ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারগারেট বেকেট ৩১ মার্চ বলেছেন, ব্রিটেন আশা করে, ব্রিটিশি নৌ-সেনাদের আটক করার ঘটনা অবিলম্বে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। অন্য দিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মানোছেহর হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, ব্রিটেনের এই ঘটনাকে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, এ ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য ব্রিটেন ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবে। কিন্তু ৩১ মার্চ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, যদি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সংকট নিষ্পত্তি করার পক্ষপাতি হন তাহলে দেশটির উচিত তাদের তথ্য মাধ্যমের আক্রমণ এবং এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রুপ দেয়া বন্ধ করা।
আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, ৩১ মার্চ ইইউর নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি জাভিয়ের সোলানা ইরানের সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে প্রথম বার যোগাযোগ করেছেন। ইইউ কমিশনের চেয়ারম্যান বারোসো বলেছেন, ইরানকে অবিলম্বে বিনা শর্তে ব্রিটিশ সৈন্যদের মুক্তি দিতে হবে।
এ দিন , মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডাবলিও বুশ ইরানকে অবিলম্বে আটককৃত ব্রিটিশ সৈন্যদের মুক্তি দিতে তাগিদ দিয়েছেন। অন্য দিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ অভিযোগ করেছেন যে, এই ঘটনায় কয়েকটি পাশ্চাত্য দেশ ' অহংকারী' মনোভাব পোষণ করছেন।
৩১ মার্চ ব্রিটেনের সানডে টেলেগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক জরিপে দেখা দিয়েছে, অধিকাংশ ব্রিটিশ জনসাধারণ বল প্রয়োগে এই ঘটনা নিষ্পত্তি করার বিরোধীতা করেন।
|