v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-04 13:36:47    
সার্কের শীর্ষ সম্মেলন শুরু

cri

 ১৪তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ৩ এপ্রিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে শুরু হয়েছে। সার্কের বিভিন্ন সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দগণ ও চীনসহ পাঁচটি পর্যবেক্ষক দেশের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এবার হচ্ছে সার্কের নতুন সদস্য ও পর্যবেক্ষক দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তির পর অনুষ্ঠিত প্রথম শীর্ষ সম্মেলন।

 এবারের শীর্ষ সম্মেলনে দারিদ্র বিমোচন, বাণিজ্য, শিক্ষা ও সন্ত্রাস দমনসহ নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিবৃতি বা ঘোষণা গৃহীত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে স্বাগতিক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, "এ অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা উর্ধ্বতন পর্যবেক্ষকদের এবারের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আমি আন্তরিকভাবে আনন্দ বোধ করছি। ভবিষ্যতে সার্ক এই অঞ্চলের বাইরের অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে সহযোগিতা করবে। যাতে তারাও দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।"

 মনমোহন জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ দারিদ্র ও রোগ এই দুটি বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর পাশাপাশি জনগণের কল্যাণ বয়ে আনা ও আঞ্চলিক উন্নয়ন দ্রুত করার সুষ্ঠু সুযোগও রয়েছে।

 পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ তাঁর ভাষণে বলেছেন, "আমরা সবাই সার্কের উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের সাহস, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা, বুদ্ধি ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে পরিবর্তন করতে হবে। যাতে দক্ষিণ এশিয়াকে আরো একটি প্রাণশক্তি ও অগ্রগতিময় সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত করা যায়। এটা হচ্ছে আমাদের অভিন্ন দায়িত্ব। এ লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের চিন্তাভাবনার পদ্ধতি ও মনোভাব বদলানো দরকার।"

 প্রথমবার সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, "আফগানিস্তান সার্কের আনুষ্ঠানিক সদস্য হওয়ায় এই অঞ্চলের জনগণের বিনিময় ত্বরান্বিত করা এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বার্থ সর্বাধিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিরল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার নীতি হিসেবে গড়ে তুলেছি। এটা হচ্ছে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় কৌশল।"

 চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাও শিং চীন সরকারের পক্ষ থেকে সার্কের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "চীন সরকার সার্কের লক্ষ ও অগ্রাধিকার উন্নয়নের ক্ষেত্রকে সমর্থন করে। চীন সার্কের সদস্য দেশগুলোর ইচ্ছাকে সম্মান করার ভিত্তিতে সমতা ও পারস্পরিক আস্থা , সহযোগিতা ও সকলের স্বার্থ রক্ষার মর্ম অনুসারে সার্কের সঙ্গে বিনিময় করতে, ধাপে ধাপে বাস্তব সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে এবং দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক।"

 লি চাও শিং চীন ও সার্কের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেছেন, চীন আশা করে, দারিদ্র বিমোচন সম্পর্কিত সহযোগিতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সার্কের সঙ্গেআলোচনা করবে, চীন দুর্যোগ হ্রাস ও উদ্ধার সম্পর্কিত সহযোগিতার ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে সার্কের সঙ্গে আলোচনা করবে, সার্কের জণশক্তি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রের সহযোগিতা, জনগণের যাতায়াত ও বৈজ্ঞানিক বিনিময় জোরদার করবে, সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে সার্কের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বুনিয়াদী ব্যবস্থার নির্মাণ, অর্থনীতি ও বাণিজ্য এবং জ্বালানি শক্তিসহ নানা ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করবে।

 অবশেষে লি চাও শিং জোর দিয়ে বলেছেন, চীন ও সার্কের দেশগুলোর সবাই উন্নয়নশীল দেশ। দু'পক্ষের ঐতিহ্যিক মৈত্রী বেশ গভীর, সহযোগিতার ভিত্তি ভালো। চীন ও সার্কের সহযোগিতা দু'পক্ষের স্বার্থের জন্য হিতকর এবং এই অঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্যও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।