v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-04-02 16:43:31    
চীনের সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো এবং   চীনা ভাষার শিক্ষা ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ

cri
    বর্তমানে প্রবাসী চীনা বংশোদ্ভুত বিদেশীর সংখ্যা প্রায় চার কোটিরও বেশি। তাঁদের মধ্যে ৩.২ কোটি লোক দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দশটি দেশে বসবাস করছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের এক ঐকান্তিক ইচ্ছা হচ্ছে বিদেশে চীনের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিক্ষা গ্রহণ করবে। এর পাশা পাশি এ পর্যন্ত বিদেশে এক শোরও বেশি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে। চীনা ভাষা শিক্ষার হিড়িক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বহু সংখ্যক বিদেশী এখন চীনা ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে চীনের সংস্কৃতিকে আরো বেশি জানতে চায়। চীনের সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো ও চীনা ভাষার শিক্ষা সম্প্রসারিত করা চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস ও গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের বার্ষিক অধিবেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর জন্য আমাদের সংবাদদাতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

    গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির সদস্য,ইয়ুন নান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যু খেমিন মনে করেন,

    চীনের সংস্কৃতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনাদের সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। তাঁরা চীনকে ভালোবাসেন। তাঁরা চীনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার অবস্থা বলে তাদের সন্তানদের চীনা ভাষা ও চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি শিক্ষার ব্যাপারে সাহায্য করার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে।

    তবে এখন বিদেশে চীনা ভাষা ভালোভাবে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও আছে। সদস্য স্যু খেমিন বলেছেন,

    আমরা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু স্কুলের শিক্ষাদানের পরিস্থিতি জরীপ করেছি। ওখানে বহু চীনা ভাষা শিক্ষাদানের স্কুল প্রবাসী চীনাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে তাঁদের অর্থের-অভাব রয়েছে। বর্তমানে বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনাদের ছেলেমেয়েরা যে পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করছে সেগুলো অপেক্ষকৃত পুরোনো। এসব কথা জানার পর আমরা স্থানীয় চীনা ভাষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বশেষ পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করেছি। এতে তাঁরা খুব আনন্দিত। সুতরাং এসব দেশের চীনাভাষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা খরচে বাধ্যতামূলক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা আরও বেশী দরকার।

    কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বহু ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভালো শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিউ কুও ই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার তাত্পর্য ব্যাখ্যা করার সময় বলেছেন, 

    চীনা ভাষা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রধান দায়িত্ব। ভাষার মাধ্যমে যেমন সংস্কৃতির প্রসার করা যায়, তেমনি অর্থনীতি ও প্রযুক্তির বিনিময়কেও ত্বরান্বিত করা যায় সহজেই। ভাষা শিক্ষা হচ্ছে বিদেশী বন্ধুদের চীনকে জানার ভালো উপায় এবং চীনের সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করে তোলার মূল ভিত্তি। চীনা ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে বিদেশীদের চীনের সংস্কৃতিকে জানার জন্য অনেক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি, চীনা ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিনিময় ত্বরান্বিত করতে এবং চীনের সংস্কৃতিকে আরো গভীরভাবে জানানো সম্ভব হবে।

    এ পর্যন্ত বিদেশে গড়ে তোলা কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সংখ্যা এক শোরও বেশি। চীনা ভাষা শিক্ষার হিড়িক পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্যরা চীনের সংস্কৃতির প্রসারের উপায় নিয়ে ভাবছেন। এ সম্পর্কে সদস্য চিউ কুও ই বলেছেন, 

    চীনা ভাষার শিক্ষাদানে সতর্ক হওয়া উচিত। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত। আমাদের দেখতে হবে, বিদেশী ও বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী চীনাদের চীনের সংস্কৃতির কীকী দিক সম্পর্কে আগ্রহী। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের উপায় নিয়েও গবেষণা করা দরকার। এটি হচ্ছে একটি দীর্ঘকালীণ প্রচেষ্টার প্রক্রিয়া। আমাদের উচিত চীনা ভাষা শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের মান উন্নত করা এবং বিদেশী ও প্রবাসী চীনাদের চীনা ভাষা শিক্ষা গ্রহণের সাফল্যকে উন্নত করা।

    সাক্ষাত্কার শেষে সদস্য স্যু খেমিন আমাদের সংবাদদাতাকে একটি সুখবর দিয়েছেন। বর্তমানে চীনা ভাষা শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্ণ হচ্ছে। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা সহায়তাকারী বৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা ধাপে ধাপে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, চীন আরো বেশি বিদেশীদের চীনা ভাষা শিখানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। চীন আশা করে, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পরের মৈত্রীকে আরো গভীর করা যাবে।