v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-27 18:38:01    
প্রমোদবালা সমস্যার ব্যাপারেজাপানের প্রধানমন্ত্রীআনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন

cri

    জনমতের চাপে জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজো ২৬ মার্চ সিনেটের বাজেট কমিটিতে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রমোদবালাসমস্যার ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছেন ।

    জাপানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে , এ দিন সিনেটের বাজেট কমিটির সভায় জাপান সরকার প্রমোদবালা সমস্যার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে কি না , জাপান কমিউনিষ্ট পার্টির সংসদসদস্য ইয়োসিকাওয়া হারুকো প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজো বলেছেন , তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সমস্যার ব্যাপারে ক্ষমা চাইবেন । সরকার এ ব্যাপারে " কোনো ইয়োহেই সংলাপের" অভিমত মেনে চলবে । যারা দুঃখদুর্দশা ভোগ করেছিলেন তাদেরকে তিনি সহানুভূতি জানান । সেই সময় তাদেরকে এমন একটি অবস্থায় থাকতে বাধ্যহয়েছিল বলে তিনি তার জন্যক্ষমা চাইছেন ।

    ১৯৯৩ সালে জাপানের সেসময়কালের মন্ত্রীসভার মন্ত্রী কোনো ইয়োহেই " প্রমোদবালা" সমস্যার তদন্ত ফলাফল সম্পর্কে ভাষণ দিয়েছেন । তিনি ভাষণে স্বীকার করেছেন যে, জাপানী সেনাবাহিনী সরাসরি কোরীয় উপদ্বীপ এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশে "প্রমোদশালা" প্রতিষ্ঠার কাজে অংশ নিয়েছে । তারা এশিয়ার মহিলাদেরকে সৈন্যবাহিনীর " প্রমোদবালা" হতে বাধ্য করেছে । এজন্য তিনি ক্ষমা চান । উক্ত কথাগুলোকে " কোনোইয়োহেই সংলাপ" বলা হয় । গত কয়েক বছরে জাপানের কিছু সংসদ সদস্য " প্রমোদবালা" এই সত্যতা অস্বীকার করার অপচেষ্টা করেছেন এবং পুনরায় সমস্যাটির ওপর তদন্ত চালিয়েছেন । আবে সিনজো বারবার ব্যক্ত করেছেন যে , তিনি ১৯৯৩ সালে "কোনোইয়োহেই সংলাপ"-এর মর্মবস্তু অনুসরণ করবেন । কিন্তু আবে সিনজো এই সব সংসদ সদস্যদের আচরণ সমর্থন করে বলেছেন , জাপান সরকার বা সৈন্যবাহিনী জোর করে প্রমোদবালা ভোগকরেছিল এমন কোনো প্রমাণ নেই । আবে সিনজোর মনোভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রবল অসন্তোষ জাগিয়ে তুলেছে । জাপানের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে প্রমোদবালা সমস্যা সম্পর্কে নিজের দোষ স্বীকার করার যে দাবী করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে সে সম্পর্কিতএকটি খসড়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে । যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক কমিটির একজন প্রবীন সংসদসদস্য মনে করেন যে , এ ব্যাপারে জাপান সরকারের অভিমত হাস্যকর ।

    এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশ গ্রুপ এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনজন অভিযোগকারী যারা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বাধ্য হয়ে জাপান সেনাবাহিনীর প্রমোদবালা হয়েছিলেন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এক শুনানীর আয়োজন করেছে । শুনানীতে তারা বিস্তারিতভাবে প্রমোদবালা হওয়ার প্রক্রিয়া এবং জাপানী সেনাবাহিনীর অপমান ও ধর্ষণের বেদনার কথা বর্ণনা করেছেন । যুক্তরাষ্ট্র জাপান সরকারকে আনুষ্ঠানিক দোষ স্বীকার করতে তাগিদ দেবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন । মার্কিন কংগ্রেসও বেশ কয়েকবার প্রমোদবালা সমস্যা সম্পর্কিত প্রস্তাব প্রকাশ করেছিল কিন্তু জাপানের তত্পরতার ফলে সেই প্রস্তাবগুলো কংগ্রেসে গৃহিত হয়নি । কিন্তু মার্কিন ডেমোক্রাসি পার্টি কংগ্রেসকেনিয়ন্ত্রণেআনার পর বিষয়টির পরিবর্তন হয়েছে । এই সমস্যায় মার্কিনজনমত দিনদিন কড়া মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেছে ।

    শুধু বিদেশের সংবাদ মাধ্যম নয় " ইয়োমিউরি"সহ জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলোও সম্পাদকীয় প্রকাশ করে আবে সিনজোর ইতিহাস অস্বীকারের আচরণের সমালোচনা করেছে ।

    দেশবিদেশের সমালোচনায় আবে সিনজো ১১ মার্চ এন-এইচ-কে টেলিভিশনে এক ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন , তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সব মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত "প্রমোদবালাদের কাছে ক্ষমা চাইছেন । ২৬ মার্চ বাজেট কমিটির সভায় তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীহিসেবে প্রমোদবালাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন । জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুরাইয়ামা তোমিইচি বলেছেন , প্রমোদবালা সমস্যা প্রশমিত করা গুরুত্বপূর্ণ , তবে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আবে সিনজোকে অকৃত্রিমভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং কিভাবে মন দিয়ে দোষ স্বীকার করবে তা জানতে হবে ।