v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-15 21:04:38    
ভূটান

cri

    জাতীয় দিবসঃ ১৭ ডিসেম্বর(১৯০৭ সাল)

    জাতীয় পতাকাঃ মাঝখানে একটি সাদা রংয়ের ড্রাগন, তার চারটি থাবায় চারটি উজ্জ্বল মুক্তা ধরা। সোনালী রং হলো রাজার ক্ষমতা ও ভূমিকার প্রতীক। কমলা রং হলো সন্ন্যাসীদের আলখাল্লার রং,তা হলো বৌদ্ধধর্মের ধর্মীয় শক্তি। ড্রাগন হলো দেশের ক্ষমতার প্রতীক এবং দেশের নাম। ভুটান মানে "ড্রাগনের দেশ"। ড্রাগনের থাবার মুক্তা হলো ক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক।

    জাতীয় প্রতীকঃ গোল আকার। এতে উড়ন্ত ড্রাগন, তা হলো ক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। ড্রাগনের চারদিকে লেলিহান বহ্নি, গোলের মাঝখানে একটি ক্রস, তা হলো প্রাকৃতিক বিদ্যুত ও বজ্রের প্রতীক। গোলের উপরে তিব্বতী ভাষায় লেখা: গৌরবময় অজেয় ভূটান"।

    ভৌগলিক অবস্থানঃ আয়তন ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার, পূর্ব হিমালয় পর্বতে দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। তার পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম দিক চীনের সঙ্গে সংলগ্ন, ভারত তার দক্ষিণাংশের প্রতিবেশী। ভূটান একটি ভূ-বেষ্টিত রাষ্ট্র। তার উত্তরাংশের পাহাড়ী অঞ্চল ঠান্ডা। মধ্যকার উপত্যকা অঞ্চলের আবহাওয়া সুমধুর। দক্ষিণাংশে রয়েছে প্রায়-গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়া।

    লোকসংখ্যাঃ ৭ লক্ষ৩০ হাজার (২০০৩ সাল)। ভূটানী জাতি মোট লোকসংখ্যার ৮০ শতাংশ দখল করেছে, তাছাড়া রয়েছে নেপালী জাতি। ভুটানী ভাষা জংক্ষর আর ইংরেজী হলো রাষ্ট্র-ভাষা। দক্ষিণ অঞ্চলে থাকে প্রধানতঃ নেপালী ভাষাভাষী। অধিকাংশ নাগরিক লামাধর্মের একটি সম্প্রদায়ের ধর্মাবলম্বী।

    রাজধানীঃ থিম্পু

    সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ নবম শতাব্দীতে ভূটান একটি স্বাধিন উপজাতি। ১৭৭২ সালে ব্রিটিশরা ভুটানে প্রবেশ করে। ১৮৬৫ সালের নভেম্বর মাসে ভূটান ব্রিটেনের কাছে তার স্বাক্ষর করে দুই হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি হস্তান্তরের জন্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়। ১৯০৭ সালে উগিয়েন ওয়াংছুক ভুটানের রাজা হন। ১৯১০ সালের জানুয়ারী মাসে ব্রিটেন ও ভূটানের মধ্যে "পুনাখা চুক্তি"স্বাক্ষরিত হয়। পুনাখা চুক্তি অনুযায়ী, ভুটানের কূটনৈতিক ব্যাপারাদি ব্রিটেনের কতৃত্বে থাকে। ১৯৪৯ সালের আগস্ট মাসে ভারত আর ভূটান "চিরকাল শান্তিপূর্ণ মৈত্রী চুক্তি" স্বাক্ষর করেছে, তাতে ভূটানের কূটনৈতিক ব্যাপারাদি ভারতের কর্তৃত্বে চলে যায়। ১৯৭১ সালে ভূটান জাতিসংঘের পদ লাভ করে।

   রাজনীতিঃ জাতীয় সংসদ হলো দেশের আইন প্রণেতা সংস্থা। রাজা সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং সর্বোচ্চ বিচার ক্ষমতার অধিকারী।

    পররাষ্ট্র নীতিঃ ভুটান আর চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থায়ী। ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতি বছরে চীন-ভুটান সীমান্ত বৈঠক আয়োজিত হয়, পালাক্রমে পেইচিং ও থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয়।