v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-22 18:36:03    
ইনছুয়ান শহর এবং নানকুয়ান মসজিদ

cri
    ইনছুয়ান শহর হল উত্তর-পশ্চিম চীনের নিংসিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী । এর পূর্ব দিকে হোয়াংহো নদী, পশ্চিম দিকে হোলানশান পাহাড় রয়েছে । সেখানে প্রচুর ধান উত্পাদন ও মাছের চাষ করার জন্য উত্তর-পশ্চিম চীনের মাছ ও ধানের জন্মস্থান বলে পরিচিত । ইনছুয়ান শহরের চারটি ঋতু খুবই স্পষ্ট। শীতকাল খুব দীর্ঘ ও ঠাণ্ডা, গ্রীষ্মকাল অল্প হলেও খুব গরম, বসন্তকাল নরম এবং শরত্কাল খুবই আরামদায়ক । এ জন্য বসন্তকালের শেষ দিক ও গ্রীষ্মকালের গোড়ার দিক এবং শরত্কাল হল পর্যটনের সবচেয়ে ভালো সময় ।

    এবার আমি শ্রোতাবন্ধুদের জন্য ইনছুয়ান শহরের বৈশিষ্ট্যময় খাবারগুলো পরিচয় দেবো । ইনছুয়ান শহর হল চীনের মুসলমানদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর অন্যতম । সেখানে অনেক ধরণের মুসলিম খাবার আছে । তা মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাবার এবং মধ্য চীনের ঐতিহ্যিক খাবারের সম্মিলত ধরণ মিশিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে । যেমন বাষ্পে সিদ্ধ করা খাঁসির মাংস, গরুর ও খাঁসির মাংসের ফ্রাই এবং ছুড়ি দিয়ে খাঁসির মাংস ভারী করে কেটে দিয়ে হাত দিয়ে খাওয়া । তাছাড়া, খাঁসির মাংসের সুপে চীনা রুটি রাখা নামক বিশেষ খাবার এবং মুসলমানদের নানান ধরনের মিষ্টি সবই কিন্তু খুবই সুস্বাদু।

     খাদ্যশস্যের দ্বারা ইনছুয়ান শহরে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরী করে । বিশেষ করে শাহু হ্রদে নানা ধরনের মাছ রয়েছে । এ জন্য ইনছুয়ান উত্তর চীনের মাছ ও চিংড়ি মাছের উত্স বলা হয়ে থাকে ।

    ইনছুয়ান শহর মুসলমানদের বসবাসের অঞ্চল হিসেবে অবশ্যই সেখানে মসজিদ আছে । এখন আমি আপনাদের জন্য ইনছুয়ান শহরের বিখ্যাত একটি মসজিদ সম্পর্কে কিছু বলবো । নানকুয়ান মজসিদ হচ্ছে একটি আরবী ও চীনের হুই জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থাপত্য । তা ইনছুয়ান শহরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত । মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী উত্সবের সময় সেখানে লাখ লাখ মুসলমান জামাতে নামাজ আদায় করেন ।

    নানকুয়ান মসজিদের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের । প্রাচীনকালের মিং রাজবংশের শেষ দিকে তা নির্মিত হয়। ১৯১৬ সালে পুন- নির্মাণের মাধ্যমে তা একটি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মসজিদে পরিণত হয় । ১৯৮১সালে পুনরায় এ মসজিদের সংস্কার করা হয় । নানকুয়ান মসজিদের প্রধান ভবনের উচ্চতা ২৬ মিটার এবং তা  পূর্ব মুখী । মসজিদের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি । প্রধান ভবনটি মোট দুই তলা । দ্বিতীয় তলার প্রধান হলে ১৩০০জনেরও বেশি লোক নামাজ আদায় করতে সক্ষম । নিচের তলায় অজুর কক্ষ, ছোট নামাজ ঘর, নারীদের নামাজ ঘর , আরবী ভাষার ও কোরান শিক্ষার ক্লাস রুম এবং কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষ রয়েছে । মসজিদের ছাদের রং সবুজ, সুর্য্যের আলোয় দেখতে খুবই সুন্দর ও উজ্জ্বল । নানকুয়ান মসজিদ নিংশিয়া হুই জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থাপত্য এবং ইসলামিক ধর্মের তীর্থ স্থান হিসেবে বিশ্বের পর্যটকদের দর্শনীয় পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে । এ পর্যন্ত বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রদূত ও ইসলাম ধর্মীয় বন্ধুরা এ স্থান সফর করেছেন । অনেক বিদেশী মুসলমানও এখানে নামাজ পড়েছেন ।