v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-30 20:46:56    
জাপান ও উত্তর কোরিয়ার স্বাভাবিকায়ন আলোচনা অব্যাহতভাবে চালানো হয়েছে

cri
    ভিয়েতনামে উত্তর কোরিয় দুতাবাসের একজন কর্মকর্তা ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ও জাপান একমত হয়েছে যে, ৮ মার্চ অব্যাহতভাবে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন নিয়ে আলোচনা হবে । একই সঙ্গে ভিয়েতনামে জাপানের দুতাবাসও এবারের আলোচনা সভা আয়োজন নিয়ে কথা বলেছে ।

    এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত পঞ্চম দফার ছ'পক্ষীয় বৈঠক সংক্রান্ত তৃতীয় পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত " যৌথ প্রস্তাব" অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া ও জাপান দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করতে রাজি হয়েছে। ৭ মার্চ সকালে, দু'দেশের সম্পর্ক সংক্রান্ত স্বাভাবিকায়ন কাজকর্ম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট অধিবেশন ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে শুরু হয়েছে। এবারের আলোচনায় দু'পক্ষ প্রাথমিকভাবে নিজেদের অভিমত ব্যাখ্যা করেছে। জাপানের প্রতিনিধি, জাপান ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন সংক্রান্ত আলোচনার রাষ্ট্রদূত কোইছি হারাগুছি বলেছেন, দু'পক্ষ ২০০২ সালে স্বাক্ষরিত " পিয়ং ইয়ং প্রস্তাব" অনুযায়ী, দু'পক্ষের অপহরণ সমস্যা , কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা এবং উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপণ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন। দু'পক্ষের অতীতের বিভিন্ন দুর্ভাগ্যজনক বিষয় সমাধানের পর, জাপান ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন আলোচনার রাষ্ট্রদূত সোনগ ইল-হো বলেছেন, দু'পক্ষের পারস্পরিক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, দু'পক্ষই দায়িত্বশীল অভিমত নিয়ে আলোচনা করে যাবে । যাতে এবারের আলোচনা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের মতৈক্য পৌঁছানোর চুক্তির জন্য সহায়ক হয় ।

    আলোচনায় জাপানের প্রতিনিধি হারাগুছি বার বার জোর দিয়ে বলেছেন, জাপান ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকায়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে অপহরণ সমস্যা সমাধান করা। এ সমস্যা সমাধান না করলে, দু'পক্ষের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। এটি হলো জাপান সরকারের বরাবরের নীতি। তাই এ ব্যাপারে জাপান আশা করে যে, উত্তর কোরিয়ার উচিত ইতিবাচক ব্যবস্থা নেয়া। অপহরণ সমস্যার সমাধানে হারাগুছি তিনটি দাবি দাখিল করেছেন: প্রথমত, সব অপহৃত ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া, দ্বিতীয়ত , এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সত্য জানানো, তৃতীয়ত, এ ব্যাপারে অংশগ্রহণকারীকে ফেরত পাঠানো। তবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি বলেছেন, দু'দেশের অপহরণ সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ ব্যাপারে দু'পক্ষের অব্যাহত আলোচনার দরকার নেই। এ জন্যও আলোচনা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়াও এবারের দু'পক্ষের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন নিয়ে আলোচনা শেষ করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছে।

    জানা গেছে, জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এদিন ভিয়েতনামে উত্তর কোরিয় দুতাবাসে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার জন্য মত বিনিময় করেছেন এবং মতৈক্য পৌঁছেছেন। দু'পক্ষ একমত হয়েছে যে, ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাপানের যুদ্ধ ক্ষতি পুরণ সমস্যা এবং অপহরণ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবে । হারাগুছি বলেছেন, দু'পক্ষ জাপান ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিকায়নের ক্ষেত্রে মতভেদ থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিভিন্ন পক্ষের উচিত নিজের মনোভাব নরম রাখা । দু'দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নয়নের জন্য তা সহায়ক হবে। এবারের বৈঠক হলো প্রথমবারের মতো দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়ন সংক্রান্ত আলোচনা । এই আলোচনা দ্রুত বন্ধ হওয়ায় কোনো তাত্পর্য নেই।

    সংশ্লিষ্ট বিশলেষকরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ও জাপানের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়নের ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে। একটি হচ্ছে " অপহরণ সমস্যা"। ১১ জন জাপানী উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত হয়েছে। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইল তত্কালীণ জাপানের প্রধানমন্ত্রী জুনিছিরো কোইজুমির সঙ্গে পিয়ং ইয়ংয়ে শীর্ষ বৈঠকের সময় এ ঘটনা স্বীকার করেছেন। আরেকটি বাধা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাপানের যুদ্ধ ক্ষতি পুরণ সমস্যা। বর্তমানে এ ব্যাপারে দু'পক্ষের আপোষ করার সম্ভাবনা নেই। তাই এবারের আলোচনা এমন অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে না।