v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-05 16:44:00    
সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সাফল্য অর্জিত হয়েছে

cri

    ১৪তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ৪ এপ্রিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে শেষ হয়েছে। দু'দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক অভ্যন্তরীণ বাস্তব সহযোগিতা ও বিশ্বমুখীণতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দৃঢ় পথ এগিয়ে যাওয়া এবং স্পষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে। জনমত অনুযায়ী, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে স্পষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সার্কের উন্নয়ন এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

    এবারের শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক ঘোষণা গৃহিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ ঘোষণায় সমৃদ্ধ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা,অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের জন্য কল্যাণ সৃষ্টির অভিন্ন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ সার্কের সদস্য দেশগুলো প্রচেষ্টা চালিয়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাস্তবায়ন করা ও জনগণের বিনিময় জোরদার করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সার্কের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সমাপনি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া এলাকার ফুড ব্যাংক  ও দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। বর্তমানে সার্কের বিভিন্ন সদস্য দেশ খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। সার্কের ফুড ব্যাংক গড়ে তোলার ফলে বিভিন্ন দেশ জরুরী পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাব সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য দেবে। যাতে দক্ষিণ এশিয়া এলাকার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিশ্চয়তা দেয়া যায়। ভারত দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব উত্থাপন করে। এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রথম দিকে ভারত অর্থ দেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থার কাঠামো নির্মাণ পরবর্তী এক বছরে সম্পন্ন হবে। জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ সুযোগ সরবরাহ করবে। শিক্ষক, গবেষক এবং ছাত্রছাত্রী সার্কের বিভিন্ন দেশে থেকে আসবেন। এটি সার্কের সদস্য দেশগুলোর বিদ্যাগত বিনিময় ত্বরান্বিত করা, শিক্ষার মান উন্নত করা এবং পারস্পরিক সমঝোতা জোরদার করার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

    সন্ত্রাসদমন হচ্ছে সার্কের এক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে সার্কের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এই ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট চুক্তি বাস্তবায়ন জোরদার করবে এবং আইন ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরো গভীর করবে। দারিদ্র্য বিমোচন করা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সাহায্য করা হচ্ছে সার্কের এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সার্কের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে পুঁজি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাতে আরো বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। এর পাশাপাশি সার্কের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সার্ক উন্নয়ন তহবিল শীঘ্রই চালু হবে। উল্লেখ্য, তাঁরা একমত হয়েছেন যে, আগামী ছ'মাসে তাঁরা প্রচেষ্টা চালিয়ে পানি, জ্বালানি সম্পদ,খাদ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাথমিক অগ্রগতি অর্জন করবে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ইতিবাচকভাবে চালাবে। এবারের সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট সাফল্য দেখা গেছে, সার্কের বিভিন্ন সদস্য দেশ বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করছে।

    সার্ক অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি নতুন সদস্য দেশে অন্তর্ভক্ত করেছে। আফগানিস্তান সার্কের অষ্টম সদস্য দেশ হিসেবে এবার শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবেঅংশ নিয়েছে। চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রথমবার পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। এর পাশাপাশি ইরান সার্কের পর্যবেক্ষক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া দারিদ্র্য, জ্বালানি সম্পদ, সন্ত্রাসদমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন হচ্ছে। বৈদেশিক বিনিময় বাড়ানো জ্বালানি সহযোগিতা, যৌথ সন্ত্রাসদমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্কে পারস্পরিক সহযোগিতা করবে।