v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-16 21:22:36    
চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন শেষ

cri

    সাড়ে ১১ দিনব্যাপী চীনের সর্বোচ্চ জাতীয় ক্ষমতা সংস্থা--- জাতীয় গণ কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন ১৬ মার্চ পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে। অধিবেশনটি শেষ হওয়ার আগে ভোটদানের মাধ্যমে "সম্পত্তি আইন" ও "শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আয় কর আইন"-এর খসড়া গৃহীত হয়েছে এবং জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের পর্যালোচনা ও সংশোধনের পর সরকারী কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়েছে।

 "সম্পত্তি আইন" হচ্ছে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। চীনের আইন কাঠামোতে তা স্তম্ভের ভূমিকা পালন করবে। এ আইনটি সমানভাবে সরকারী ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা করবে। এতে চীনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সুরক্ষা ব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। তা ছাড়াও এই আইনটি চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের মৌলিক স্বার্থ রক্ষার চেষ্টাও করবে এবং যুক্তিযুক্তভাবে ঘরবাড়ি ভাঙ্গার মূল্য পরিশোধসহ জনসাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল সমস্যার সমাধান করবে। নতুন প্রণীত "শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আয় কর আইন" অনুযায়ী, চীনের দেশি-বিদেশি পুঁজি বিনিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর সমানভাবে ২৫ শতাংশ হারে নতুনভাবে শুল্ক নেয়া হবে।

 অধিবেশনে অনুমোদিত সরকারী কার্যবিবরণী অনুযায়ী, চীন সরকার শহর ও গ্রামবাসীদের জীপনযাত্রার মানের ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চালাবে, সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে সর্বনিম্ন জীবনযাপনের মানের নিশ্চয়তাবিধান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে, আন্তর্জাতিক আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বহু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং ২০০৭ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বনির্ধারিত লক্ষ ৮ শতাংশ নির্ধারণ করবে।

 এ বছর হচ্ছে বর্তমান জাতীয় গণ কংগ্রেসের কার্যমেয়াদের শেষ বছর। সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে চীন নতুন জাতীয় গণ কংগ্রেসের ৩০০০ প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রথমবারের মতো শহরে কর্মরত কৃষকগণ থাকবেন। নারী, শ্রমিক ও কৃষক প্রতিনিধির সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।