v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-27 09:56:44    
লি হুইচেনের নতুন এলবাম 'খুঁজে বের ও লি হুইচেন'

cri

    ২০০৬ সালের মে মাসে, শিল্পী লি হুইচেন সংগীত জগত থেকে ৯ বছর দূরে থাকার পর, নতুন এলবাম 'খুঁজে বেড়াই ও লি হুইচেন' নিয়ে আবার সংগীত ক্ষেত্রে ফিরে এসেছেন।

    (সঙ্গীত-১)

     বন্ধুরা, এখন আপনারা যে গানটি শুনছেন, তা এলবামের শিরোনামের গান 'খুঁজে বেড়াই ও লি হুইচেন'। এটা হচ্ছে একটি উদ্দীপনাময় গান এবং লি হুইচেনের গাওয়া খুব মনোমুগ্ধকর গান। মাত্র ৩০ বছর, একজন মানুষের জন্য তা জীবনের শুরু। তবু লি হুইচেনের জন্য এ বছর হলো তার জীবনের পুনর্জন্ম। ১৯৯৩ সালে, ১৬ বছর বয়সী লি হুইচেন জাতীয় যুব সংগীত প্রতিযোগিতায় সফলতা পেয়েছেন। তার পর তার সংগীত জীবন শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিনি একক গান 'অপেক্ষা করছি' প্রকাশ করেছেন। একই বছর প্রথম একক এলবাম 'অপেক্ষা করছি'ও সাফল্যের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। সে বছর তিনি সংগীত ক্ষেত্রের শ্রেষ্ঠ নতুন গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু ভালো সময় কখনই খুব বেশী দীর্ঘ হয়না। হঠাত করে লি হুইচেন মোটা হয়ে যান। রেকর্ড প্লেয়ার কোম্পানি এ কারণে তার এলবাম প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছে। একেই বলে মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ, কারণ ২০০০ সালে একই সঙ্গে লি হুইচেন পিটুইটারি গ্রন্থি টিউমারে আক্রান্ত হয়ে পরেন। অস্ত্রপোচারের পর তার বাবাও হঠাত মারা যান। আকষ্মিক আঘাতে তার শরীর ও হৃদয়ে ক্লান্তি নেমে আসে। ফলে তিনি সংগীত জগত থেকে কিছু দিনের জন্য ছুটি নেন।

যদিও এক সময় তিনি সঙ্গীতের মঞ্চ ত্যাগ করেছেন। তবুও তিনি তার স্বপ্ন কখনোই ত্যাগ করেননি। ২০০৬ সালের জানুয়ারী, তিনি হুয়াই ব্রাদা ও থাইহে ফিলম পুঁজি বিনিয়োগ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন এবং তার প্রত্যাশিত রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে আবার ফিরে এসেছেন। যখন তিনি আত্মজীবনী ধরনের গান 'খুঁজে বেড়াই ও লি হুইচেন' গেয়েছেন সে সময় তিনি কান্না ধরে রাখতে পারেন নি। গানটিতে তিনি বলেছেনঃ সেই ছোটোবেলায় আমি বাড়ি থেকে কতবারই না বাইরে গিয়েছি। চার ঋতু যেন এক কষ্টের সময় কত অভিজ্ঞতা সি অর্জন করেছে। আমি পৃথিবীর আনাচে-কানাচে গিয়েছি। কিন্তু তাকে খুঁজে বের করতে পারি নি। কেউ কি তার নাম শুনেছে? কেউ কি তাকে জানে? হয়তোবা কেউ। হয়তো কেউনা। তার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িতে ফিরে আসা প্রয়োজন। পৃথিবী অনেক বড়। তাকে তো নিজের কথা বলতেই হবে। তাইতো আবারও ফিরে আসা তার সেই প্রিয় ভূবনে।

    শুরুতে তার গান 'অপেক্ষা করছি' থেকে 'খুঁজে বেড়াই ও লি হুইচেন' পর্যন্ত, তার স্টাইলের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। হ্যা, বন্ধুরা এখন তার আরেকটি গান শুনুন গানটি হচ্ছে 'আমার পথ'।

