অবহিত করা হয়েছে। এখানে আমাদের জানানো হয়েছে, চীনের অর্থনীতির ক্রমবিবর্তন, অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক, চীনের বাজার অর্থনীতিতে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় আমাদের অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের যে চমত্কার সমন্বয় রয়েছে তাও আমাদের জানানো হয়েছে।

    বেকার যুব সম্প্রদায়কে কিভাবে শিক্ষিত জনশক্তিতে পরিণত করা হয়েছে , তাও আমাদের দেখানো হয়েছে। অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা কিভাবে ঘটানো হয়েছে , তাও আমাদের দেখানো হয়েছে। এই ব্যবস্থাপনার আলোকে বাংলাদেশ কিভাবে উপকৃত হতে পারে , তারও একটি চমত্কার গাইড লাইন দেয়া হয়েছে।

    প্রঃ তাহলে আপনাদের যে গাইড লাইন দেয়া হয়েছে তার আলোকে বাংলাদেশে কিছু করা সম্ভব?

    উঃ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মিল , আবার অনেক ক্ষেত্রে অমিল রয়েছে। যেমন বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ, তেমনি চীনও একটি জনবহুল দেশ। বাংলাদেশের ছোট ভূখন্ডে ১৫ কোটি লোক বাস করে। চীনের লোকসংখ্যাও ১৩০ কোটি। কিন্তু চীন জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করেছে। প্রচুর শ্রমশক্তি থাকায় চীন পণ্য উত্পাদন করে সারা বিশ্বের বাজার দখল করেছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চীনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

    প্রঃ বাংলাদেশ চীন থেকে প্রচুর পণ্য আমদানি করে। কিন্তু চীন বাংলাদেশ থেকে তেমন পণ্য আমদানি করে না। এই বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্য কী করা যেতে পারে?

    উঃ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যেক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, যেসব পণ্য চীন এখনো উত্পাদন করে না, যেমন নারিকেল তেল । এগুলো চিনে রফতানি করা যেতে পারে। তবে এজন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের মহিলাদের শাড়ি, গহনা ইত্যাদিও চীনে রফতানি করা যেতে পারে। আমি মনে করি, এগুলো এক সময় চীনা মহিলাদের কাছে জনপ্রিয় হবে। ব্যাপক বাজার সৃষ্টি হবে।

    প্রঃ চীনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস বাজার হতে পারে, এ বিষয়ে আপনি কী ভাবেন?

    উঃ অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। বাংলাদেশে আমরা শার্ট ২০০ টাকায় কিনি, আমার ধারনা চীনে তা ৭/৮শ টাকার কম নয়। কোয়ালিটিও উন্নত। বাংলাদেশের চেয়ে কম দামে কোথাও তৈরী পোশাক পাওয়া যায় না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করলে চীনে তৈরী পোশাকের বড় বাজার ধরা খুবই সম্ভব।

    প্রঃ এবার অন্য প্রসঙ্গে, পেইচিংয়ে কোন কোন যায়গা ঘুরে দেখেছেন?

    উঃ প্রথমে আমরা বাডালিং গ্রেটওয়াল দেখতে যাই। তার পরেই থিয়েন আন মেন মহচত্বর ও ফরবিডেন সিটি দেখতে যাই। ফরবিডেন সিটিতে মিং ডাইনেস্টির নানা বিষয় জানতে পেরেছি। আসলে দীর্ঘদিন এই যায়গাটি নিষিদ্ধ ছিল। এখন সবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ইতিহাস সেখানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আমরা পিপলস গ্রেট হল ঘুরে দেখেছি। থিয়েন আন মেন স্কোয়ারের মাও সে তুংয়ের নয়াচীনের ঘোষণা স্থানেও গিয়েছি। ঐতিহাসিক অনুভুতি।

    প্রঃ চীনে কি ভালো লেগেছে?

    উঃ আমি যখন চীনে আসি তখন শুনেছি চীনের খাবার ভালো নয়। কিন্তু আমার উপলব্ধি অন্য রকম। চীনের খাবার চমত্কার লেগেছে। সবচেয়ে ভাল লেগেছে চীনা জনগণের আতিথেয়তা। তারা চমত্কার অতিথি পরায়ন। একটি বিষয় আরও ভাল লেগেছে যে, আমাদের স্কেজুয়ালে শুক্রবারের নামাজ পড়ার সময় রেখেছে এবং আমাদের মসজিদে নিয়ে গেছে। আমি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। কিন্তু আগে কখনো এ ধরনের সুযোগ পাই নি। যদিও আমি শুনেছি চীনারা কম্যুনিস্ট। ধর্মপালন করে না। তাদের সম্পর্কে আমার ধারনাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমার মনে হয় সৌদি আরবে গেলেও এভাবে আমাদের মসজিদ নিয়ে যাওয়া হবে না। ধর্মের প্রতি তাদের সম্মান আমাকে অভিভুত করেছে। এটা আমার খুব ভাল লেগেছে।