v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-22 17:09:28    
প্রমোদ বালার বিয়ষটি জাপানের অস্বীকার করা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন মহলের নিন্দা

cri

    " ক্ষমা চাও ! ক্ষমা চাও!" " ক্ষতি পূরণ দাও ! ক্ষতি পূরণ দাও!" দক্ষিণ কোরিয়ার প্রমোদ বালারা ২১ মার্চ বিক্ষোভকালে এ সব কথা বলেছে। ১৯৯২ সালের জানুয়ারী থেকে তারা প্রত্যেক বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় জাপান দূতাবাসের সামনে এমনি বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যাতে জাপান সরকার প্রমোদ বালা বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায় এবং ক্ষতি পূরণ প্রদান করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রমোদ বালার বিষয়টি জাপান সরকার ও দক্ষিণপন্থীদের অস্বীকার করা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিন্দার ঝড় বইছে। ফলে এ বিশ্বযুদ্ধের শিকার নারীদের দুঃখের স্মৃতি আবার জেগে উঠছে।

    " তখন আমি উলসানে কাজ করি। একদিন আমি বাইরে গেলে রাস্তায় হঠাত্ দু'জন পুরুষ আমাকে বল প্রয়োগ করে ধরে নিয়ে যায় । আমার বয়স তখন শুধু ১৫ বছর।প্রতিরোধ করার কোন শক্তি ছিলো না। এর পর জাপানী বাহিনী আমাকে ট্রেনে করে চীন দেশে পাঠিয়ে দেয় ।"

    এভাবে প্রমোদ বালা হওয়ার ব্যাপারে ৭৯ বছরের বয়সী লে ওয়াক সুন তখনকার জাপানী বাহিনী কর্তৃক অনেক মহিলাকে প্রমোদ বালা হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানী বাহিনী কোরিয় উপদ্বীপে বল প্রয়োগ করে মোট ২ লাখ নারীকে প্রমোদ বালা হিসেবে তাদের বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করে। লে ওয়াক সুন সংবাদদাতাকে তাঁর হাত ও পারের জখম দেখান। তিনি বলেন: " সেখানে আমি পশুর মতো জীবনে কাঁটাতে পারছিলাম না। কয়েক বার আমি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে প্রত্যেক বার আমাকে ধরে ফেলে। ফলে আমি বেদম মার খেয়েছি।"

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ১ মার্চ সংবাদদাতাদের প্রশ্ন উত্তরে বলেছিলেন, তখনকার জাপানের বাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে এশিয়ার অন্য দেশের নারীদেরকে জাপানী বাহিনীর প্রমোদ বালা হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে স্বাক্ষীর -অভাব রয়েছে। তবে জাপান সরকার ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রী সভার সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় জানিয়েছে যে, সরকার ইতিহাসের উপাত্ত যাচাই করে দেখেছেন তখনকার সামরিক পক্ষের বা সরকারী পক্ষের ইচ্ছাকৃতভাবে তথাকথিত প্রমোদ বালা ব্যবহারের প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ নেই।

দ    ক্ষিণ কোরিয়ার গণগজু অঞ্চলে প্রমোদ বালাদের জন্যে বিশেষে করে একটি বার্ধক্য সদন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর উপপ্রধানসুয়ং ইয়েং বলেছেন:" এখানে প্রমোদ বালা হিসেবে অনেক মহিলাকে দুঃসহ জীবন কাঁটাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে জাপান কোনো ক্ষমা চাইলে বা ক্ষতি পূরণ দিলেও তাদের সুখী জীবন আর ফিরে আসবে না। জাপানি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মহিলাকে প্রমোদ বালা হিসেবে তাদের বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এটি একটি গুরুতর অপরাধ । জাপানের প্রধানমন্ত্রীর একটি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রমোদ বালা সংক্রান্ত সমস্যায় তার সংশ্লিষ্ট মত ঠিক নয়। এটি প্রমোদ বালা হিসেবে মহিলাদেরকে আরেক বার অপমানিত করেছে।"

    প্রমোদ বালা সংক্রান্ত সমস্যা সরাসরিভাবে জাপানের ইতোপূর্বে করা আগ্রাসী যুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সম্পর্কিত। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হয়ুন পয়লা মার্চ দেশটির জাপানের প্রতি প্রশাসন প্রতিরোধ বিষয় " তিন.এক অভিযানের " ৮৮তম বার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন " জাপানের উচিত ইতিহাসের ইতিবাচক ভিত্তির প্রতি সম্মান দেখানো। যাতে বাস্তব ব্যবস্থা ও আন্তরিক মতামত নিয়ে প্রমোদ বালা সংক্রান্ত সমস্যা এবং ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা উক্তি অসত্যা সমস্যার সমাধান করা যায়। যদি জাপান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে চায়, তাহলে নিজের অতীত আগ্রাসী ইতিহাসের বিষয়টি স্বীকার করতে হবে।"