v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-16 19:05:51    
ইরানের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব গৃহিত

cri
    যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া , চীন , বৃটেন ও জার্মানী এ ছ'টি দেশ ১৫ মার্চ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইরানের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাবের ব্যাপারে একমত হয়েছে । ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বেড়েছে । তবে পরামাণু সমস্যার ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি । বিশ্লেষকদের ধারণায় , ইরান সমন্বিত মনোভাবের মদ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করবে কিনা তা হল শান্তিপূর্ণভাবে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের মূল বিষয় ।

    ১৫ মার্চ জাতিসংঘে ছ'দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা আলোচনার পর খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য পৌঁছেছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য দশটি অস্থায়ী প্রতিনিধি দেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবটি হস্তান্তর করেছে । খসড়া প্রস্তাব ইরানকে অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদের ১৭৩৭ নম্বর প্রস্তাব মেনে চলার তাগিদ দেয়া হয়েছে , ইরানের অস্ত্র রপ্তানি করার ওপর নিষিধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানের ভারী অস্ত্র আমদানির ওপর দৃষ্টি রাখা এবং সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে । প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাকে ইরানকে অর্থ সাহায্য না দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে । অনুমান করা যায় , নিরাপত্তা পরিষদ আগামী সপ্তাহে এ খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোটের আয়োজন করবে ।

    নতুন খসড়া প্রস্তাব দেখা সত্বেও ইরান সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয় নি । ১৫ মার্চ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন , পরামাণু প্রযুক্তি অর্জন করা ইরানী জনগণের অধিকার । নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাব ইরানের পরমাণু পরিকল্পনার উন্নয়ন রোধ করতে পারবে না । এর আগে তিনি ১৪ মার্চ বলেছেন , যদি পশ্চিমা দেশগুলো নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আরো বেশি শাস্তিমূলক প্রস্তাব প্রণয়ন করার চেষ্টা করে ,তাহলে এসব দেশের সঙ্গে ইরানের মতভেদ আরো বেড়ে যাবে ।

    আহমাদিনেজাদের অবস্থান পরমাণু সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রকে আরো জটিল করে তুলেছে । তবে বিশ্লেষকরা মনে করে এ সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা এখনো আছে । ইরান সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে ।

    পরমাণু সমস্যায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী ছেড়ে না দেয়ার উদ্দেশ্য হল ইরানের পরমাণু অধিকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দেয়া । এ পূর্বশর্তে ইরান সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা আবার শুরু করতে এবং গঠনমূলক প্রস্তাব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক । তবে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্যে ইরানের কৌশলগত আপোষরফা করার সম্ভাবনাও আছে । সম্প্রতি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ খাতামীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও ইরানের তথ্য মাধ্যম সরকারকে আরো সমন্বিত মনোভাব নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন । যাতে নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিতীয় বারের মত শাস্তি প্রস্তাব গৃহিত হওয়ার বিষয়টি এড়ানো যায় ।

    অন্য পক্ষে ইরানের পরমাণু সমস্যায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান একই , তা হল আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা , আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র অবিস্তার ব্যবস্থা জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতির অবনতি এড়ানো । শান্তিপূর্ণভাবে ইরানের পরমাণু সংকট সমাধন করা হল ছ'পক্ষের খসড়া প্রস্তাব প্রণয়নের উদ্দেশ্য ।

    ছ'দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব সবচেয়ে কঠোর । যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইরানের ওপর শাস্তি আরোপের বিষয়টি উথ্থাপন করে আসছে । তবে সম্প্রতি ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব ক্রমেই পরিবর্তন হচ্ছে । তা থেকে বুঝা যায় , যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আপোষরফার মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে । তা ছাড়া , ইইউ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মোহাপরিচালক মহামেদ আলবারাদেইয়ের সমস্যা সমাধানের প্রস্তাবও সমর্থন করে । তা থেকেও জানা যায় , ইইউ আলোচনার দরজা বন্ধ করে নি ।

    আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা এখনো আছে । কূটনীতিবিদরা আহ্বান জানিয়েছেন যে , বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানের উচিত সমন্বয় ও কার্যকর মনোভাবে নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব মেনে চলা , আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা করা এবং আলোচনা আবার শুরু করার জন্য সুযোগ দেয়া । সংশ্লিষ্ট পক্ষের উচিত সংযম বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু সমস্যা সমাধান করা ।