    (সংগীত-২)

 

    গানের কথা হলঃ যৌবন অগ্নিকাণ্ডে ছাই করে দেয়। সকল সংকট কাটিয়ে অব্যাহতভাবে খুঁজে বের করতেই হবে। আমার পথে আসো, হাসো, চ্যাঁচাও। আকাশের নীল উজ্জ্বলতা দেখো। আসো, আর দূরে থেকোনা। সামনেই হচ্ছে কাঙ্খিত গন্তব্যস্থান। প্রয়োজনে উড়ে দূরে চলে যাবো, নিঃসঙ্গতাকে আর ভয় পাইনা। কারণ তোমার স্বপ্ন সঙ্গেই থাকবে।

    নতুন এলবামে 'দীর্ঘ ভ্রমণ' নামে একটি লোক সংগীত স্টাইলের গানও রয়েছে। গানের সুর খুব মনোগ্রাহী। লি হুইচেন হাল্কা মেজাজে আবেগময় কন্ঠে গেয়েছেনঃ কতইনা হাসতে চেষ্টা করি। আস্তে আস্তে আমি দরজাটা বন্ধ করে দেইঅ ফিরে তাকাবোনা আর। এখন থেকে একাই সামনে এগিয়ে যাবো। যত বেশী ঝড় বৃষ্টিই হোক না কেনো। শুধু সাহসী আমি এগিয়ে যাবো। এগিয়ে যাবো। মাঝে মাঝে কল্পনা করছি হয়তো ভবিষ্যত কতইনা উজ্জ্বল হবে। আকাশে কত সুন্দর রঙধনু উঠবে। তার কাছেই তো যাচ্ছি। আমার হৃদয় অভিভূত হয়ে পড়েছে। আচ্ছা, বন্ধুরা, তাহলে শোনা যাক এই গানটি।

    (সংগীত-৩)

     পুরো এলবামের গানগুলো শুনলেই বোঝা যায় যে, গানগুলো ঠিক লি হুইচেনের জীবনের মতই। যেমনঃ 'খুঁজে বেড়াই ও লি হুইচেন', 'চোখের এ পানি সুখের' ও 'ভালো থাকুন' যেন অবিকল তার নিজের কথা। জীবনের কথা। গানগুলোতে মেয়েদের জীবনের বিভিন্ন ধরনের রূপ ফুটে উঠেছে। সুখ-দুঃখ প্রেম ভালোবাসা ও অসীম উদারতা।

    (সংগীত-৪)

    এখন আপনারা যে গান শুনছেন, তার নাম 'নীল ইন্দ্রজাল'। গানটিতে মহিলাদের প্রেমের স্বরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। গানের কথা হলঃ আমি নিজেকে মুক্ত করে দিতে চাই। আমার মন নীল জাদুমন্ত্রে আবেগাপ্লুত। আমি বুঝতে পেরেছি সময় যথেষ্ট নেই। আমি তোমাকে দেখতে চাই, সে দেখার জন্যে আমার পুনর্জন্মের সমর্থ্য আছে। আকাশ আমার সঙ্গে নীল ইন্দ্রজালের যায়া ভাগ করে নেয়। নীল ইন্দ্রজাল আমার শূণ্যতায় নিয়ে যাবে অস্তিত্বে অহঙ্কারে।

    আমরা অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে গেছি। এখন আমরা এক সঙ্গে লি হুইচেনের অন্য আর একটি গান শুনবো। গানের কথা হলঃ ভালোবাসা হচ্ছে মৃত্যুহীন কামনা। সবাইতো চায়। তবে কেউ কেউ কখোনো সরবে চায় এবং আবার কেউ কেউ তা না চাইলেও ভুলতে পারে না। ভালোবাসা হচ্ছে রহস্যময় তুনহুয়াং। যদি নিঃসঙ্গতাকে ভয় না পাও, তাহলে আসো। আহত হৃদয় যদিও বিপন্ন, তাহলে কি হবে? চলে এসো। এসো না? হারিয়ে যাই।

    (সংগীত-৫)