মানুষের বসবাসের বাড়িঘরের সবচেয়ে উত্তম তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডপর্যন্ত । এ তাপমাত্রায় আমদের কাছে আরামদায়ক মনে হবে এবং বেশি বা কম কাপড় পরার দরকার হবে না ।
গোসল করার সময় সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রা হবে ৩৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ৩৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডপর্যন্ত । এ তাপমাত্রা মানুষের শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য একটু বেশী তাই এ তাপমাত্রায় গোসল করলে শরীরের চামড়া নরম ও ঝলমলে তোলার জন্য সহায়ক হবে ।
চা তৈরী করার পানির সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডথেকে ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এভাবে তৈরী চা খেলে বেশ সুস্বাদু লাগবে ।
মাছ হিমায়িত করার ভালো তাপমাত্রা হলো মাইনাস ৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের নিচে । তখন মাছের টাটকাভাবে সংরক্ষণ এবং মাছের মাংসের গুণও ভালো থাকবে । কিন্তু গরুর বা মুরগীর মাংস হিমায়িত রাখার তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডথেকে মাইনাস ১৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা ভালো।
আপনারা জানেন খাবার খাওয়ার সময় তাপমাত্রা সরাসরিভাবে এর সুস্বাদুর ওপর প্রভাব ফেলে । পুষ্টি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, খাবারের লোনা মানের সঙ্গে তাপমাত্রার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । ২৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ৪২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডেপর্যন্ত খাবারের লোনা মান কমে যায়,৪২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড ছাড়িয়ে গেলে, খাবারের লোনা মান খুব বেশী কমে যাবে । এর অর্থ হল উচ্চ তাপমাত্রার সময় আমরা বেশ লবণাক্ত খাবার খেতে পারি, তবে এ খাবার ঠাণ্ডা হওয়ার পর খেলে বেশ লোনা লাগবে । তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের সময় মিষ্টি খাবার খেলে, অন্যান্য তাপমাত্রায় খাওয়ার চেয়ে আরো বেশি মিষ্টি লাগবে ।
এখন আমি আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি কয়েক ধরনের খাবার খাওয়ার সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রার কথা । মাইনাস ৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের আইসক্রিম , ৩ থেকে ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের সোডা পানি, ৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের আইসকফি, ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডপর্যন্ত রস ,৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের তরমুজ এবং ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত সিদ্ধ পানি । এসব খাবার হল গ্রীষ্মকালে আমাদের সাধারণ খাওয়া খাবারের অন্যতম । শীতকালে আমরা ৬৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের দূধ, ৬৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের চা এবং ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের কফি খেলে বেশ ভালো লাগবে ।
|