v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-22 18:33:23    
শান্তিপর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির বিষয়বস্ত কি?

cri
    ভারতের ডোমকাল জেলার শ্রোতা সিরাজুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, শান্তিপর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির বিষয়বস্ত কি? কোন দেশ এই প্রথম পেশ করে? উত্তরে বলছি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির বিষয়বস্তু হল: পরস্পরের সাবর্ভৌমত্ব আর ভূভাগীয় অখন্ডতার প্রতি সম্মান করা, পরস্পরের উপর আক্রমন না করা, পরস্পরের অভ্যন্তীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা , সমতা ও উপাকরিতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাস্থান থাকা । ১৯৫৪ সালের জুন মাসে চীন, ভারত আর মায়ানমারের যৌথ উদ্যোগে এ পঞ্চশীল নীতি উত্থাপিত হয়। চীনের প্রয়াত্ত প্রধান মন্ত্রী চৌ এন লেই চীনের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ভারত আর মায়ানমানের সঙ্গে চীনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতা জোরদার করা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি গঠনের উদ্দেশ্য। গত অধের্ক শতাব্দীতে একটি আন্তজার্তিক বিধি হিসেবে এই মৌলিক নীতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক আদর্শায়ন করা , আঞ্চলিক আর আন্তজার্তিক বিষয়দি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করে এসেছে। সময়ক্রমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি ব্যবহারের আয়ত্তা সম্প্রসারিত হয়েছে। বাস্তবতা থেকে বুঝা যায়, এই বহুমুখী বিশ্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক তত্ত্ব হিসেবে এই মৌলিক নীতি এখনও সবচেয়ে প্রাণশক্তিসম্পন্ন।

     বাংলাদেশের পাবনা জেলার শ্রোতা রানা আবদুল্লাহ তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনে মুসলিম অধ্যুষিত কতগুলো স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল আছে? চীনের মহা প্রাচীর কোন সময়ে কোন রাজবংশের আমলে নিমির্ত হয়? প্রাচীর নির্মানে কত বছর লেগেছিল ? এই প্রাচীরের দৈর্ঘ্য কত? উত্তরে বলছি, নিংসিয়া হল চীনের মসলিম স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটি প্রদেশে কম বেশী মসলমানের বসবাস আছে। নিংসিয়া ছাড়া, ছিনহাই প্রদেশ আর সিনজিয়াং উইগুর স্বায়শাসিত অঞ্চলেও অনেক মসলমান বসবাস করেন। এখানে উল্লেখ করতে হবে , চীনে কয়েকটি ধর্মের মধ্যে মসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। চীনের ছিং রাজবংশ আমলে চীনের মহা প্রাচীর নির্মান কাজ শুর হয়। কিন্তু ছিং রাজবংশ আমলে এই প্রাচীর দৈর্ঘ্য মাত্র ৫০০০ কিলোমিটার। ছিন রাজবংশের পর হান রাজবংশ মহা প্রাচীর আরও ১০ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেয়। দু হাজারাধিক বছর ধরে চীনের বিভিন্ন সময়পূর্বের প্রশাসন ভিন্ন মাত্রায় মহা প্রাচীর নির্মান করে।বিভিন্ন রাজবংশ আমলে নির্মিত মহা প্রাচীরের দৈর্ঘ্য এক সঙ্গে সংযুক্ত হলে মোট ৫০ হাজারেরও বেশী হতে পারে।