v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-23 16:31:44    
জাতিসংঘ পানির অভাব মোকাবেলা করতে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে

cri
     ২২ মার্চ হচ্ছে জাতিসংঘ নির্ধারিত ' বিশ্ব পানি দিবস'। চলতি বছর হলো পঞ্চদশ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হল " পানির অভাব মোকাবেলা করা"। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এদিন রোমে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি পানিসম্পদ প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে মিলিতভাবে পানি সমস্যার সমাধান করা যায়। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো:

    পানি হচ্ছে মানুষের ধনসম্পদের মধ্যে অন্যতম। তবে এর মধ্যে মিঠা পানির পরিমাণ খুবই কম । যা শুধু মোট পানির পরিমাণের ০.২৬ শতাংশ । জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রোম সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে এই সংস্থার পরিচালক জ্যাক্স ডিওউভ উল্লেখ্য করেন যে, পানির অভাব হলো বিশ্বের আঞ্চলিক সংকট। তিনি বলেন:" পানি ছাড়া, আমরা উত্পাদন করতে পারি না। এক কথায় আমাদের খাবারও সম্ভব হবে না। কোন সম্প্রদায় বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পানির অভাব সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত । এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী গভীর সংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন প্রায় ২.৮ বিলিয়ন মানুষ পানির সমস্যার সম্মুখীণ । ২০২৫ সালে বিশ্বের লোকসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগ পানির অভাব সম্বলিত দেশগুলোর অধিবাসী হবে ।"

   ২০০০ সালে জাতিসংঘে মোট আটটি সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার মোট তিন ভাগের দুই ভাগে কমিয়ে আনা। উল্লেখ্য, নিরাপদ পানির অভাব হচ্ছে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মারা যাওয়ার প্রধান কারণ। জাতিসংঘের পানি ও স্বাস্থ্য জিজ্ঞেস বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান, নেদারল্যান্ডসের যুবরাজ ওয়েইলেম- আলেক্সানডার অবহিত করেছেন যে," নিরাপদ পানির অভাব এবং মৌলিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্থাপনার অভাবে প্রতিবছর পাঁচ বছর বয়সের নিচের মোট ১৬ লাখ শিশু মারা যায়। এ সংখ্যা ২০০৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জলোচ্ছ্বাসে নিহত সংখ্যার আট গুণেরও বেশী।

    শিশুদের মৃত্যুহার কমানো ছাড়া, ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, পুরুষ--নারীর সমান অধিকার, পরিবেশের অবিরাম উন্নয়ন এবং এইড্স রোগের প্রতিরোধসহ নানা ধরণের সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ মাত্রার সময়মতো বাস্তবায়ন পানিসম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। আফ্রিকা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে পানিসম্পদের অভাবে জরুরী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । আফ্রিকার পানিসম্পদ মন্ত্রী বিষয়ক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উগান্ডার পানিসম্পদ মন্ত্রী মারিয়া মুটাগামবা বলেছেন: " নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্থাপনার পরিমাণ যথেষ্ট না থাকায় অনেকে সংক্রামক রেগে আক্রান্ত হয়। এর প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে ২০১৫ সালে এমন লোকসংখ্যা আরও বহু গুণ বেশী হতে পারে । আসলে এ বছর হচ্ছে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা বাস্তবায়নের বছর।"

    জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিচালক ডিওউভ বলেছেন, ২০১৫ সালের মধ্যে এ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা বাস্তবায়নে পানিসম্পদে যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন:" আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে পানিসম্পদের প্রশাসন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা। যাতে সমানভাবে পানিসম্পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ব্যবহারের বিষয়টিকে নিশ্চিত করা যায়। আঞ্চলিক দিক থেকে সবার উচিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রশাসন জোরদার করা। এর ফলে পানিসম্পদের অবিরাম ও সমান ব্যবহার ত্বরান্বিত করা যাবে।