বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের শ্রোতা বোরহান উদ্দিন তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনা জনগণের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা কি? উত্তরে বলছি, চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। ১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সর্ম্পক সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হয়ে এসেছে। রাজনীতি, অথর্নীতি, সামরিক আর সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা চালানো হয়েছে । ধারাবাহিক আন্তর্জাতিক আর আঞ্চলিক বিষয়াদিতে দু'দেশের ধারণা প্রায় একই। আন্তর্জাতিক মন্চে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতাও ঘনিষ্ঠ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের মধ্যে উচ্চ পদস্থ নেতাদের ঘনঘন সফর বিনিময় হয়েছে।এর সঙ্গে সঙ্গে দু'পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হয়েছে। এক কথায়, চীনা জনগণ সব সময় বাংলাদেশকে চীনের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু দেশ বলে মনে করেন। ইত্যোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণও চীন দেশকে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু দেশ বলে মনে করেন। দু'দেশ আর দু'দেশেরে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আমরা আশা করি।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অনিসিম রিহিল তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক কে? অনিসিম রিহিল বন্ধু, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া একটু কঠিন। কেননা, চীনের ইতিহাসে অনেক খ্যাতনামা লেখক আছে। বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের জন্ম হন। তবে, চীনের আধুনিক যুগে একজন লেখক উল্লেখযোগ্য । তাঁর নাম লু স্যুন। চীনে যারা শিক্ষিত তাদের মধ্যে লু স্যুনের রচনামালা পড়েননি এমন লোক নেই বললেই চলে। লু স্যুন শুধু একজন মহান সাহিত্যিকই ছিলেন না, এক মহান চিন্তানায়ক ও বিপ্লবী, দেশপ্রেমিক ও আন্তর্জাতিকতাবাদীও ছিলেন। চীনা জনগণের বিপ্লবের অগ্রগতির সঙ্গে তাঁর সাহিত্যিক ও মতাদশর্গত অগ্রগতিও নিবিড়ভাবে জড়িত ছিল। বিংশ শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের এক বাস্তববাদী সাহিত্যের কান্ডারী রুপে তিনি তাঁর রচনায় সমকালীন রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যে চীনা জনগণের আদর্শ , আশা-আকাংক্ষা এবং অভ্যুচ্চ গুণাবলীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সম্পদশালী, গভীর বিপ্লবী আদর্শ এবং আপোসহীন সংগ্রামী মনোভাবকে একীভবন করেছেন। এখানেই তাঁর পূর্ণ সাথর্কতা।
|