১৫ মার্চ ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে জাতীয় যৌথ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের তালিকা দাখিল করেছেন এবং তাঁর অনুমোদন পেয়েছেন । ফিলিস্তিন জাতীয় যৌথ সরকার খুব সম্ভবত শীগগরই গঠিত হবে । সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থা পৃথক পৃথকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ।
যৌথ সরকারের সদস্যদের মধ্যে ৯ জন হামাসের প্রতিনিধি ও ৬জন ফাতাহের প্রতিনিধি । অন্য ১০জন ফিলিস্তিনের অন্যান্যরা হলেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি বা নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গ । হানিয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনের আইন প্রণয়ন কমিটি ১৭ মার্চ সকালে নতুন সরকারের রাজনৈতিক খসড়া কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবে এবং এর ওপর ভোট প্রদান করবে ।
জানা গেছে, রাজনৈতিক খসড়া কার্যক্রম থেকে বোঝা যায় যে, নতুন সরকার গত বছর ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেবে । কিন্তু তা সত্বেও তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, ইসরাইলের দখল প্রতিরোধ করা হল ফিলিস্তিনীদের বৈধ অধিকার ।
১৫ মার্চ ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনের নতুন সরকারের রাজনৈতিক খসড়া কার্যক্রম মধ্য-প্রাচ্য বিষয়ক চার পক্ষের অনুরোধের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার কারণে ইসরাইল ফিলিস্তিনের নতুন সরকারকে গ্রহণ করবে না ।
মার্কিন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টনী স্নো আব্বাসকে মধ্য-প্রাচ্য বিষয়ক চার পক্ষের উত্থাপিত ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে মতভেদ সমাধান করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন , যাতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তিপূর্ণ বৈঠক পুনরায় শুরুর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা যায় ।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিখাইল কামিনিন বলেছেন, যৌথ সরকারের প্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গঠনমূলক সহযোগিতা এবং ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংলাপের জন্য ইতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ।
আরব লীগের মহাসচিব আমর মুসা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যৌথ সরকারের প্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনের ভূভাগের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি উপশমে সহায়ক এবং মধ্য-প্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে ।
|