v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-03-14 18:25:32    
জাপান ও অষ্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা সুরক্ষা সংক্রান্ত  যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে

cri
    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় সফররত অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ডের সঙ্গে জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা সুরক্ষা ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন। এটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাপান এই প্রথমবার অন্য কোন দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যদিও জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা সুরক্ষা চুক্তির বিষয়টি জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ। তবে দু'দেশ সামরিক ক্ষেত্রের সহযোগিতার মান বাস্তবতার সঙ্গে সামন্জস্য রেখে উন্নত করার কথা প্রকাশ করেছে। তাই তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে।

    জাপানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘোষণার প্রধান বিষয়বস্তু হচ্ছে, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা সুরক্ষার সহযোগিতা জোরদার করা সংক্রান্ত কর্মসূচী প্রণয়ন করা; দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সংলাপ জোরদার করা এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার স্বার্থে নিয়মিতভাবে পরামর্শ করা। এই ঘোষণা অনুযায়ী, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের সংস্কার,সন্ত্রাসদমন,ত্রাণকর্ম এবং অপরাধ-প্রবণতা নিরসণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে জোরদার করবে। দু' পক্ষ একমত হয়েছে যে, দু'দেশ রাজনীতি,নিরাপত্তা সুরক্ষা করা এবং অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে সার্বিকভাবে কৌশলগত অংশীদারীত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলবে। দু'পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, এই ঘোষণার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ত্রাণকর্ম ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী কার্যক্রমকে সহযোগিতা করা।

    জনমত মনে করে, জাপানের অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জরুরীভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের কারণ হচ্ছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার সামরিক ভূমিকা সম্প্রসারণ করা। যাতে জাপান যথাশীঘ্রই তথাকথিত স্বাভাবিক দেশে পরিণত হওয়া যায়।

    অষ্ট্রেলিয়া জাপানের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষরের কারণ হচ্ছে অর্থনীতির বিষয়টিকে বিবেচনা করা। জাপান হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্ধু রাষ্ট্র। ২০০৫ সালে দু'দেশের মোট বাণিজ্যিক মূল্য ৩১.৬ বিলিয়ান অষ্ট্রেলিয়ান ডলার ছিল। জাপানের অষ্ট্রেলিয়া থেকে আমদানির পরিমান অষ্ট্রেলিয়ার রপ্তানির মোট সংখ্যার ২০ শতাংশ।

    তাছাড়া, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দু'পক্ষ সামরিক ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে উন্নত করার উদ্দেশ্য চীনের ওপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তবে তাঁদের এ কৈফিয়ত বিশেষজ্ঞদের স্বীকৃতি পায় নি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,জাপান ,অষ্ট্রেলিয়াকে নিয়ে একটি সামরিক জোট গঠন করা। সুতরাং জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার যৌথ ঘোষণা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াস চালানোর মধ্য দিয়ে চীনকে সর্তক করে দেয়ার কথাই প্রকাশিত হয়েছে।

    চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ১৩ মার্চ এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা সুরক্ষার যৌথ ঘোষণা নিয়ে বলেছেন, চীন আশা করে, সংশ্লিষ্ট দেশ দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার সময় অন্যান্য দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করবে। এর পাশাপাশি এ অঞ্চলের দেশগুলোর উদ্বেগ ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করবে এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে ইতিবাচক কাজ করবে।