চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনী ২৭ মার্চ মস্কোরক্রোকুস এক্সপো প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। রাশিয়া সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন। এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রিপোর্ট।
'চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনী' রাশিয়ার ' চীন বর্ষের' ধারাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচীগুলোর অন্যতম। চীনের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের দু'শোরও বেশী ইউনিট এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জনসাধারন জীবনযাত্রা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য সহ ৩০টিরও বেশী বিষয় এই প্রদর্শনীতে অন্তর্ভূ্ক্ত। প্রদর্শনীতে ১৫ হাজার ধরনের পণ্যদ্রব্য আর এক হাজারেরও বেশী ছবি দেখানো হচ্ছে। এবারের প্রদর্শনী চীনের বিভিন্ন মহলের উন্নয়নের আধুনিক মানের প্রতিনিধিত্ব করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন,
এই প্রদর্শনীতে রাশিয়ার জনগণের কাছে চীনের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যিক ও উজ্জ্বল সভ্যতা , চীনের সংস্কার ও উন্মোক্তকরণআর আধুনিকীকরণের গঠনকাজের সক্রিয় প্রক্রিয়া এবং চীন-রাশিয়া আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতায় অর্জিত ফলপ্রসু সাফল্য দেখানো হচ্ছে। গত বছর নভেম্বর মাসে চীনে আয়োজিত ' রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনী' চীনা জনগণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। আমি বিশ্বাস করি, 'চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনী' অবশ্যই দু'দেশের জনগণের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীসম্প্রসারিত করা এবং দু'পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার একটি প্ল্যাটফোমে পরিণত হবে।
প্রদর্শনীতে চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির ভাবমূর্তি সহ নানা ক্ষেত্রের সাফল্য দেখানো হচ্ছে। তা ছাড়া, চীনের উত্পাদন শিল্পের সর্বোচ্চ মানও এই প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন আর রাশিয়ার মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুষ্ঠু বিকাশ হয়েছে। পারস্পরিক পুঁজিবিনিয়োগের আকার ক্রমেই প্রসারিত হয়েছে। দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে হু চিন থাও তাঁর ভাষণে আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন,
চীন আর রাশিয়া নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের বাস্তব সহযোগিতায় প্রাণশক্তি আর উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রকাশ পেয়েছে। পারষ্পরিকভাবে রাষ্ট্রীয় বর্ষের আয়োজনের সুযোগে দু'দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন বৃদ্ধির বিন্দু খুঁজে বের এবং তৈরী করা হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করি। আমি আশা করি, চীন-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারী সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে।
জানা গেছে, ' চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনীর' প্রধান লক্ষ্য হল, চীনের শ্রেষ্ঠ শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও পণ্যদ্রব্য রামিয়ার বাজারে জনপ্রিয় করা , দু'দেশের সার্বিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করা। প্রদর্শনী চলাকালে দু'দেশের শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনীর উপর প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রবল আস্থা রয়েছে। তিনি বলেছেন,
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনী আমাদের জন্যে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ সাফল্য দেখিয়েছে। রাশিয়ার জন্য এই প্রদর্শনীচীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণে অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে জানার একটি দুষ্প্রাপ্য সুযোগ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের সহযোগিতা শুরু হবে। আমি 'চীনের রাষ্ট্রীয় প্রদর্শনীর সাফল্যের কামনা করি।
এতক্ষণ শুনলেন আজকের প্রধান প্রতিবেদন । শোনার জন্য ধন্যবাদ।
|